কুড়িগ্রামে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে হাতেম আলী (৩৮) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে। হাতেম আলী নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কুমোদপুর এলাকার ছাফের আলীর ছেলে। একই এলাকায় তিনি এক ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। পাশাপাশি তিনি গ্রাম্য চিকিৎসক ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।
বুধবার (১৪ মে) সকালে বাড়ির পাশে নিজের জমির ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে আকাশে ঘন মেঘ ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাতেম আলী নিজের জমিতে ধান কাটতে যান। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে হাতেম আলী গুরুতর আহত হয়ে ঘটনা স্থলে মারা যান।
আরো পড়ুন:
ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার ঘটনায় ঢাবিতে তদন্ত কমিটি
সাম্য হত্যা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি
স্থানীয় ইউপি সদস্য মদিনা আলী জানান, ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে হাতেম আলী মারা যান। এ ঘটনায় এলাকার মানুষ শোকাহত।
ঢাকা/বাদশাহ/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত হ ত ম আল
এছাড়াও পড়ুন:
জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা ছাত্র ইউনিয়নের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন।
বুধবার (১৪ মে) বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ইমন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়েছে।
পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মত আন্দোলন দমনে ‘সিলেকটিভ’ আচরণ অন্তবর্তী সরকারের ফ্যাসিস্ট মনোভাবের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশ আবাসন ভাতা, বাজেটে বৃদ্ধি এবং সব প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়ার তিন দফা দাবি নিয়ে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শুরু হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি।
আরো পড়ুন:
বাকৃবির ভাসানী হলে পুনরায় ‘গেস্টরুম’ চালুর অভিযোগ
গবি ক্যান্টিনে ফের দুরবস্থা, স্থায়ী সমাধান দাবি
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে জবি শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মিছিল কাকরাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠিপেটা করে। এছাড়া সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে এবং জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে পুলিশ ‘হাসিনা স্টাইলে’ আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করেছে। পুলিশের এ হামলায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার চঞ্চল ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার পুলিশের এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তবর্তী সরকার আওয়ামী লীগের মতই আন্দোলন দমনে সিলেকটিভ আচরণ করছে। সরকারের পছন্দে এবং প্রেস্ক্রিপশনে সংঘটিত আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের ‘স্পেশাল ট্রিটমেন্ট’ আর এর বাইরে শ্রমিক, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে পুলিশের অবৈধ বল প্রয়োগের নমুনা আমরা দেখছি। এর মধ্য দিয়ে সরকার তার দলনিরপেক্ষ ভূমিকা হারিয়ে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী অবস্থান নিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ন্যায় আন্দোলনে পুলিশের হামলা প্রমাণ করে, ফ্যাসিস্টের পতন হলেও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা পুরোপুরি বলবৎ রয়ে গেছে। গণঅভ্যুত্থানের পরও নাগরিকদের আন্দোলন দমন আওয়ামী কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। পুলিশ দিয়ে জনগণকে দমন করে যে গদি রক্ষা করা যায় না, এর প্রমাণ শেখ হাসিনার সরকার।
নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের উপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং জনগণের উপর পুলিশের অবৈধ বল প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায় ও যৌক্তিক তিন দফা দাবি অবিলম্বে পূরণ করতে হবে।
ঢাকা/মেহেদী