কয়রায় মৎস্যঘের দখল ও লুটপাটের অভিযোগ
Published: 27th, May 2025 GMT
খুলনার কয়রা উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর মৎস্যঘেরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার এ অভিযোগ করে।
সংবাদ সম্মেলনে বানিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা চন্দন রায় লিখিত বক্তব্যে বলেন, তাঁদের পরিবার অন্তত চার পুরুষ ধরে সুন্দরবনসংলগ্ন ওই গ্রামে বসবাস করছে। গ্রামের ১০০ বিঘা জমিতে তাঁদের একটি মৎস্যঘের রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০ বিঘা জমি তাঁদের নিজস্ব এবং বাকিটা লিজ ও ডিসিআরের ভিত্তিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
চন্দন রায়ের দাবি, গত বছরের ১৯ নভেম্বর স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থক আফজাল শিকারি, বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত গফুর গাজী, রতন সরদারসহ ১০ থেকে ১৫ জন জোরপূর্বক তাঁদের ঘেরে প্রবেশ করে জাল ফেলে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার মাছ লুট করেন। এর পর থেকে তাঁরা ঘেরে আর ঢুকতে পারছেন না। ঘেরে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাছ ছিল।
চন্দন রায় বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের হুমকি ও দাপটে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রতিবাদ করায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্বজনদের মারধর করা হয়। ভয় এবং নিরাপত্তার অভাবে এত দিন চুপ ছিলাম। এখন আর সহ্য করতে পারছি না।’
লিখিত বক্তব্যে চন্দন রায় উল্লেখ করেন, ‘আমরা দ্বন্দ্ব–সংঘাত চাই না। এ কারণে ঘের দখলের বিষয় নিয়ে আমরা বিবাদীদের নাম উল্লেখ করে কয়রা থানায় লিখিত অভিযোগ করি। এরপর সেখানে দুপক্ষের উপস্থিতিতে কাগজপত্রে আমাদের মালিকানা প্রমাণিত হওয়ায় গফুর গাজীদের ঘেরে অনধিকার প্রবেশ ও লুটপাট বন্ধ করার নির্দেশ দেয় পুলিশ। কিন্তু জানি না, কোন অদৃশ্য শক্তির বলে তাঁরা এখনো আমাদের মৎস্যঘের জবরদখল ও লুটপাট অব্যাহত রেখেছেন।’
চন্দন রায় দখলদারদের কবল থেকে মৎস্যঘের ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ও ল টপ ট
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন