ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ শনিবার ভোরে চালানো এই হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। কিয়েভ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া কিয়েভে ২৫০টি ড্রোন এবং ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে রাজধানীর একাধিক আবাসিক ভবনে আগুন লাগে। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি কিয়েভ শহরের উপর সবচেয়ে বড় সম্মিলিত (ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র) বিমান হামলা।

বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তারা ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২৪৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

আরো পড়ুন:

রাশিয়া-ইউক্রেন ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করবে: ট্রাম্প

শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা রাশিয়ার

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে বলেন, “এই ধরনের প্রতিটি হামলার মাধ্যমে বিশ্ব আরো নিশ্চিত হয়ে উঠেছে যে, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার কারণ মস্কো।

তুরস্কে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর রাশিয়া এবং ইউক্রেন বন্দী বিনিময়ে অংশ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই এই হামলা শুরু হয়।

একটি ‘কঠিন রাত’ বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, কিয়েভ জুড়ে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সরাসরি আঘাত আঘাত বা ধ্বংসাবশেষ পড়ে অনেক ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কিয়েভের কেন্দ্রস্থলের ঠিক বাইরে বসবাসকারী ৬৪ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা ওলহা চিরুখা রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে বলেন, “আমি চাই রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হোক। এভাবে মানুষদের ওপর বোমাবর্ষণ করা- বিশেষ করে শিশুদের। আমার তিন বছরের নাতনি ভয়ে চিৎকার করছিল।”

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, “রাশিয়ার অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে লক্ষ্য করে ‘অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা’ মস্কোকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে বাধ্য করতে পারে।”

রাশিয়া গত সপ্তাহে অভিযোগ করেছিল যে, ইউক্রেন দেশটিতে শত শত ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে মস্কোর ওপর হামলাও রয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ৪৮৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

অবৈধভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না: ফয়জুল করীম

হত্যা, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ করে অবৈধভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। শনিবার বিকেলে বরিশাল নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হলে এ সমাবেশ হয়। সমাবেশ শুরুর আগে ঢাকার সোহাগ হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নগরী প্রদক্ষিণ করে। 

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এ সময় বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের চরিত্র একই। দল দুটির নেতাকর্মীরা খুনি, ধর্ষক। হাতে তাদের রক্তমাখা থাকে। লোক দেখানো বহিষ্কার নয়, রাজধানীতে পাথর ছুড়ে প্রকাশ্যে যুবক হত্যার দায় দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা রাজনীতিকে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার বানাচ্ছে তারাই অতীতে দেশকে দুর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে। ঢাকায় সোহাগ হত্যার ঘটনাটি পুলিশ ভিন্নখাতে নিতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। 

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন- ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী।

মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আলামিন, মাওলানা মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ লোকমান হাকিম, সহ-সভাপতি শেখ শামসুল আলম মিলন, সেক্রেটারি মাওলানা আবুল খায়ের আশ্রাফী, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ কাওছারুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ