নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। এ দাবি বাস্তবায়িত না হলে আগামী শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন গণঅধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ২০১৮ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় নেতা ছিলেন। শুধু নেতা বললে ভুল হবে, প্রথম সারির নেতা ছিলেন। হিযবুত তাহরীর করার কারণে একাধিকবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসাজশ করে কারাগার থেকে বের হন তিনি। এবং কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন।

ফারুক হাসান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ধান্দাবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি প্রতিটি অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এজাজ। এরপর আন্দোলন-সংগ্রাম শুরুর পর খোলস পাল্টে এ সরকারের নব্যবিপ্লবী বনে যান। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সঙ্গে তলে তলে গোপন চুক্তি করে এই এজাজ ডিএনসিসির প্রশাসক হয়েছেন।’

৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ সরকার তথা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে এজাজকে অপসারণ করে গ্রেপ্তার করা না হলে আগামী শনিবার আমাদের কর্মসূচি হবে যমুনার সামনে।’

সমাবেশের আগে ঢাকা উত্তর সিটির নগর ভবনের সামনে প্রশাসক এজাজের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। সমাবেশ শেষে নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল হয়। গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচির পাশাপাশি তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদেরও পৃথকভাবে নগর ভবনের সামনে ডিএনসিসি প্রশাসকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এনস স ন র স মন ড এনস স সরক র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

হায়দরাবাদের তাণ্ডবে লক্ষ্ণৌর স্বপ্নভঙ্গ

ঘরের মাঠে জয়ই ছিল শেষ ভরসা। কিন্তু হায়দরাবাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের প্লে-অফ স্বপ্ন। ২০৫ রানের বিশাল স্কোর করেও শেষরক্ষা হলো না তাদের, ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

লক্ষ্ণৌর ইনিংসটি ছিল যেন এক অদ্ভুত সমীকরণ। ৯ ব্যাটারের মধ্যে ছয় জনই পার হতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। অথচ স্কোরবোর্ডে উঠে গেল ২০৫ রান! মূল কারিগর ছিলেন মিচেল মার্শ ও এইডেন মার্করাম। দুজনের ব্যাটে জমে ওঠে ১১৫ রানের বিধ্বংসী ওপেনিং জুটি। মার্শ ৩৯ বলে ৬৫ এবং মার্করাম ৩৮ বলে করেন ৬১ রান।

এরপর নিকোলাস পুরান ঝড়ো ৪৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন দুইশর দোরগোড়ায়। ইনিংসের শেষ বলে আকাশ দীপের ছক্কায় পূর্ণ হয় ২০৫ রানের চূড়া।

আরো পড়ুন:

মরুর বুকে বিজয়ানন্দ

এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টিকে ‘গুজব’ বলল বিসিসিআই

জবাবে হায়দরাবাদ ইনিংসের শুরুতেই হারায় ওপেনার অথর্ব তাইদেকে। তবে এরপর যা হলো, তা যেন এক পেশাদার চিত্রনাট্য। অভিষেক শর্মা ও ইশান কিষাণ গড়েন ৮২ রানের দুর্দান্ত জুটি। মাত্র ২০ বলে ৫৯ রান করে ম্যাচের গতি পাল্টে দেন অভিষেক। বিশেষ করে রবি বিষ্ণইয়ের এক ওভারে টানা চার ছক্কায় আসে তার বিধ্বংসী ফিফটি।

ইশান কিষাণ আউট হলে হাল ধরেন দুই বিদেশি হেনরিখ ক্লাসেন ও কামিন্দু মেন্ডিস। চাপের মুহূর্তে লঙ্কান ব্যাটার মেন্ডিস ১৪তম ওভারের প্রথম তিন বলে মেরে দেন তিনটি চার। সেখান থেকেই হায়দরাবাদের রানের চাকা ঘুরতে শুরু করে দুরন্ত গতিতে।

জয়ের মাত্র তিন রান দূরে ক্লাসেন ৪৭ রানে আউট হলেও কাজ শেষ করে দেন নিতিশ রেড্ডি। ১৮.২ ওভারে জয়সূচক রান তুলে ২০৬ রানে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে উঠে এলো হায়দরাবাদ। আর ১০ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে থেকেই বিদায় নিতে হলো লক্ষ্ণৌকে। প্লে-অফের শেষ টিকিট এখন কেবল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে কার হাতে উঠবে—সে দিকেই তাকিয়ে ক্রিকেটভক্তরা।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাকসু নীতিমালা প্রকাশ হবে বৃহস্পতিবার
  • অবৈধ আর্থিক লেনদেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাময়িক বরখাস্ত
  • এবার এক দফা আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত কুয়েট শিক্ষকদের
  • হান্নান মাসউদের জিম্মায় ছাড়া পেলেন তিন সমন্বয়ক
  • ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার নোবেল, যা বললেন প্রাক্তন স্ত্রী
  • অগ্নিগলা পাখির খোঁজে
  • অভিষেককে মাঠ ছাড়তে বলে ১ ম্যাচ নিষিদ্ধ লক্ষ্ণৌর স্পিনার
  • অভিষেককে মাঠ ছাড়তে বলে ১ ম্যাচ নিষিদ্ধ লখনৌর স্পিনার
  • হায়দরাবাদের তাণ্ডবে লক্ষ্ণৌর স্বপ্নভঙ্গ