রবিবারের মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসন চান শিক্ষার্থীরা, না মানলে আন্দোলন
Published: 17th, May 2025 GMT
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে একত্রিত করে বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দেওয়া হলেও নাম প্রস্তাব ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন ওসব কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রবিবারের (১৮ মে) মধ্যে দাবি না মানলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিয়োগসহ পাঁচ দফা দাবি না মানলে ১৯ মে থেকে আবারও মাঠে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শনিবার (১৭ মে) ইডেন মহিলা কলেজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
বাকৃবিতে ঢাবির পুনঃভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৭৩.
স্যারের চেম্বারে পড়া বুঝতে গিয়েছিলাম, দাবি সেই ছাত্রীর
শিক্ষার্থীদের পক্ষে যৌথভাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের সদস্য তানজিমুল আবিদ ও জাফরিন আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে জাফরিন আক্তার বলেন, “আমরা আমাদের শিক্ষার অধিকারটুকু চাই। আমরা আর রাজপথে নামতে চাই না। আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম ছেড়ে পড়ার টেবিলে ফিরে গিয়েছি। তবে রাষ্ট্র বারবার আমাদের পড়ার টেবিল ছেড়ে রাজপথে ফিরতে বাধ্য করেছে।”
তিনি বলেন, “রবিবারের মধ্যে যদি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি না হয়, তাহলে সোমবার (১৯ মে) থেকে আমরা আবার মাঠের কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো। পরবর্তী এ কর্মসূচি কেমন হবে, সেটা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেব। একই সঙ্গে আমরা বাকি দাবিগুলোর বিষয়েও নজর রাখব। আমাদের যদি আবার মাঠে নামতে হয়, তাহলে এবার রাজপথ থেকেই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরব।”
জাফরিন আরো বলেন, “সাত কলেজের ঢাবি অধিভুক্তি বাতিলের পর চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ইউজিসি এ কলেজগুলো পরিচালনায় একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রস্তাব করে যে প্রশাসন অধিভুক্তি বাতিল ও নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর মধ্যবর্তী সময়ে দায়িত্ব পালন করবে। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন বিষয়ে ইউজিসির প্রস্তাবনার আড়াই মাস পার হলেও এখনো সেটির চূড়ান্ত অনুমোদন হয়নি। এতদিন আমরা শুনে এসেছি, এটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝুলে আছে।”
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি
১. রবিবারের (১৮ মে) মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
২. অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিয়োগের পর সেশনজট নিরসনসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে ও অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার বানাতে হবে।
৩. ভুতুড়ে ফলের সমাধান, বিভিন্ন ইস্যুতে অতিরিক্ত ফি আদায় এবং যাবতীয় অসঙ্গতিগুলো স্পষ্টভাবে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
৪. অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিয়োগের পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের উদ্যোগ নিতে হবে এবং আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়য়ের রূপরেখা, লোগো মনোগ্রাম প্রকাশ করতে হবে।
৫. সর্বশেষ আগামী ১৬ জুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। একইসঙ্গে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাজেটে নির্ধারণ করতে হবে।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: গাঠনিক ক্ষমতারূপে গণভোট
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে প্রায় বছরব্যাপী দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর জুলাই সনদ প্রণয়নে সক্ষম হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো। রাষ্ট্রের স্বৈরতান্ত্রিক ভিত্তির বিলোপ ও গণতান্ত্রিক রূপান্তর আনয়নে এই সনদ কতটা সফল হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বসে লম্বা আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক, প্রশাসনিক ও আইনি রূপরেখা প্রণয়নে ভূমিকা রাখছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এর মূল্য কম নয়।
জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, এখনকার মূল বিতর্ক এটাই। এ নিয়ে বেশ কিছুটা বিভ্রান্তি কাজ করছে বলে প্রতীয়মান হয়। বর্তমান নিবন্ধে আমরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের ভূমিকা ও জরুরত বিশ্লেষণ করব।
একটি মতামত দেখা যাচ্ছে, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ সংশোধনের মাধ্যমে গণভোটের বিধান বাতিল করা হয়েছে। বর্তমান সংবিধানে গণভোটের বিধান নেই, তাহলে কীভাবে কোন আইনি প্রক্রিয়ায় গণভোট আয়োজন করা যাবে?
খেয়াল রাখতে হবে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত গণভোট আর বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লেখিত সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় গণভোট এক নয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনে গণভোটের বিধান বাতিল করা হয়েছিল। এই সংশোধনীকে অসাংবিধানিক সাব্যস্ত করে গণভোট পুনর্বহাল করা হলেও এখনো কার্যকর হয়নি।
আরও পড়ুনজুলাই সনদ নিয়ে গণভোটের সাংবিধানিক ও আইনি চ্যালেঞ্জগুলো কী০৬ অক্টোবর ২০২৫সংবিধানের বিশেষ কিছু অনুচ্ছেদসহ মৌলিক কাঠামো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হয়। তবে সংবিধান যেহেতু জনগণের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের দলিল, গণভোটে জনগণের সরাসরি মতামত যাচাই করা ছাড়া এর কোনো ধরনের পরিবর্তন করা উচিত নয়।
তবে অনেক ক্ষেত্রে নতুন সাংবিধানিক ব্যবস্থা পত্তন করার ক্ষেত্রেও গণভোটের দ্বারস্থ হওয়ার নজির বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছে। সে ক্ষেত্রে গণভোট জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার প্রত্যক্ষ বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই গণভোটকে জনগণের গাঠনিক ক্ষমতা (কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার: সংবিধান প্রণয়ন, রহিতকরণ ও মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষমতা) হিসেবে গণ্য করা হয়। বিদ্যমান সংবিধানে এমন বিধান না থাকলেও গণ-সার্বভৌমত্বের অভিব্যক্তিরূপে নতুন সাংবিধানিক ব্যবস্থার পত্তন অথবা বিদ্যমান সাংবিধানিক ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তনে গণভোট প্রযোজ্য হয়।
জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা বর্তমান সময়ের সর্বাধিক জরুরি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সরকার একটি ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ জারি করতে পারে, যার মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক ভিত্তি সুস্পষ্টভাবে নির্ধারিত হবে।
আদেশ নাকি অধ্যাদেশউল্লেখ করা শ্রেয়, আদেশ ও অধ্যাদেশ এক ব্যাপার নয়। অধ্যাদেশের এখতিয়ার ও কর্তৃত্ব সীমিত; এর মাধ্যমে সাংবিধানিক পরিবর্তনের বিহিত করা যায় না। কারণ, সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন (সুপ্রিম ল), অন্যদিকে অধ্যাদেশের ক্ষমতা সাধারণ আইনের (প্রাইমারি ল) সমতুল্য। সাধারণ আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ আইনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অসাংবিধানিক। আরও উল্লেখ করা প্রয়োজন, এমনকি সংবিধান বহাল থাকা অবস্থাতেও রাষ্ট্রপতি চাইলে আদেশ (অর্ডার) জারি করতে পারেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন একাধিক নজির রয়েছে। কাজেই আদেশ জারি করা মানেই সংবিধান বাতিল হয়ে যাওয়া—এই ধারণার ভিত্তি নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ: প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শে রাষ্ট্রপতি একটি আদেশ দেবেন, যার নাম হবে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’, যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে, সাধারণ নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে জনগণ সরাসরি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে রায় দেবেন। পরবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জনপ্রতিনিধিদের সভা জুলাই সনদে আনীত এবং গণভোট কর্তৃক অনুমোদিত মৌলিক সাংবিধানিক সংস্কার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার পূর্ণ কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার বা গাঠনিক ক্ষমতা পাবে।
ডুয়েল রোল বা দ্বৈত ভূমিকা: ওই নির্বাচিত সভার একই সঙ্গে সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের গাঠনিক ক্ষমতা এবং সরকার পরিচালনার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে। জুলাই সনদে আনীত মৌলিক সংস্কার সংবিধানে গ্রহণ সম্পন্ন হলে ওই নির্বাচিত সভার গাঠনিক ক্ষমতা তথা গণপরিষদীয় ভূমিকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হবে।
জনগণ রায় দেবে জুলাই সনদের ওপর। সে ক্ষেত্রে নোট অব ডিসেন্টকে ভিন্নমতসহ একমত, এভাবে বিবেচনা করার বিকল্প নেই। এ ছাড়া নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার সময় জুলাই সনদের বাস্তবায়নপদ্ধতি হিসেবে গণভোট আলোচনায় ছিল না; কিন্তু জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি হিসেবে গণভোট গৃহীত হওয়ার পর দলীয় নোট অব ডিসেন্ট আর প্রাধান্য পেতে পারে না।সময়সীমা নির্ধারণ: আদেশে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে কত দিনের মধ্যে ওই নির্বাচিত সভা জুলাই সনদ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করবে, যাতে সংস্কারপ্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকাল বিলম্বিত না হয়। যেমন ৯০ দিন বা প্রথম অধিবেশন।
গণরায়ের অনুমোদন: যদি গণভোটে জনগণ জুলাই সনদের পক্ষে মত দেন, তবে জুলাই সনদ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে বিবেচিত হবে। পরবর্তী নির্বাচিত সভা তখন সাংবিধানিকভাবে অনুমোদিত ক্ষমতা অনুযায়ী জুলাই সনদের বিষয়বস্তু সংবিধানে সংযোজন ও সংস্কার সম্পন্ন করবে।
এ প্রক্রিয়ায় আনীত সংস্কার টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণভিত্তিক সাংবিধানিক সংস্কারের পথ উন্মুক্ত করবে। তাই সব রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও জাতীয় চিন্তাশীল মহলকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের এই রূপরেখায় ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে, যাতে গণ-অভিপ্রায়ই হয় রাষ্ট্রের নতুন দিকনির্দেশনা।
নোট অব ডিসেন্টের কী হবে?জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণভোট করা যাবে না, সংবিধানে এমন কোনো বিধিনিষেধ নেই। কাজেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মতো ঐতিহাসিক ও জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে গণভোট আয়োজনে কোনো সাংবিধানিক বাধা নেই। তবে এ ক্ষেত্রে নোট অব ডিসেন্টের মীমাংসা জরুরি। জনগণ রায় দেবে জুলাই সনদের ওপর। সে ক্ষেত্রে নোট অব ডিসেন্টকে ভিন্নমতসহ একমত, এভাবে বিবেচনা করার বিকল্প নেই। এ ছাড়া নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার সময় জুলাই সনদের বাস্তবায়নপদ্ধতি হিসেবে গণভোট আলোচনায় ছিল না; কিন্তু জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি হিসেবে গণভোট গৃহীত হওয়ার পর দলীয় নোট অব ডিসেন্ট আর প্রাধান্য পেতে পারে না।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হওয়ায় নোট অব ডিসেন্ট মানা বাধ্যতামূলক নয়। নোট অব ডিসেন্ট মানেই হচ্ছে ভিন্নমত সত্ত্বেও সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া। গণভোট হবে জুলাই সনদের ওপর। একটি বা দুটি দলের ভিন্নমতের চেয়ে জনগণের অভিপ্রায় অনেক ঊর্ধ্বে। গণভোটের ফলাফল অনুযায়ী সংস্কার বাস্তবায়নে পরবর্তী সংসদ বাধ্য থাকবে।
শুধু সংসদে মৌলিক কাঠামোর পরিবর্তন সাধন করা যায় নাবিএনপি একসময় বলেছে, সংসদই সাংবিধানিক সংস্কারের একমাত্র জায়গা। আমরা বারবার যুক্তিতর্ক হাজির করেছি, সংসদের কাছে স্রেফ সংশোধনীর ক্ষমতা (অ্যামেন্ডিং পাওয়ার) থাকে। এমনকি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আনীত সংশোধনীও পরবর্তী সময়ে আদালত বাতিল করে দিতে পারেন, যদি তা সংবিধানের বেসিক স্ট্রাকচার বা মৌলিক কাঠামোর পরিবর্তন করে। অর্থাৎ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করা যায় না।
জুলাই সনদে এমন অনেক সাংবিধানিক পরিবর্তন সুপারিশ করা হয়েছে, যা বিদ্যমান সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে পরিবর্তন করে। হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের সীমা, মূলনীতির পরিবর্তনসহ বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে যা বিদ্যমান সংবিধানের অধীন গঠিত সংসদের এখতিয়ারবহির্ভূত। এ কারণে জনগণের গাঠনিক ক্ষমতার ওপর ভর করেই এ পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। আদালত পরিবর্তিত গণ-অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে নতুন মৌলিক কাঠামোর আলোকে বিচারিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
জুলাই সনদ গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হলে পরবর্তী সংসদ কিছু সময়ের জন্য (প্রথম অধিবেশন পর্যন্ত) দ্বৈত ভূমিকা পালন করবে। গণভোটের রায়কে সংবিধানে গ্রহণ করার লক্ষ্যে গাঠনিক এখতিয়ারসম্পন্ন গণপরিষদ তার কাজ সম্পন্ন করে বাকি মেয়াদ সাধারণ আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে আইনসভার ভূমিকা পালন করবে। এ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ অধিকতর স্থিতিশীল ও কার্যকর হবে।
জাবেদ রাসিন যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য, সংস্কার সমন্বয় কমিটি, এনসিপি
সারোয়ার তুষার যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রধান, সংস্কার সমন্বয় কমিটি, এনসিপি