পাকিস্তানের যেসব দাবির জবাব এখনো দেয়নি ভারত
Published: 7th, May 2025 GMT
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৯ সন্ত্রাসী আস্তানায় ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এতে অন্তত ৭০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি ভারতের। তবে পাকিস্তান এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ২৬ জন নিহত হয়েছে এবং এরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। এর বাইরে হামলার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তান বেশ কয়েকটি দাবি করেছি, যার জবাব এখনো ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দেয়নি কিংবা বিষয়গুলো অস্বীকার করেনি। আবার কয়েকটি বিষয়ে ভারত মন্তব্য করলেও তা পাকিস্তানের দাবির বিপরীত।
ভারতীয় হামলার কয়েক ঘণ্টা পরে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাদের সামরিক বাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এগুলোর মধ্যে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি অত্যাধুনিক রাফায়েল যুদ্ধবিমান রয়েছে। বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পাকিস্তানের এ দাবিকে অস্বীকার করেনি ভারত কিংবা এই দাবির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলোতে কাশ্মীরের পহেলগামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা কয়েকটি ধাতব টুকরার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এই টুকরাগুলোকে যুদ্ধবিমানের অংশ বলা হচ্ছে। তবে এগুলো কোন যুদ্ধবিমানের তা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভারত জানিয়েছে, তাদের বাহিনী নয়টি স্থানের ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এর বিপরীতে পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতীয় বাহিনী বুধবার পাকিস্তান এবং পাহেলগাম-শাসিত কাশ্মীরের ছয়টি শহর এবং একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। হামলায় তিন বছরের একটি মেয়ে শিশুসহ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
তবে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, তার বাহিনী বেসামরিক লোকদের কোনো ক্ষতি করেনি। এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানিয়েছেন, এই হামলায় ভারতের ‘কোনো ক্ষতি হয়নি’ এবং ‘নির্ভুল দক্ষতার’ মাধ্যমে এটি করা হয়েছে।
পাকিস্তান সরকার তাদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, ভারত-শাসিত এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একটি সামরিক চৌকিতে ভারতীয় সেনারা বুধবার সকালে সাদা পতাকা উত্তোলন করেছিল, যা আত্মসমর্পণের প্রতীক।
পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার তার এক্স অ্যাকাউন্টে এই দাবির প্রতিধ্বনি করে পোস্ট করেছেন: “প্রথমে তারা তদন্ত থেকে পালিয়েছিল, এখন তারা মাঠ থেকে পালিয়ে গেছে।”
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই দাবির বিপক্ষে বা পক্ষে কোনো মন্তব্য করেনি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বুদ্ধ পূর্ণিমায় ঢাকায় বিশেষ নিরাপত্তা
আসন্ন শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সমন্বয় সভা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে ডিএমপির সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, আসন্ন বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠান চলাকালে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যেসব রুটে শোভাযাত্রা প্রদক্ষিণ করবে, সেসব রুটে পর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে। বুদ্ধ পূর্ণিমার অনুষ্ঠানস্থলে পুলিশের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে এবং মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা থাকবে।
সমন্বয় সভায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের প্রতিনিধি, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতিনিধি, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি, ডিপিডিসির প্রতিনিধি, ওয়াসার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে তাদের মতামত দেন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন— ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলীসহ যুগ্ম কমিশনার ও উপ-কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা।
ঢাকা/এম/রফিক