উজানের ঢলে ফুঁসছে ধলাই বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নাই
Published: 15th, May 2025 GMT
কমলগঞ্জের প্রান্তিক জনপদে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে ফুঁসে ওঠা ধলাই নদী। গত বছরের ভাঙনের ক্ষত না সারতে চলতি মৌসুমে আবারও ভাঙন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে। স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত স্থান মেরামত করা না হলে আগ্রাসী নদীর হানা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
খরার রুক্ষতা না কাটতেই টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ছরা ধরে উপজেলার নিম্নভাগের সমতল অংশের দিকে ধেয়ে আসতে শুরু করেছে ঢলের পানি। পানি যত বাড়ছে ততই ক্রুদ্ধ রূপ ধারণ করছে খরস্রোতা ধলাই নদী। ঢলের ধাক্কায় এবারও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা।
কয়েক বছরের ভয়াবহ বন্যায় রামপাশা, রামপুর, নারায়ণপুর, চৈতন্যগঞ্জ, কুমড়াকাপন, কান্দিগাঁওসহ প্রায় ১০ থেকে ১২টি গ্রাম তলিয়ে যায়। নদীভাঙনের কারণে ইতোমধ্যে রামপাশা গ্রামের ৪০ থেকে ৫০টি বাড়ি ও ফসলিজমি নদীতে বিলীন হয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয়রা পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাঁধসংলগ্ন এলাকায় বাঁধ নির্মাণ, জিও ব্যাগ ডাম্পিং দাবিতে ছাইয়াখালী হাওর
পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন।
পৌর এলাকার রামপাশা এলাকা বিগত বছরের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ধলাই নদীর রামপাশা এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। যার কারণে এরইমধ্যে নদীতীরবর্তী আব্দুন নূর চৌধুরী, আব্দুর রব চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী, এম.
আসন্ন বর্ষা মৌসুমেও বন্যার আশঙ্কা করছেন রামপাশাসহ নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে রামপাশা এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গ্রামবাসী মানববন্ধন করেছেন। স্থানীয় জামায়াত নেতা সৈয়দ ইব্রাহিম মোহাম্মদ আবদুহুসহ অনেক নেতাকর্মী বাঁধের জন্য স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছেন বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
এলাকাবাসী জানান, প্রতি বছর ধলাই নদীর ভাঙনের কারণে রামপাশা এলাকা বিলীন হতে চলেছে। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে প্রতিরক্ষা বাঁধ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। সেগুলো তলিয়ে গেছে আরও আগেই। বর্তমানে সে সব স্থান ঝুঁকিপূর্ণ। পানি বাড়লে বাঁধ ভেঙে ১০ থেকে ১২টি গ্রামসহ বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন অলীদ সমকালকে জানান, ধলাই নদীসংলগ্ন বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
মল্লিকা এক্সপ্রেস আটকে ঢাকাগামী ৪ ট্রেন চালুর দাবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সরাসরি ঢাকা রুটে চারটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বুধবার (১৪ মে) সকাল ১০টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে মল্লিকা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে রেখে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ৪০ মিটিন পর ট্রেনটি গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, রাজশাহী থেকে ধূমকেতু, পদ্মা, সিল্কসিটি ও মধুমতি এক্সপ্রেস ঢাকা রুটে নিয়মিত চলাচল করে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এসব ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে না। আঞ্চলিক বৈষম্য মনোভাবের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী রেল যোগাযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ওসির বিচারের দাবিতে আইনজীবীদের মানববন্ধন
হাসনাতের ওপর হামলায় বিএনপি নেতা আসামি, প্রতিবাদে মানববন্ধন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ওবায়দুল্লাহ বলেন, ট্রেন আটকে রেখে বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। এ কারণে মল্লিকা এক্সপ্রেসের শিডিউল বিপর্যয় হয়। পরে আয়োজকরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করলে প্রায় ৪০ মিনিট পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সুজনের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ট্রেনে যাত্রীসেবা আরো বাড়ানো ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রেলস্টেশনগুলো আধুনিকায়সহ দখল মুক্ত করা, আমনুরা বাইপাস রেলস্টেশনে সব আন্তঃনগর ট্রেনের ৫ মিনিটের যাত্রাবিরতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ- সোনামসজিদ স্থলবন্দর ছয়লেনে উন্নতি করা।
ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ