জলবায়ু ও ভৌগোলিক বৈচিত্র্য বিবেচনায় রেফ্রিজারেটর আনছে গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলো
Published: 25th, May 2025 GMT
প্রথম আলো:
বাংলাদেশের রেফ্রিজারেটর বাজারে বড় ধরনের কী কী পরিবর্তন লক্ষ করছেন?
সাব্বির হোসেন: গত কয়েক বছরের তুলনায় ক্রেতারা এখন অনেক বেশি সচেতন এবং তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অভ্যস্ত। কোনো পণ্য কেনার আগে তাঁরা এনার্জি এফিশিয়েন্সি, ফিচার, মূল্য সামঞ্জস্য, সহজলভ্যতা ও বিকল্প অপশনগুলোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তা-ই নয়, শহর ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলেও এখন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম আলো:গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলোর রেফ্রিজারেটর কীভাবে সাধারণ ভোক্তার নাগালের মধ্যে এসেছে বলে আপনি মনে করেন?
সাব্বির হোসেন: স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের সুবিধা, উন্নত সাপ্লাই চেইন, ফাইন্যান্স স্কিম এবং বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের কারণে গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলো সহজেই সাধারণ ভোক্তার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিস্তিতে রেফ্রিজারেটর কেনার সুযোগ এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের কারণেও এগুলোর চাহিদা বাড়ছে।
প্রথম আলো:দেশের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য ও জলবায়ুর বিষয়টি মাথায় রেখে গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলো কি পণ্যের ফিচারে কোনো পরিবর্তন আনছে?
সাব্বির হোসেন: অবশ্যই। গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলো সব সময় স্থানীয় চাহিদা ও জলবায়ুর কথা মাথায় রাখে। যেমন এ দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী সিঙ্গার বেকো এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি কাস্টমাইজড ফিচার যুক্ত করে বাজারের চাহিদা মেটানো হচ্ছে।
প্রথম আলো:শহর ছাড়িয়ে উপজেলা বা গ্রামীণ পর্যায়ে এ ব্র্যান্ডগুলোর প্রসার কতটা বেড়েছে?
সাব্বির হোসেন: বর্তমানে দেশব্যাপী সিঙ্গারের ৫০০টির বেশি আউটলেট রয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সিঙ্গার ও বেকোর মতো গ্লোবাল ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটরসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য সহজলভ্য হয়ে উঠছে।
ঈদ উপলক্ষে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ কেনায় আকর্ষণীয় উপহার জেতার সুযোগ দিচ্ছে সিঙ্গার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল
এছাড়াও পড়ুন:
৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।
আরো পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা
সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী