চাঁদাবাজি মামলায় ফতুল্লা থানা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর  দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদলত। রবিবার (১৮ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হায়দার আলী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে রিমান্ড শুনানি শেষে  জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়াকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।

রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামি- রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। রিমান্ড শুনানির সময় ভার্চ্যুয়ালি আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো.

কাইউম খান বলেন, রিয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। 

তিনি আরও বলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়ার উপরে হামলার অভিযোগ উঠলে, আদালতের নির্দেশে তাকে তার চেম্বারে দিয়ে এসেছেন পুলিশ সদস্যরা। 

এদিকে রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়াকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে। 

এ বিষয়ে আব্দুল বারী ভূইয়া বলেন, রিমাণ্ড শানানিতে কোর্ট পরিদর্শক আমাকে সহযোগিতা করতে বলায় আমি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে শুনানিতে ছিলাম ও বক্তব্য রেখেছিল। আদালতে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

তিনি আরও বলেন, রিমান্ড মঞ্জুর শেষে আমি কোর্ট কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর ক্যাশিয়ার আমির, হারুন, আব্দুল মান্নান, সাগর সিদ্দিকির নেতৃত্বে ৫-৬শ জন লোক নিয়ে আমার উপর হামলা করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ওই সময় আমাকে পাশের চীফ জুডিসিয়ার ম্যাজিস্ট্রেটের কক্ষে সরিয়ে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে চীফ জুডিসিয়ার ম্যাজিস্ট্রেটকে জানালে তিনি পুলিশি নিরাপত্তায় আমার চেম্বারে পৌছে দেন। 

এর আগে গত ১৫ থাইল্যান্ড পালানোর পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে আটক করা হয়। পরে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। একই সাথে এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়

। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে এক ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়ার অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। পরে অডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই ঘটনায় ব্যবসায়ী আজাদ বাদী হয়ে মামলা করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে চাঁদাবাজীর ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় এস আই শামীম হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় রিয়াদকে আসামি করা হয়।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব র য় দ ম হ ম মদ চ ধ র ব এনপ র স আইনজ ব সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়

একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই বিয়ে করেন দুজন ব্যক্তি; কিন্তু একসঙ্গে থাকতে শুরু করার পর সবচেয়ে আপন এই মানুষের সঙ্গেও নানা কারণে তৈরি হয় মতবিরোধ। এক কথা, দুই কথায় বাধে ঝগড়া। বয়োজ্যেষ্ঠদের মতে, স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া আসলে এক জায়গায় রাখা দুটি বাসনের ঠোকাঠুকির মতো। এগুলো জীবনেরই অংশ; কিন্তু এই ঠোকাঠুকি বাড়তে দিলেই বিপত্তি। তাই দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া কমিয়ে আনতে চাইলে প্রথমে মতবিরোধের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্বজুড়ে কী কারণে দাম্পত্যে ঝগড়া হয় বেশি, চলুন আগে সেটিই জেনে নেওয়া যাক।

১. বোঝাপড়ার অভাব

নাবিলা ও রাফি (ছদ্মনাম) দুজনেই চাকরিজীবী। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে ক্লান্ত নাবিলা আশা করেন, স্বামী তাঁর কাছে জানতে চাইবেন সারা দিন কেমন কাটল। কিন্তু তা না করে চুপচাপ নিজের মনে ফোন স্ক্রল করেন রাফি।

স্বামীর এমন আচরণে কষ্ট পান নাবিলা। অন্যদিকে রাফি ভাবেন, সারা দিন কাজের পর স্ত্রীর হয়তো কথা বলতে ইচ্ছা করছে না, ও একটু নিজের মতো থাকুক। দুজনের চাওয়া ভিন্ন। এভাবে নিজের প্রত্যাশার কথা না জানিয়ে দিনের পর দিন কাটাতে থাকলে মনের ভেতর ক্ষোভ জমা হতে থাকে।

আবার বাসার বাড়তি বিল নিয়ে রাফি যখন চিন্তিত, সেটিকে পাত্তা না দিয়ে হেসে উড়িয়ে দিলেন নাবিলা। এভাবে অপর পক্ষকে কষ্ট দিতে না চেয়েও কষ্ট দিচ্ছেন তাঁরা। দাম্পত্য কলহ নিয়ে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করা মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জন গটম্যান জানান, ৬৯ শতাংশ বৈবাহিক দ্বন্দ্বের কারণ পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব।

আরও পড়ুনধনীদের ৮টি অভ্যাস, যা মধ্যবিত্তদের চোখে ধরা পড়ে না১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫২. অর্থনৈতিক হিসাব

একজন বাইরে খেতে ভালোবাসেন, অন্যজন সঞ্চয়ে বিশ্বাসী। আর এতেই বাধে বিপত্তি। এ ছাড়া দুজনেই আয় করলে কে কোন খাতে ব্যয় করবেন, তা নিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য বিচ্ছেদ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।

অভিজ্ঞতার আলোকে এই আইনজীবী বলেন, ‘কেউ নিজের শখ পূরণ করতে গিয়ে অন্যের দিকটা ভাবছেন না, কেউ আবার নিজের ইচ্ছা–অনিচ্ছায় ক্রমাগত ছাড় দিয়েই যাচ্ছেন। সংসারে বারবার একপক্ষীয় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যিনি ছাড় দিচ্ছেন, তাঁর মনে অসন্তুষ্টি তৈরি হয়, যা একসময় বড় ঝগড়ায় রূপ নেয়।’

এ ছাড়া ছোটখাটো অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা বলছে, টাকাপয়সা নিয়ে ঝগড়া করা দম্পতিদের ৩০ শতাংশই সম্পর্কে খুশি থাকেন না।

৩. সময় না দেওয়াসঙ্গীকে সময় না দিলে দ্বন্দ্ব বাড়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • আইনজীবী সোমার মৃত্যুতে আইনজীবী সমিতির শোক সভা ও দোয়া
  • এনায়েত করিম ও গোলাম মোস্তফা পাঁচ দিন রিমান্ডে
  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া প্রশ্নে রুল
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রাখতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
  • পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম
  • চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট
  • আন্তর্জাতিক সিডও দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভা 
  • বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড