আড়াইহাজার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে চার শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- কামরুল হাওলাদার (৩০), আতিকুর রহমান (২৫), মো. আফ্রিদি (২৪) এবং মো. হাবিবুর রহমান সোহাগ (৩২)। 

আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.

শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের মধ্যে আফ্রিদির শরীরের ৮ শতাংশ, আতিকুরের ৫ শতাংশ, কামরুলের ৩.৫ শতাংশ এবং হাবিবুরের ১.৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। সবাইকে জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী মো. আসলাম জানান, চারজনই খানপাড়া এলাকার মিথিলা টেক্সটাইল মিলে কাজ করেন এবং একসঙ্গে একটি রুমে থাকেন। সকালে রান্না করার সময় গ্যাস জমে থাকা কারণে ম্যাচ জ্বালাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তারা দগ্ধ হন। ঘটনা জানার পর দ্রুত তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

মিথিলা টেক্সটাইল মিলের পরিচালক হিমেল খান জানান, ওই এলাকায় শ্রমিকরা একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। বৃহস্পতিবার ভোরে রান্না করার সময় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে চারজন শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা নিয়মিত তাদের খোঁজ খবর রাখছি।

আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ রবিউল হাসান বলেন, দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।  

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করতে হবে : মমিনুল হক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার বলেছেন, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।  

 বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই ) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সাথে মত বিনিময়কালে এ বক্তব্য রাখেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ড. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা, দেওয়ান খোরশেদ আলম, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম প্রমূখ।   শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ ইমরানের পিতা সালেহ আহমদ, শহীদ মেহেদী হাসানের পিতা মো সানাউল্লাহ। আহতদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো বায়েজিদ, মেহেদী, আশিক, রাজু মণ্ডল, মাসুম প্রমূখ। 

মত বিনিময় সভায় বক্তাগণ বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা গোটা বাংলাদেশে জুলুম নির্যাতনের স্টীম রোলার চালিয়ে নিজেকে নিকৃষ্ট স্বৈরাচার হিসেবে উপস্থাপন করেছিল। রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমন পরিবর্তন আনতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ স্বেরাচার হতে না পারে। 

স্বৈরাচারী হাসিনা জনগণের বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ছিলো, সংবিধানে এমন পরিবর্তন আনতে হবে যাতে কেউ সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই বিপ্লবের শহীদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন করতে হবে : কাজী মনির 
  • জুলাই সনদ, বিচার, নির্বাচন সব প্যাকেজ আকারে হতে হবে 
  • জুলাই সনদ, বিচার, নির্বাচন সব প্যাকেজ আকারে হতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ 
  • জুলাই সনদ ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করতে হবে : মমিনুল হক