নাপোলির সঙ্গে কথা-বার্তা পাকা ডি ব্রুইনের
Published: 25th, May 2025 GMT
বেলজিয়ামের ৩৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনি মনে করেন, এখনো তার ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ে খেলার সামর্থ্য আছে। সৌদি প্রো লিগ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস) থেকে প্রস্তাব পেলেও ইতালির লিগ চ্যাম্পিয়ন নাপোলিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যম ইএসপিএন দাবি করেছে, সিরি এ চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে কথা-বার্তা পাকা হয়ে গেছে ডি ব্রুইনির। নাপলসে এক পা দিয়েও ফেলেছেন ১০ বছর পর ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়তে যাওয়া ডি ব্রুইনি। তার সঙ্গে লম্বা চুক্তিই করতে যাচ্ছে নাপোলি।
ফুটবল দলবদল নিয়ে কাজ করা ইতালির সাংবাদিক মাতেও মোরাত্তো জানিয়েছেন, আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নাম তোলা নাপোলি ডি ব্রুইনির সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করতে যাচ্ছে। চুক্তিতে প্রথম দুই মৌসুম বার্ষিক ৬ মিলিয়ন ইউরো বেতনের শর্ত থাকছে। শেষ বছরে কমে যা হবে ৫ মিলিয়ন ইউরো।
তবে নাপোলির প্রস্তাবিত ওই বেতন ম্যানসিটিতে ডি ব্রুইনির সর্বশেষ বেতনের এক তৃতীয়াংশেরও কম। ম্যানসিটি থেকে বছরে ২০.
পেপ গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটির হয়ে ডি ব্রুইনি ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ জিতেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ একাধিক শিরোপা ঘরে তুলেছেন। গার্দিওলার ম্যানসিটির অন্যতম হাতিয়ার ছিলেন ডি ব্রুইনি। তবে দুই মৌসুম ধরে বারবার চোটে পড়ে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে। শেষ হতে যাওয়া মৌসুমেও একাধিকবার চোটের কবলে পড়েছেন তিনি। যে কারণে ম্যানসিটি তার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ভ ন ড ব র ইন ফ টবল দলবদল ব র ইন র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিপোতে পোঁতা ছিল বাস মালিকের লাশ
পরিবহন ব্যবসায়ী আনারুল হোসেন শিকদারকে হত্যার পর লাশ পুঁতে রাখা হয় তুরাগের বাস ডিপোতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষ্য, বাসের চালক ও নিরাপত্তাকর্মীর হাতে ব্যবসায়ী আনারুল নির্মমভাবে খুন হয়েছেন।
গত ১৭ জানুয়ারি নিখোঁজের পরদিন ঢাকার তুরাগ থানায় জিডি করেন পরিবারের সদস্যরা। এর পর তদন্তে নামে পুলিশ। দীর্ঘ চার মাস তদন্তের পর সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করে তুরাগ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা শিকার করে তারা। পরে তাদের দেখানো স্থান থেকে গতকাল রোববার আনারুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার তিনজন হলো– সবুজ, শাকিল ও কালাম। তিনজনই রাইদা পরিবহনের বাসচালক। শনিবার রাতে সবুজকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে শাকিল ও কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বিডিজবসের কর্মকর্তা দেলোয়ার শিকদার তুরাগ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, মালিককে হত্যা করার পরও আসামিরা স্বাভাবিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে আসছিল। পালিয়ে না যাওয়ায় তাদের সন্দেহের তালিকায় আনা হয়নি। তবে গত কয়েক দিন সবুজের কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ হয় তদন্ত-সংশ্লিষ্টদের। এক পর্যায়ে সবুজসহ তিনজনই পালিয়ে যায়। শনিবার তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যারহস্যের জট খোলে।
নিহতের ভাতিজা তানভির শিকদার সমকালকে জানান, নিখোঁজের পর থেকে আমাদের সন্দেহ হয় ডিপো নিয়ে। একাধিকবার নিরাপত্তাকর্মী আসাদুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সে জানায়, ঘটনার দিন সকালে তার কাছ থেকে কিস্তির ৩১ হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়ে যান চাচা।
তানভির শিকদার বলেন, ঘটনার ক’দিন আগে চাচা আমাকে জানান, সবুজের কাছে আট লাখ টাকা ও ডিপোর নিরাপত্তাকর্মী আসাদুল্লাহর কাছে বাস বিক্রির ১৮ লাখ টাকা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। তারা ঠিকমতো কিস্তি দিতে পারছে না। এ নিয়েই আসাদুল্লাহ ও সবুজ চাচাকে হত্যা করেছে।
আনারুল শিকদারের গ্রামের বাড়ি বরিশাল সদরে। স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে তিনি ঢাকার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ২৬ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করতেন। কয়েকটি গাড়ি কিনে রাইদা কোম্পানিকে ভাড়া দিয়েছিলেন।
তুরাগ থানার এসআই মামুনুর রশিদ জানান, রোববার বিকেলে ব্যবসায়ী আনারুলের লাশ মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।