গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানার বাইমাইল এলাকায় বাস চাপায় এক নারী গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ মে) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

মারা যাওয়া নারীর নাম রুবি আক্তার (২৫)। তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার সোনাখালী এলাকার জিয়ারুলের স্ত্রী।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বাইমাইল এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন রুবি। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার ভান্নারা এলাকার একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করতেন। আজ বুধবার সকালে কারখানায় কাজে যোগ দিতে তিনি বাসা থেকে বের হন। বাইমাইল এলাকার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী উড়াল সড়কের পূর্ব পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন রুবি।

আরো পড়ুন:

বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশুসহ আহত ৯

বাবাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মেয়ে নিহত 

এ সময় দ্রুতগতির একটি বাস তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই রুবি মারা যান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.

কামরুল হাসান জানান, কারখানার কাজে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি বাস ওই নারীকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী বন্ধু

গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘোরার পর একটি মোটরসাইকেলে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) ও তাঁর দুই বন্ধু। পথে অন্য একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাঁদের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। ওই মোটরসাইকেলের দু-তিন আরোহী ও তাঁদের সঙ্গে থাকা আরও দু-তিনটি মোটরসাইকেলের আরোহীসহ মোট ১০-১২ জনের সঙ্গে শাহরিয়ারদের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিরা তাঁদের মারতে শুরু করেন। তাঁরাও আত্মরক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। এর মধ্যেই শাহরিয়ারকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

শাহরিয়ারের সঙ্গে থাকা বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি প্রথম আলোর কাছে ঘটনার এমন বর্ণনা দেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। নিহত শাহরিয়ারও একই শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ছিলেন। শাহরিয়ার স্যার এ এফ রহমান হলের শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।

আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমরা তিনজন (সাম্য, রাফি ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদ) মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিলাম। এ সময় আমাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে আরেকটি মোটরসাইকেলের ছোটখাটো একটা ক্ল্যাশ (সংঘর্ষ) হয়। ওই মোটরসাইকেলের চালক ও যাত্রীর সঙ্গে আরও তিন-চারটার মতো মোটরসাইকেলে মোট ১০-১২ জন ছিলেন। মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগার পর তাঁদের সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি হয়।’

কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁদের তিনজনের ওপর ওই ব্যক্তিরা আক্রমণ করেন বলে জানান আশরাফুল আলম। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আত্মরক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু এর মধ্যে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করা হয়। সাম্যর শরীর থেকে প্রচুর রক্ত ঝরে। বলা যায়, ঘটনাস্থলেই সাম্য মারা যায়। অর্থাৎ স্পট ডেথ।’

আশরাফুল বলেন, ৬-৭ বছর তাঁরা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। তাঁদের সম্পর্কটা শুধু বন্ধু নয়, ভাইয়ের মতো ছিল।

শাহরিয়ার আলম হত্যার ঘটনায় গতকাল রাতে ও আজ দিনভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ক্যাম্পাসে শাহরিয়ারের জানাজা হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে ঘটনা তদন্তে আজ সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই হত্যার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছে ছাত্রদল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ