ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা
Published: 24th, May 2025 GMT
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ শনিবার ভোরে চালানো এই হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। কিয়েভ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া কিয়েভে ২৫০টি ড্রোন এবং ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে রাজধানীর একাধিক আবাসিক ভবনে আগুন লাগে। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি কিয়েভ শহরের উপর সবচেয়ে বড় সম্মিলিত (ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র) বিমান হামলা।
বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তারা ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২৪৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
আরো পড়ুন:
রাশিয়া-ইউক্রেন ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করবে: ট্রাম্প
শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা রাশিয়ার
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে বলেন, “এই ধরনের প্রতিটি হামলার মাধ্যমে বিশ্ব আরো নিশ্চিত হয়ে উঠেছে যে, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার কারণ মস্কো।
তুরস্কে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর রাশিয়া এবং ইউক্রেন বন্দী বিনিময়ে অংশ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই এই হামলা শুরু হয়।
একটি ‘কঠিন রাত’ বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, কিয়েভ জুড়ে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সরাসরি আঘাত আঘাত বা ধ্বংসাবশেষ পড়ে অনেক ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কিয়েভের কেন্দ্রস্থলের ঠিক বাইরে বসবাসকারী ৬৪ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা ওলহা চিরুখা রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে বলেন, “আমি চাই রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হোক। এভাবে মানুষদের ওপর বোমাবর্ষণ করা- বিশেষ করে শিশুদের। আমার তিন বছরের নাতনি ভয়ে চিৎকার করছিল।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, “রাশিয়ার অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে লক্ষ্য করে ‘অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা’ মস্কোকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে বাধ্য করতে পারে।”
রাশিয়া গত সপ্তাহে অভিযোগ করেছিল যে, ইউক্রেন দেশটিতে শত শত ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে মস্কোর ওপর হামলাও রয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ৪৮৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
গণমাধ্যমকর্মীকে নিজস্ব মতামত প্রচার বর্জন করতে হবে: প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম বলেছেন, সাংবাদিকতা পেশাকে অবশ্যই দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। গণমাধ্যম কর্মীকে বর্জন করতে হবে তার নিজস্ব মতামত প্রচার-প্রকাশ। গণমাধ্যমে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করলে গ্রহণযোগ্যতা পায় না। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা প্রতিষ্ঠিত করে। মানুষের মনে আস্থা তৈরি হয়। এর মধ্য দিয়ে একটি দেশের গণমাধ্যম পরিণত হয় মানুষের কণ্ঠস্বরে।
শনিবার যশোর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিচারপতি আব্দুল হাকিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের মর্যাদা নিশ্চিত করা না গেলে গণমাধ্যমকে কার্যত রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভে পরিণত করা যাবে না। এ জন্য স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দরকার। এসব বিবেচনা করেই সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলছে।’
গণমাধ্যমে তথ্য প্রচার-প্রকাশে ভুলভ্রান্তির বিষয়ে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভুল সংশোধন, দুঃখ প্রকাশ করার সংস্কৃতি আমাদের গণমাধ্যমগুলোকে গড়ে তুলতে হবে। এতে গণমাধ্যম আরও শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য হয়। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিও সন্তুষ্ট হয়। এটাই গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা।
বিচারপতি আব্দুল হাকিম বলেন, অপসাংবাদিকতা বন্ধে সাংবাদিকতা করতে পরীক্ষার মাধ্যমে সনদ প্রদানের জন্য আইন করার ব্যাপারে প্রেস কাউন্সিলে একটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ছাড়া প্রেস কাউন্সিল গণমাধ্যমের কোনো সংবাদে সাংবাদিকতার মান ও নীতির বিষয়ে ব্যত্যয় ঘটলে সে ব্যাপারে যাতে স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই গণমাধ্যম বা সাংবাদিককে জবাবদিহি করতে পারে, সে ক্ষমতাও সেই আইনে থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রেস কাউন্সিলের সচিব (উপসচিব) আবদুস সবুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, যশোরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বক্তব্য দেন। কর্মশালায় প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমে যশোরে কর্মরত কর্মীরা অংশ নেন।