ডিএনসিসি প্রশাসককে অপসারণে গণঅধিকার পরিষদের আল্টিমেটাম
Published: 20th, May 2025 GMT
নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। এ দাবি বাস্তবায়িত না হলে আগামী শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন গণঅধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ২০১৮ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় নেতা ছিলেন। শুধু নেতা বললে ভুল হবে, প্রথম সারির নেতা ছিলেন। হিযবুত তাহরীর করার কারণে একাধিকবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসাজশ করে কারাগার থেকে বের হন তিনি। এবং কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন।
ফারুক হাসান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ধান্দাবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি প্রতিটি অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এজাজ। এরপর আন্দোলন-সংগ্রাম শুরুর পর খোলস পাল্টে এ সরকারের নব্যবিপ্লবী বনে যান। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সঙ্গে তলে তলে গোপন চুক্তি করে এই এজাজ ডিএনসিসির প্রশাসক হয়েছেন।’
৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ সরকার তথা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে এজাজকে অপসারণ করে গ্রেপ্তার করা না হলে আগামী শনিবার আমাদের কর্মসূচি হবে যমুনার সামনে।’
সমাবেশের আগে ঢাকা উত্তর সিটির নগর ভবনের সামনে প্রশাসক এজাজের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। সমাবেশ শেষে নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল হয়। গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচির পাশাপাশি তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদেরও পৃথকভাবে নগর ভবনের সামনে ডিএনসিসি প্রশাসকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এনস স ন র স মন ড এনস স সরক র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’