প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন
Published: 5th, May 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সুপারিশ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন। আজ সোমবার সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে বিনামূল্যে ও স্বতন্ত্র হেলথ ক্যাডার সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালে জনবল নিয়োগ, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা বৃদ্ধি, রোগীদের বিদেশমুখীতা কমাতে নতুন হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব করেছে কমিশন।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিতর্ক এড়াতেই কি হৃদয়কে নেতৃত্ব থেকে আড়াল করা
নাজমুল শান্ত বাংলাদেশ টি-২০ দলের নেতৃত্ব ছাড়ছেন এটা গত বছরই নিশ্চিত হয়ে গেছে। তার জায়গায় নতুন অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাস বোর্ডের প্রথম পছন্দ ছিল। আলোচনায় ছিলেন তাওহীদ হৃদয়ও। রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের আগে লিটন দাসকে অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছে।
তার ডেপুটি হিসেবে শেখ মেহেদীর নাম ঘোষণা হতেই সংবাদ সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকরা মুখ চাওয়া-চাওয়ি। শেখ মেহেদীর নাম যে অপ্রত্যাশিত। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে প্রশ্ন পর্বে প্রথম উত্তরও দিতে হলো সহঅধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে, ‘মেহেদী অভিজ্ঞ এবং টি২০ দলে অপরিহার্য, তাই তাকে লিটনের ডেপুটি করা হয়েছে।’
এই একটি বিষয় ছাড়া টি২০ দলে পরিবর্তন মোটামুটি মেনে নেওয়ার মতেই। যদিও ১৮ ইনিংসে ফিফটি না পাওয়া নাজমুল শান্তর দলে থাকা, মেহেদী মিরাজের বাদ পড়া, নাসুম আহমেদকে ছেঁটে ফেলা আলোচনার খোরাক দেয়। জাতীয় দলের সাবেক দুই অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন এবং খালেদ মাসুদ পাইলটও কয়েকটি সিদ্ধান্ত দেখে অবাক হয়েছেন।
শেখ মেহেদী ঘরোয়া ক্রিকেটে কখনও নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে কেউ মনে করতে পারলেন না। মাঠের মানুষ কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনও বলতে পারলেন না। অধিনায়ক, সহঅধিনায়ক এবং টি২০ দল নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিসিবির সাবেক এ পরিচালক বলেন, ‘শেখ মেহেদীর ক্যাপ্টেন্সি কখনও দেখিনি। কেমন হবে বলতে পারব না। অধিনায়ক হিসেবে লিটনকে বেছে নেওয়া ভালো সিদ্ধান্ত। ভাইস ক্যাপ্টেন হিসেবে তরুণ কাউকে দিতে পারত তৈরি হওয়ার জন্য। তাওহীদ হৃদয় ভালো বিকল্প। তার ক্রিকেট মেধাও খুব ভালো। আমি বলছি না শেখ মেহেদী খারাপ। ভবিষ্যৎ চিন্তা করলে হৃদয় হতে পারত।’
সহঅধিনায়ক হিসেবে খালেদ মাসুদ পাইলটেরও প্রথম পছন্দ হৃদয়। তাঁর মতে, ‘সহকারী হিসেবে তাওহীদ হৃদয়কে রাখলে ভালো হতো। সে টি২০তে সব ম্যাচই হয়তো খেলবে। স্পিন-পেস সব উইকেটেই খেলবে। কিন্তু শেখ মেহেদী হয়তো অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে না।’
সাদা বলের ক্রিকেটে ফর্ম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সহঅধিনায়ক হিসেবে সুজন-মাসুদের মতো তাওহিদ হৃদয়ের ব্যালট বক্সে ভোট দেওয়ার লোকের অভাব হওয়ার কথা নয়। আলোচনায়ও ছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) একাধিকবার আচরণবিধি ভঙ্গ করে বেশ বিতর্কিত হয়েছেন মোহামেডানে খেলা হৃদয়।
প্রথমে মাঠে থাকা আম্পায়ারের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন হৃদয়। এরপর সংবাদ সম্মেলনে ‘মুখ খোলার’ হুমকি দেন। ম্যাচ রেফারির সঙ্গেও বাজে ব্যবহার করেন। যে কারণে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান হৃদয়। এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকার পরে মোহামেডানের চাপে অন্য ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এক ম্যাচ খেলার পর আবার তার নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হয়। পরে ওই নিষেধাজ্ঞা আগামী মৌসুম পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
পরের ম্যাচে মাঠে নেমে আবারও আচরণবিধি ভঙ্গ করেন হৃদয়। আউট হয়েও ক্রিজ থাকতে না চাওয়ায় নতুন করে সাতটি ডি মেরিট পয়েন্ট পেয়ে চার ম্যাচের নতুন নিষেধাজ্ঞা পান। আচরণবিধির কারণে ভক্তদের সমর্থন হারিয়েছেন হৃদয়। এসব কারণ বিবেচনা করে তাকে সহঅধিনায়কের ভার থেকে আড়াল করে থাকতে পারে বোর্ড।