বগুড়ায় ২ সাংবাদিকের ওপর হামলা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 3rd, May 2025 GMT
দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বগুড়া শহর শাখার সভাপতি আবির হাসান বিদ্যুৎকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতোয়ার রহমান।
গ্রেপ্তার আবির শহরের ঠনঠনিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বর্তমানে মালতিনগর দক্ষিণপাড়ায় বসবাস করছিলেন।
হামলার শিকার সংবাদিকরা হলেন- মাছরাঙা টেলিভিশনের বগুড়া প্রতিনিধি খোরশেদ আলম এবং অনলাইন পোর্টাল বগুড়া লাইভের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আসাফ-উদ-দৌলা নিওন।
আরো পড়ুন:
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতার নেতৃত্বে হাসপাতালে হামলার অভিযোগ
দাওয়াত খেতে গিয়ে হামলার শিকার জেলা আ.
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ এপ্রিল জলেশ্বরীতলা এলাকাস্থ জেলখানা মোড়ে অবস্থিত ফ্রেস জুস বারের সামনে সাংবাদিক খোরশেদ আলম এবং আসাফ-উদ-দৌলা নিওনের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে বগুড়া সদর থানায় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আসাফ-উদ-দৌলা নিওন। হামলার পর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাকিবুল ইসলাম রাকিব নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার রাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা রয়েছে।
ওই মামলায় আজ শনিবার ভোরে ডিবি পুলিশের একটি টিম আবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আবিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে।
বগুড়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতোয়ার রহমান বলেন, “আবির হোসেনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজাহার নামীয় দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।”
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা অব্যাহত, শুক্রবারের হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শুক্রবার উপত্যকাটিতে আরও ৮২ জন নিহত হয়েছেন।
এরমধ্যে মধ্য গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। তাদের ২৩ জন ত্রাণ আনতে গিয়ে দখলদারদের হাতে নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে নিহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। আর দক্ষিণ গাজায় প্রাণ গেছে ২২ জনের। এদের মধ্যে ১১ জন ত্রাণ আনতে গিয়েছিলেন।
এদিকে গাজা যুদ্ধ চলমান থাকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার কারণে ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলে শিশুদের ওপর সহিংসতা ‘চরম মাত্রায়’ পৌঁছেছে। এর মধ্যে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
‘সশস্ত্র সংঘাতে শিশু’বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বব্যাপী শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার ঘটনা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালে মোট ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতা যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে শিশুদের হত্যা, শারীরিকভাবে আহত করা, যৌন সহিংসতা এবং স্কুল-হাসপাতালে হামলার মতো ঘটনা রয়েছে।
এর মধ্যে শুধু ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ও ইসরায়েলে ২ হাজার ৯৫৯ শিশুর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৫৫৪টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। এই সংখ্যা অনুযায়ী, গাজায় গত এক বছরে ১ হাজার ২৫৯ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে এবং ৯৪১ জন আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে গাজায় আরও ৪ হাজার ৪৭০ শিশু নিহতের তথ্য যাচাই চলছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৯৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যুর তথ্যও নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। সেখানে ৩ হাজার ৬৮৮টি শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা