টি–টোয়েন্টিতে নতুন বিশ্ব রেকর্ড কোহলির, যেখানে আছেন তামিম–মুশফিকও
Published: 25th, April 2025 GMT
বেঙ্গালুরুর চিন্মাস্বামী স্টেডিয়ামে গতকাল আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ১১ রানের জয়ে ৭০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি। এর মধ্য দিয়ে টি–টোয়েন্টিতে একটি ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি ফিফটির বিশ্ব রেকর্ডও গড়লেন বেঙ্গালুরু তারকা।
আরও পড়ুনরেকর্ডটা ছিল বাবরের, এখন কোহলির১৬ ঘণ্টা আগে৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন কোহলি। চিন্মাস্বামী স্টেডিয়ামে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে এটি তাঁর ২৬তম ফিফটি। এই ইনিংসের আগে রেকর্ডটি ছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলসের। নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে টি–টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের সাবেক এই ওপেনারের ফিফটি ২৫টি।
চিন্মাস্বামীতে টি–টোয়েন্টিতে চারটি সেঞ্চুরিও আছে কোহলি। সব মিলিয়ে এই স্টেডিয়ামে টি–টোয়েন্টিতে ১০৫ ইনিংসে ২৬টি ফিফটি ও ৪টি সেঞ্চুরি কোহলির। ট্রেন্ট ব্রিজে ১০৯ ইনিংসে ২৫টি ফিফটি ও ২টি সেঞ্চুরি হেলসের। ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, টি–টোয়েন্টিতে এক ভেন্যুতে রান, ফিফটি, সেঞ্চুরি ও গড়ে কোহলিই সবার ওপরে।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টি–টোয়েন্টিতে বিশের বেশি ফিফটি তামিমের.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্মীয় আবেগ পুঁজি করে স্থানীয় পর্যায়ে অপতথ্য ছড়ানো হয়: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, বাংলাদেশের সমাজে যে ধর্মীয় আবেগ আছে, সেটাকে পুঁজি করে স্থানীয় পর্যায়ে অপতথ্য বেশি ছড়ানো হয়। এ বিষয়ে তথ্য কর্মকর্তাদের শক্ত ভূমিকা নিতে হবে। কারণ একটা অপতথ্য বা মিথ্যা খবর শুধু একজন ব্যক্তির ক্ষতি করে না, সমাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দেয়। তথ্য কর্মকর্তাদের এমন ভূমিকা নিতে হবে যেন সামাজিক অস্থিরতা এবং ধর্মীয় সহিংসতা বা হানাহানির ঘটনা না ঘটে।
রোববার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ভেরিফিকেশন অ্যান্ড ফ্যাক্টচেকিং’–বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে যে গুজব–অপতথ্য আছে, সেটা শুধু ভারত থেকে আসে, এ রকম না। দেখা যাচ্ছে দেশেই অনেকে আছেন, যারা গত জুলাই–আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে না পেরে গুজব এবং অপতথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘এমনভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে মনে হচ্ছে, জুলাই–আগস্টে কিছু ঘটে নাই। অপপ্রচার এমন হচ্ছে যে, বরং উল্টো ঘটনা ঘটছে। মনে হচ্ছে ছাত্ররা পুলিশকে মেরে জোর করে ক্ষমতা দখল করছে।’
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অপতথ্য এবং সাইবার ক্রাইমের শিকার হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর অপতথ্য ও গুজবের যে প্রচার হয়েছে, সেটা হয়েছে দেশের ভেতরের ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী ও দেশের বাইরের গোষ্ঠীগুলোর যৌথ প্রয়াসে।’
সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘একদল লোক বসে আছে এই সরকারকে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য। সরকারের সংস্কার কার্যক্রমগুলো তাদের সহ্য হচ্ছে না। কারণ, তারা এত খারাপ কাজ করে গেছে যে কাজগুলোকে আড়াল করার জন্য এই সরকারকে সরাসরি তারা প্রতিপক্ষ মনে করছে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামূল কবীর, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মামুনুর রশীদ ভূঞা প্রমুখ।