রূপগঞ্জে আন্ডারপাস নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন
Published: 5th, May 2025 GMT
রূপগঞ্জে মহাসড়কে আন্ডারপাস নির্মাণের দাবিতে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
একই দাবিতে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ও ঢাকাস্থ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাসির মিয়া বলেন, দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। সড়কটি দুই লেন থেকে উন্নীত করে ৬ লেন করা হচ্ছে। ব্যস্ততম এ সড়ক নির্মাণ করা হলে গোলাকান্দাইল-বালিয়াপাড়া সড়কটি বন্ধ হয়ে যাবে।
তাছাড়া এ সড়ক পথে দৈনিক শত শত ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। বাইপাস সড়কের উভয়পাশে বসবাসরত কয়েক হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক পারাপার হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে।
গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ভুমি অফিস সংলগ্ন স্থানে একটি আন্ডারপাস নির্মাণ খুবই জরুরি। তিনি আরো বলেন, চলতি বছর ২৪ এপ্রিল তেজগাঁও সড়ক ভবনের প্রকল্প পরিচালক এবং ২০২৪ সালে ৬ মার্চ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
তারপরও কোনো গুরুত্ব না দেয়ায় সোমবার এলাকার কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী আন্ডারপাস নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
ঢাকা বাইপাস সড়কের উভয়পাশে একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি কিন্ডারগার্টেন, ৩টি মাদ্রাসা ও এতিমখানা, হাজার বছরের গোলাকান্দাইল হাট-বাজার, ৬টি মসজিদ রয়েছে।
এ সড়ক পারাপার হতে গিয়ে যানবাহনের নিচে চাপা পড়ে গত ৪ বছরে ৩জন নিহত হয়েছেন। এ জনদুর্ভোগ নিরসনে একটি আন্ডারপাস নির্মাণ খুবই জরুরি বলে এলাকাবাসী দাবি করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- গোলাকান্দাইল মজিবর রহমান ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রীনা আক্তার, সাপ্তাহিক আমাদের রূপগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো.
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর দাবি যৌত্তিক। ঢাকা বাইপাস সড়কের গোলাকান্দাইল এলাকায় একটি আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগে লিখিত আকারে দাবি জানানো হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ এল ক ব স র পগঞ জ এ সড়ক
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির প্রস্তাব বাতিল করে আশাশুনিকে স্বতন্ত্র নির্বাচনী আসন করার দাবিতে মানববন্ধন
আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলাকে একীভূত করে সংসদীয় সাতক্ষীরা-৪ আসন করার প্রস্তাব বাতিল ও আশাশুনি উপজেলাকে স্বতন্ত্র আসন করার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আশাশুনি উপজেলা পরিষদ সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাতক্ষীরার দুটি আসনসহ দেশের ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০ জুলাই এ খসড়া প্রকাশ করা হয়। পুনর্বিন্যাস করার আগে আশাশুনি ছিল সংসদীয় আসন সাতক্ষীরা-৩ এর মধ্যে। আশাশুনির ১১টি ইউনিয়ন, দেবহাটা উপজেলার পাঁচটি ও কালীগঞ্জ উপজেলার চারটিসহ মোট ২০টি ইউনিয়ন নিয়ে ছিল সাতক্ষীরা-৩ আসন। পুনর্বিন্যাসের পর শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও আশাশুনির ১১টি আসন নিয়ে সংসদীয় আসন সাতক্ষীরা-৪ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এতে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুস সোবহান, শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির নুরুল আবছার মুরতাজা, আশাশুনি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি এ বি এম আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আশাশুনি চারটি ও শ্যামনগর তিনটি দ্বীপে বিভক্ত। যোগাযোগব্যবস্থা খুবই নাজুক। আশাশুনির সঙ্গে শ্যামনগরের সড়কপথে সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। আশাশুনি থেকে শ্যামনগর যেতে হলে কালীগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে যেতে হয়। না হলে নদী পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। নদীর ওপর নেই কোনো সেতু। বিচ্ছিন্ন ও দূরবর্তী দুটি উপজেলা নিয়ে আসনবিন্যাস অকল্পনীয়। জনকল্যাণের কথা বিবেচনা করলে আশাশুনিকে কখনো শ্যামনগরের সঙ্গে একীভূত করা যায় না। আশাশুনিকে স্বতন্ত্র আসন না করা হলে আশাশুনির ভোটাররা ভোট বর্জন করবেন এমন প্রচার পাড়া–মহল্লায় শোনা যাচ্ছে দাবি করে ন্যায্য জনদাবির প্রতি সমর্থনের জোর আবেদন জানানো হয়।
বক্তারা অবিলম্বে আশাশুনিকে সাতক্ষীরা-৪ আসনে একীভূত করার প্রস্তাব বাতিল করার দাবির পাশাপাশি আশাশুনি ২০০৮ সালের আগে যে স্বতন্ত্র আসন ছিল, তা বহাল করার দাবি জানান।