বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা তৈরি পোশাকশিল্প খাত। সর্ববৃহৎ বেসরকারি  কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী এই খাতটি বর্তমানে বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জের মুখে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল, উচ্চ ব্যাংক সুদ, মজুরি বৃদ্ধি, গ্যাস ও বিদ্যুতের ঘন ঘন মূল্য বৃদ্ধির চাপে শিল্পটি পিষ্ট।

২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হচ্ছে। তখন রপ্তানিতে ৮৪ শতাংশ অবদান রাখা পোশাকশিল্প অনেক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুবিধা হারাবে, যা শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতায় সরাসরি আঘাত করবে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর রপ্তানি সাড়ে ৫ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। এই হ্রাসের মূল কারণ হবে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা (যেমন জিএসপি) হারানো। 

এ পরিপ্রেক্ষিতে এবারের বাজেট পোশাকশিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে সরকারের কাছে আমরা যে নীতি-সহায়তাগুলো আশা করছি, সেগুলোর মধ্যে  উল্লেখযোগ্য হলো, পোশাকশিল্পের করপোরেট করহার ১২ শতাংশ অব্যাহত রাখা হবে। রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর আগের মতো ০ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে ৫ বছরের জন্য তা বলবৎ রাখা হবে।
১২ শতাংশ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে আমরা আরও বেশি করপোরেট কর দিই। সরকার উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে অগ্রিম কর আদায় করে, যদিও সেই টাকা আর ফেরত পাওয়া যায় না। বর্তমানে আমাদের রপ্তানির বিপরীতে ১ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হচ্ছে। শুরুতে এটি ০ দশমিক ২৫ শতাংশ ছিল, তারপর ০ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়। এখান থেকে আবার ০ দশমিক ৬০ শতাংশ করা হয়। তার পর এক লাফে তা ১ শতাংশ করা হয়, যা শিল্পের সক্ষমতা কমিয়ে দেয়। 

আমাদের শিল্প, কটন-নির্ভরতাতা রয়ে গেছে। অথচ টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পোশাক হিসেবে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে নন-কটন পণ্যের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। বর্তমানে বৈশ্বিক পোশাক বাণিজ্যের ৫২ শতাংশ পণ্য নন-কটন। আমাদের নন-কটন পোশাকের রপ্তানির মাত্র ২৬ শতাংশ। নন-কটন পণ্যে আমাদের বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগানোর চেষ্টা অব্যাহত। সরকারের নীতি-সহায়তা এ চেষ্টাকে ত্বরান্বিত করবে। এ খাতে বিনিয়োগ ও রপ্তানি উৎসাহিত করতে এবং প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে বাজেটে নন-কটন পোশাক রপ্তানির ওপর বিশেষ প্রণোদনা থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে। সংশ্লিষ্ট সেবা খাতে ব্যাপক সুযোগ তৈরি হবে। সর্বোপরি সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বাড়বে।

বিজিএমইএ পরবর্তী প্রজন্মকে একটি পরিচ্ছন্ন পৃথিবী উপহার দিতে ফোর আর– রিইউজ, রিডিউস, রিসাইকেল, রিকভার ধারণার বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ করছে।  আমাদের কারখানাগুলো নতুন নতুন টেকনোলজি ব্যবহার ও প্রসেস আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে অপচয় কমিয়ে আনছে। প্রতিবছর টেক্সটাইল ও পোশাক খাত থেকে প্রায় ৫ লাখ টন ঝুট তৈরি হয়। এর একটি অংশ আমরা রপ্তানি করে থাকি, যার মাধ্যমে বছরে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার আয় হয়। ঝুটগুলো রিসাইকেল করলে আমরা প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পণ্য উৎপাদন করতে পারব, যা আমাদের দেশজ প্রবৃদ্ধি আনবে। তাই রিসাইক্লিং শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রক্রিয়া, পণ্য ও সেবাকে শুল্ক ও ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা দরকার। বিনিয়োগকারীরা এ খাতে আকৃষ্ট হবেন। 
জীবনযাত্রার ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির কারণে শ্রমিক ভাইবোন পরিবার-পরিজন নিয়ে দিশেহারা। তাদের জন্য যদি রেশনিং, ফেয়ার শপ করে দেওয়া হয়, কিছুটা হলেও সে সংকট কমবে। তারা সন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করবে। 

পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় কমানোর জন্য প্রত্যাশিত পদক্ষেপ হতে পারে– ১.

শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের বিভিন্ন পণ্য ও সেবাকে শতভাগ ভ্যাটমুক্ত করা। ২. কারখানাকে আধুনিক, নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত, পরিবেশবান্ধব এবং পরিচালনা ব্যয়সাশ্রয়ী করতে তালিকার বাইরে থাকা কিছু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি ও উপকরণ শুল্কমুক্ত/রেয়াতি হারে আমদানির অনুমোদন দেওয়া। ৩. পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপন ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সোলার পিভি সিস্টেমের সব সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক রেয়াত প্রদান।
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরও সহজ না হলে আমরা ক্রেতা হারাব। কারণ এ ব্যবসা ফ্যাশন ও টাইম বেজড। এক দিন দেরি হলে সমস্যায় পড়তে হয়। দুই দিন দেরি হলে অর্ডার বাতিল হয়ে যায়। আমদানি করা মাল দ্রুত খালাস ও রপ্তানির সময় কমাতে নিয়মকানুনের সহজীকরণ জরুরি। বন্ড ব্যবস্থাপনায় আমদানি পণ্যের চালান খালাসের সময় জটিলতা নিরসনে এইচএস কোড সহজ করা দরকার। 

মো. মহিউদ্দিন রুবেল: বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক; ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ০ দশম ক র জন য আম দ র ব যবস আমদ ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

হজের ইতিহাসে আক্রমণ ও ডাকাতি

রাজনৈতিক সংঘাত, মহামারি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও আগ্রাসী আক্রমণ এবং হজযাত্রীদের লুণ্ঠন হজের আয়োজনকে ব্যাহত করেছে। এই তৃতীয় পর্বে আমরা মঙ্গোল ও ক্রুসেডারদের আক্রমণ, সামাজিক-অর্থনৈতিক কারণ এবং হজের পথে ডাকাতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব।

মঙ্গোল ও ক্রুসেডারদের আক্রমণ

মঙ্গোল ও ক্রুসেডারদের আক্রমণ মুসলিম অঞ্চলগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে হজের পথকে বিপজ্জনক করে তুলেছিল। মঙ্গোলদের আক্রমণ ৬১৫ হিজরি (১২১৮ খ্রি.) সনে শুরু হয়, যখন তারা মঙ্গোলিয়া ও উত্তর চীন থেকে খোয়ারিজমীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এই আক্রমণ ইরান, ইরাক এবং মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংস করে দেয়। আবু শামা মাকদিসি (মৃ. ৬৬৫ হি.) তাঁর আয-যাইল আলা আর-রাওযাতাইন গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে ৬১৭ হিজরি (১২২০ খ্রি.) সনে খোরাসান ও পারস্য অঞ্চল থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি, কারণ মঙ্গোলদের ভয়ে পথ অনিরাপদ হয়ে পড়েছিল।

৬৩০ হিজরি (১২৩৩ খ্রি.) থেকে মঙ্গোলদের আক্রমণ ইরাকের দিকে মোড় নেয়, যা আব্বাসি খিলাফতের কেন্দ্র বাগদাদকে হুমকির মুখে ফেলে। ইমাম জাহাবি (মৃ. ৭৪৮ হি.) তাঁর তারিখ আল-ইসলাম গ্রন্থে বলেছেন যে এই সময়ে ইরাক থেকে হজ বন্ধ হয়ে যায়, কারণ মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে যুদ্ধে অংশ নিতে হয়। আব্বাসি খলিফা মুস্তানসির বিল্লাহ (মৃ. ৬৪০ হি.) হজ ত্যাগ করে মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফতোয়া পান। এই সিদ্ধান্ত হজ বন্ধের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ ছিল। ৬৫৬ হিজরি (১২৫৮ খ্রি.) সনে মঙ্গোলরা বাগদাদ দখল করে আব্বাসি খিলাফতের পতন ঘটায়, যা ইরাক থেকে হজ বন্ধের সময়কালকে আরও দীর্ঘায়িত করে।

ক্রুসেডারদের আক্রমণও হজের ওপর প্রভাব ফেলেছিল। ৪৯২ হিজরি (১০৯৯ খ্রি.) সনে ক্রুসেডাররা ফিলিস্তিন ও শামের উপকূলীয় অঞ্চল দখল করে। ইবনে কাসির (মৃ. ৭৭৪ হি.) তাঁর আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে ৬২৪-৬২৭ হিজরি (১২২৮-১২৩১ খ্রি.) সনে শামের হাজিরা তিন বছর ধরে হজে যেতে পারেননি। ক্রুসেডারদের উপস্থিতি ও আইয়ুবি শাসনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব পথের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে। এই আক্রমণগুলো হজের পথে ভয় ও অস্থিরতা ছড়িয়ে দেয়, যা হাজিদের যাত্রাকে প্রায় অসম্ভব করে তুলেছিল।

আরও পড়ুনহজের ইতিহাসে মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ২৪ মে ২০২৫কখনো কখনো শাসকেরাও লুটেরাদের সঙ্গে সমঝোতা করতেন। ৩৮৫ হিজরি সনে বদর ইবনে হাসানওয়াইহ কুর্দি (মৃ. ৪০৫ হি.) আসফার আরাবিকে ৫ হাজার দিনার প্রদান করেন, যাতে হাজিরা নিরাপদে যাত্রা করতে পারেন।

সামাজিক-অর্থনৈতিক বাধা

হজ পালনের জন্য অর্থনৈতিক সামর্থ্য এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাতেমি ও আব্বাসিদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সময় মিসর ও ইরাকে অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ইবনে জাওজি (মৃ. ৫৯৭ হি.) তাঁর আল-মুনতাজাম গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে ৪১১ হিজরি (১০২১ খ্রি.) সনে দক্ষিণ ইরাকের ওয়াসিতে যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের কারণে হজে গমন বন্ধ হয়ে যায়। এই অর্থনৈতিক সংকট হাজিদের জন্য পথের খরচ বহন করা অসম্ভব করে তুলেছিল।

৪৪১ হিজরি (১০৫০ খ্রি.) সনে বাগদাদে সুন্নি-শিয়া দাঙ্গা হয়, যা ইবনে কাসিরের বর্ণনা অনুযায়ী হজে যাতায়াত বন্ধের কারণ হয়। এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত হাজিদের মধ্যে ভয় ও অনাস্থা সৃষ্টি করে, যার ফলে তাঁরা হজে যাওয়া থেকে বিরত থাকতেন।

ডাকাতি ও লুটপাট

আরব উপদ্বীপের মরুভূমি এবং অন্যান্য অঞ্চলের পথে বেদুইন ও অন্যান্য লুটেরা গোষ্ঠী হাজিদের কাফেলার ওপর হামলা চালাত। ইবনে আসির (মৃ.৬৩০ হি.) তাঁর আল-কামিল গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে ৩৮৪ হিজরি (৯৯৫ খ্রি.) সনে আসফার আরাবিকে নামক একজন বেদুইন নেতা হাজিদের পথ রোধ করে এবং তাদের সম্পদ দাবি করে। আলোচনার পর হাজিরা সময়ের অভাবে ফিরে আসেন এবং হজ পালন করতে পারেননি।

আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল ৪২৪ হিজরি (১০৩৪ খ্রি.) সনে। ফাসি (মৃ. ৮৩২ হি.) তাঁর শিফা আল-গারাম গ্রন্থে বলেছেন যে এই বছরে ইরাক ও মিসর থেকে হাজিরা বেদুইনদের ভয়ে হজে যেতে পারেননি। যাঁরা বসরা থেকে যাত্রা করেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও লুটেরারা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁদের সম্পদ লুট করে।

কখনো কখনো শাসকেরাও লুটেরাদের সঙ্গে সমঝোতা করতেন। উদাহরণস্বরূপ, ৩৮৫ হিজরি (৯৯৬ খ্রি.) সনে বদর ইবনে হাসানওয়াইহ কুর্দি (মৃ.৪০৫ হি.) আসফার আরাবিকে ৫ হাজার দিনার প্রদান করেন, যাতে হাজিরা নিরাপদে যাত্রা করতে পারেন। ইবনে তাগরিবারদি (মৃ. ৮৭৪ হি.) এ ঘটনার উল্লেখ করে বলেছেন যে এটি একটি নিয়মিত রীতিতে পরিণত হয়েছিল।

আরও পড়ুনমদিনার হজ কার্যালয় যেন 'বাংলাদেশ'২২ জুন ২০২৪৬৫৬ হিজরি (১২৫৮ খ্রি.) সনে মঙ্গোলরা বাগদাদ দখল করে আব্বাসি খিলাফতের পতন ঘটায়, যা ইরাক থেকে হজ বন্ধের সময়কালকে আরও দীর্ঘায়িত করে।

ফিকহের দৃষ্টিকোণে ডাকাতির প্রভাব

হজের পথে ডাকাতি ও লুটপাট ফিকহের আলোচনায়ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেয়েছে। ইমাম কাসানি (মৃ. ৫৮৭ হি.) তাঁর বাদাইউস সানাই গ্রন্থে বলেছেন যে পথে নিরাপত্তার অভাব হজের ফরজ হওয়াকে বাতিল করে। মালিকি ফকিহরা দীর্ঘ পথে ডাকাতির ঝুঁকির কারণে হজের বাধ্যবাধকতা স্থগিত করার ফতোয়া দিয়েছিলেন। ইবনে রুশদ (জাদ্দ) (মৃ. ৫২০ হি.) ও তুরতুশি (মৃ. ৫২০ হি.) বলেছেন যে পথের ঝুঁকি হজকে নিষিদ্ধ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।

 আল–জাজিরা ডট নেট অবলম্বনে

পর্ব-২: হজের ইতিহাসে মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ

পর্ব-১: হজের ইতিহাসে রাজনৈতিক ঘটনাচক্র

আরও পড়ুনসহজ ওমরাহ ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ