ঈদের আগে সোনার দাম আরেক দফা বেড়েছে। এবার ভরিপ্রতি দাম বেড়েছে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা। এতে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। এটি দেশের বাজারে সোনার দামে নতুন রেকর্ড।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ার কথা জানায়। এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন দাম আগামীকাল শনিবার কার্যকর হবে।

সর্বশেষ ২৫ মার্চ সোনার দাম ভরিপ্রতি বেড়েছিল ১ হাজার ১৫৪ টাকা। তাতে এক ভরি সোনার দাম হয় সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকা। এত দিন এটিই ছিল সোনার সর্বোচ্চ দাম।

নতুন দাম অনুযায়ী, কাল দেশের বাজারে হলমার্ক করা প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা, ২১ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকা।

আজ শুক্রবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ২৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ৩০৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সেই হিসাবে কাল থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনায় ১ হাজার ৭৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটে ১ হাজার ৭০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ১ হাজার ৪৫৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনায় ১ হাজার ২৩৬ টাকা দাম বাড়বে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২২ ক য র ট

এছাড়াও পড়ুন:

আন্দোলন মঞ্চে ছাত্র-জনতা

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলন মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

শুক্রবার (৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে মিন্টো রোডে পানির ফোয়ারার সামনে প্রস্তুত করা মঞ্চের সামনে যান আন্দোলনকারীরা। 

জুমার নামাজের পর এ মঞ্চে এনসিপিসহ সমমনা রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে সমাবেশ করার কথা রয়েছে।

গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টার দিকে শুরু হওয়া কর্মসূচি শুক্রবার (৯ মে) দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত আছে।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সরকারি ঘোষণা আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সবাইকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আসার আহ্বান জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম। এর পর সেখানে লোকজন জড়ো হতে শুরু করে। তারা সারা রাত সেখানে ছিলেন। শুক্রবার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতা যমুনার সামনে আসেন। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয় ওই এলাকা। 

এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য আসেনি।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ