আড়াইহাজারে গ্যাস বিস্ফোরণে ৪ শ্রমিক দগ্ধ
Published: 22nd, May 2025 GMT
আড়াইহাজার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে চার শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- কামরুল হাওলাদার (৩০), আতিকুর রহমান (২৫), মো. আফ্রিদি (২৪) এবং মো. হাবিবুর রহমান সোহাগ (৩২)।
আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী মো. আসলাম জানান, চারজনই খানপাড়া এলাকার মিথিলা টেক্সটাইল মিলে কাজ করেন এবং একসঙ্গে একটি রুমে থাকেন। সকালে রান্না করার সময় গ্যাস জমে থাকা কারণে ম্যাচ জ্বালাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তারা দগ্ধ হন। ঘটনা জানার পর দ্রুত তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
মিথিলা টেক্সটাইল মিলের পরিচালক হিমেল খান জানান, ওই এলাকায় শ্রমিকরা একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। বৃহস্পতিবার ভোরে রান্না করার সময় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে চারজন শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা নিয়মিত তাদের খোঁজ খবর রাখছি।
আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ রবিউল হাসান বলেন, দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।