টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে এখনো কোনো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভারতে বৃষ্টি কমে আসলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়েছে উপজেলার নদ-নদীর। গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলং জিরো পয়েন্ট এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। একইভাবে কোম্পানীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরেও পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। 

পাউবোর তথ্যমতে, বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীতে পানি বেড়েছে, তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

আরো পড়ুন:

রংপুরে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, শঙ্কায় চাষি

অতিবৃষ্টিতে পানির নিচে ভারতের ‘সিলিকন ভ্যালি’, নিহত ৩

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, “কয়েকদিন ধরে সিলেটের নদ-নদীতে ক্রমাগত পানি বেড়েই চলছে। ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলই পানি বাড়ার মূল কারণ। ভারতে বৃষ্টি কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। এ ছাড়া, সিলেটে টানা ভারী বর্ষণও নদীতে পানি বাড়ার অন্যতম কারণ।”

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‍“সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কোনো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে, স্থানীয় প্রশাসন ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। পরিস্থিতি অবনতি হলে স্বেচ্ছাসেবী, সরকারি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিক সব ধরনের উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত আছেন।”

ঢাকা/নূর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ নদ নদ র প ন পর স থ ত র নদ নদ ব পৎস ম

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে নদ-নদীর পানি বাড়ছে, এখনো বিপৎসীমার নিচে

সিলেটে টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে কোনো নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরে সিলেটের নদ-নদীতে ক্রমাগত পানি বেড়েই চলছে। ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলই পানি বাড়ার মূল কারণ। ভারতে বৃষ্টি কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এ ছাড়া সিলেটে টানা ভারী বর্ষণও পানি বাড়ার অন্যতম কারণ।

পাউবোর তথ্যমতে, আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীতে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে পানি বাড়ছে।

এদিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে উপজেলার নদ-নদীর পানি। গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলং জিরো পয়েন্ট এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। একইভাবে কোম্পানীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরেও পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে।

আরও পড়ুনসিলেটে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে নগরবাসী১৯ ঘণ্টা আগে

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী সকাল ৯টার দিকে জানান, তাঁর উপজেলার কোনো গ্রাম এখনো প্লাবিত হয়নি। তবে নদ-নদীর পানি বেড়েই চলছে। হাওরেও পানি ঢুকেছে। তাই আগাম বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পানি বৃদ্ধি পেলেও কারও পানিবন্দী অবস্থায় থাকার খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। পাশাপাশি জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যোগাযোগ করলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কোনো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে স্থানীয় প্রশাসন ইউনিয়ন পর্যায়ে পর্যন্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে স্বেচ্ছাসেবী, সরকারি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিক সব ধরনের উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে নদ-নদীর পানি বাড়ছে, এখনো বিপৎসীমার নিচে