পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠানের প্রার্থনা মিছিল শেষে কফিন সমাধিস্থলে পৌঁছেছে। পোপের কফিন ধীরে ধীরে এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে রোমের সান্তা মারিয়া ম্যাগিওর গির্জায় সমাহিত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

শোভাযাত্রাটি ভ্যাটিকান সিটি থেকে বেরিয়ে আরো ছয় কিলোমিটার অর্থাৎ পৌনে চার মাইল পথ পাড়ি দেয়।

সাধারণ মানুষ রাস্তার দুই পাশে স্থাপিত ব্যারিকেডের পেছন থেকে শোক শোভাযাত্রাটি অনুসরণ করতে পেরেছে। তবে সরাসরি শোভাযাত্রার পেছনে হাঁটার সুযোগ ছিল না।

পথে পথে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন ছিল যারা তীর্থযাত্রীদের দিকনির্দেশনা, চিকিৎসা সহায়তা ও পানি সরবরাহ করেছে।

সূত্র: বিবিসি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে গণহত্যা দিবস পালন

নাটোরের লালপুর উপজেলায় ১৯৭১ সালের ৫ মে উত্তরবঙ্গের ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৫ মে) সকালে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল কর্তৃপক্ষের আয়োজনে মিলের শহীদ সাগর চত্বরে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান  মিলস কর্তৃপক্ষ ও শহীদদের পরিবারের সদস্যরা। 

পরে আলোচনা সভা শেষে শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবির, শহীদ পরিবারের সন্তান শাহীন হাসান তালুকদার, ফরহাদুজামান রুবেল, মামুনুর রশিদ, মিলের শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মমিন প্রমুখ। এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্যরা ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

দুলাভাইকে হত্যা, শ্যালকের যাবজ্জীবন

মুন্সীগঞ্জে দিনমজুরের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহিনী নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল অবরুদ্ধ করে তৎকালীন প্রশাসক লে. আনোয়ারুল আজিম, ৪২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ শতাধিক বাঙালিকে মিলের পুকুর (বর্তমান শহীদ সাগর) পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের চোখ বেঁধে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়।

স্বাধীনতার পর পুকুরটির নামকরণ করা হয় শহীদ সাগর। স্মৃতিস্তম্ভের সামনে জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আর মিলের তৎকালীন প্রশাসক লে. আনোয়ারুল আজিমের নামে আজিমনগর রেলওয়ে স্টেশন নামকরণ করা হয়। লালপুরবাসীর জন্য এটি শোকাবহ দিন। 
 

ঢাকা/আরিফুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ