পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৫ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা
Published: 24th, May 2025 GMT
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ থেকে ২২ মে) দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ১৭৯ কোটি ৭ লাখ টাকা।
শনিবার (২৪ মে) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪.
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩৯৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৫ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩২টির, দর কমেছে ৩৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২৩টির। তবে লেনদেন হয়নি ২৩টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯১.৭২ পয়েন্ট বা ০.৬৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৭৪ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৪১২ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৮০ শতাংশ কমে ৮ হাজার ১৭৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৮৩ শতাংশ কমে ৮৬১ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১.৩৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৭ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৭৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৩টির, দর কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ র ম লধন আর ব দ ন কম ছ স এসই ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: টানা চার কার্যদিবস সূচকের উত্থান
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে টানা চার কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হয়েছে। এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩২.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৮ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬.৮৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১০০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৪.৪১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৯৬টি কোম্পানির, কমেছে ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টির।
আরো পড়ুন:
বন্ড ইস্যু পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনছে ইস্টার্ন ব্যাংক
বিদেশি কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে শিল্প উপদেষ্টা-বিএসইসি বৈঠক
এদিন ডিএসইতে মোট ৬৭৯ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৯০ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬২.৫৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৫৯৮ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১৮.৪০ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৭৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৯.৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ৮৯৬ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৯৪.৮৮ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২৩০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১২৫টি কোম্পানির, কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮টির।
সিএসইতে ১৪ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৮ কোটি ৩৫ লাখ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/এসবি