বানু মুশতাক : সাম্প্রতিক ভারতীয় সাহিত্যে মুসলিম জীবনধারার বর্ণনাকার
Published: 23rd, May 2025 GMT
‘একবার নারী হও, হে প্রভু!’ খুব নাটকীয় শোনালেও আসলে এটি একটি গল্পের শিরোনাম। ‘হার্ট ল্যাম্প’ নামের যে গল্প সংকলনের জন্য কন্নড় ভাষার লেখক বানু মুশতাক এ বছর বুকার পুরস্কার পেলেন সেই সংকলনের শেষ গল্প এটি। একজন ভারতীয় মুসলিম নারীর বিবাহিত জীবনের গ্লানি আর বেদনার বয়ান স্বগতোক্তির আকারে লেখা এই গল্পে।
বানু মুশতাকের গল্পের বিষয়বস্তু প্রধানত নারীর জীবন, বর্ণপ্রথা, ধর্মীয় গোঁড়ামি আর তার ফলে সৃষ্ট বঞ্চনা আর নিপীড়ন যা প্রতিনিয়ত নারীর মেধা আর সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে–সেসব মান্ধাতার আমলের প্রথার বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়িয়েছেন সব সময়। ভারতীয় সমাজে মুসলিম আর নারী হওয়ার অর্থ দুইভাবে প্রান্তিক অবস্থান। ৭৭ বছর বয়সী এই লেখকের সারা জীবনের সংগ্রাম ছিল পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে এক নির্ভীক যোদ্ধা হিসেবে অত্যন্ত কঠিন। ভারতীয় ম্যাগাজিন দ্য উইকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে লেখক জানান তার গল্পগুলো আসলে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই লেখা।
কর্নাটকের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪৮ সালে বানু মুশতাকের জন্ম। রীতি অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তিনি প্রথম শেখেন উর্দু; কন্নড় তার দ্বিতীয় ভাষা যা তিনি শিখতে শুরু করেন আট বছর বয়সে, সরকারি চাকুরে বাবার ইচ্ছায় একটি কনভেন্ট স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর। পরে সাহিত্যের ভাষা হিসেবে কন্নড়কেই বেছে নেন। তবে আঞ্চলিক আর কথ্য (কলোক্যাল) ভাষা ব্যবহারের প্রতি আগ্রহী বানুর লেখায় প্রায়ই কন্নড়ের সঙ্গে দখনি উর্দুর (যা আসলে উর্দু, মারাঠি, তেলুগু আর কন্নড়ের মিশ্রণ) বৈচিত্র্যময় মিশেল লক্ষ করা যায়।
২৬ বছর বয়সে নিজের পছন্দের পুরুষের সঙ্গে ঘর বাঁধার আগে তিনি উচ্চশিক্ষা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। দুটি কাজই ছিল তৎকালীন সমাজের একজন মেয়ের জন্য সাহসী পদক্ষেপ। বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। নারীদের মসজিদে নামাজ পড়ার অধিকার নিয়ে কথা বলার জন্য তাকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়। এমনকি ২০০০ সালে এক আততায়ী তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করেছিল। সৌভাগ্যক্রমে সে সময় বানু মুশতাকের স্বামী তার সঙ্গে ছিলেন এবং তিনি সেই আক্রমণ প্রতিহত করতে সমর্থ হয়েছিলেন।
লেখালেখির শুরুটা অল্প বয়সেই হয়েছিল, গল্প লিখতে শুরু করেন যখন তিনি মধ্য কুড়িতে। বিবাহের পর তাকে বোরকা পরতে এবং ঘরে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেসময় মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী আর স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠা লেখকের জন্য ভয়াবহ কঠিন ছিল এই পারিবারিক চাপ। হতাশা আর মনোবৈকল্যের কবলে পড়ে তিনি আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। প্রাপ্তবয়সে পৌঁছে অনুধাবন করেছেন, গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার মতন ভয়ানক কাজ করতে চাওয়া খুব বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তিনি এও জানান, এরপর লেখালেখিই সেই ভয়ংকর শ্বাসরোধী জীবনে তার মুক্তির দরজা খুলে দেয়। ভোগ ম্যাগাজিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বানু বলেন, মূলধারার ভারতীয় সাহিত্যে মুসলিম নারীর উপস্থাপন মূলত নীরব অত্যাচারিত গোষ্ঠী কিংবা অন্য কারো বক্তব্যে ব্যবহৃত মেটাফোর হিসেবে আসে। তিনি এই দুই ভূমিকাকেই নাকচ করতে চান নিজের কাজের মাধ্যমে। তার চরিত্রেরা নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করে নিজ অবস্থান থেকেই।
বানু মুশতাক বুকার পুরস্কার পেয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন দুইভাবে। প্রথমত এটিই কন্নড় ভাষায় লেখা কোনো গ্রন্থের বুকারজয়, দ্বিতীয়ত এটিই প্রথম কোনো ছোটগল্প সংকলনের বুকার প্রাইজ ঘরে তোলা। এর আগে যে সকল ভারতীয় লেখক বুকার পেয়েছেন তারা সকলেই ইংরেজিতে লিখেছেন। ভি এস নাইপল, সালমান রুশদি, অরুন্ধতী রায়, কিরণ দেশাইদের সাহিত্যের ভাষা ইংরেজিই ছিল। গীতাঞ্জলী শ্রীর হিন্দিতে লেখা ‘রেত সমাধি’ যা ‘টুম্ব অব স্যান্ড’ নামে অনূদিত হয়ে বুকার পেল ২০২২ সালে, সেটিও ছিল একটি ঢাউস উপন্যাস। ১৯৬৯ সাল থেকে সাহিত্যের একটি ধারায়ই বুকার পুরস্কার দেওয়া হচ্ছিল, আর তা হলো পূর্ণদৈর্ঘ উপন্যাস। আকারে ছোট হোক বা বড়, উপন্যাস ছাড়া অন্য কোনো জনরায় বুকার আগে কখনো দেওয়া হয়নি।
পুরস্কার বিজয়ী গ্রন্থটি নিয়ে কিছু বলা যাক। মূল শিরোনাম ছিল ‘হৃদয় দীপ’ যা দীপা ভাস্বতীর অনুবাদে হয়েছে ‘হার্ট ল্যাম্প’। বারোটি গল্পের সংকলনে নাম গল্পটি আছে ষষ্ঠ স্থানে। সংকলিত গল্পগুলোর শিরোনাম যথাক্রমে–স্টোন স্ল্যাবস ফর শায়েস্তা মহল, ফায়ার রেইন, ব্ল্যাক কোবরাস, আ ডিসিশন অব দ্যা হার্ট, রেড লুঙ্গি, হার্ট ল্যাম্প, হাই হিলড শ্যু, সফট হুইসপারস, আ টেস্ট অব হেভেন, দ্য শ্রাউড, দি অ্যারাবিক টিচার অ্যান্ড গোবি মানচুরি, বি আ উয়োম্যান ওয়ান্স, মাই লর্ড। ১৯৯০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে লেখা এই গল্পগুলোর অনুবাদক দীপা ভাস্বতী এই গ্রন্থের সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। বুকার কর্তৃপক্ষকে অনুবাদক বলেন, গল্পের বাছাইয়ে লেখক কোনো রকম হস্তক্ষেপ করেননি, বরং তাকে পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে দিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক সম্মাননা হিসেবে বুকার অনেক বড় অর্জন হলেও এটিই লেখকের প্রথম ভারতের বাইরে থেকে আসা পুরস্কার নয়। গত বছর তাঁর ‘হাসিনা অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’ নামের পাঁচটি গল্পের সংকলন জিতে নিয়েছিল পেন ট্রান্সলেশন প্রাইজ। বেশ কিছু স্থানীয় এবং জাতীয় পুরস্কার আগে থেকেই ছিল তার ঝুলিতে। কন্নড় সাহিত্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ড, দানা চিন্তামণি আত্তিমব অ্যাওয়ার্ড এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ছোটগল্পের জন্য বিখ্যাত হলেও বানু মুশতাক একজন সব্যসাচী লেখক। তার প্রকাশিত ছয়টি গ্রন্থের মধ্যে আছে একটি উপন্যাস, একটি কবিতা সংকলন এবং একটি প্রবন্ধ সংকলন। ভারতের প্রকাশনা সংস্থাগুলোর ইংরেজি আর হিন্দির প্রতি পক্ষপাত আরও অনেক ভারতীয় ভাষার মতন কন্নড়কেও একটু পেছনে ফেলে রাখে।
বুকার প্রাইজ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৬৫ মিলিয়ন মানুষ কন্নড় ভাষায় কথা বলেন, ভ্যাটিকান রেডিওর তালিকায় এটি ৬৫তম ভাষা। বানু মুশতাকের এই অর্জন নিঃসন্দেহে কন্নড় সাহিত্যের দেশবাসীর এবং বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পেঙ্গুইন ইন্ডিয়ার এডিটর ইন চিফ মানসী সুব্রামনিয়ান ‘টুম্ব অব স্যান্ডে’র পর ‘হার্ট ল্যাম্পে’র এই বিজয় সম্পর্কে বলেন, আঞ্চলিক ভাষার সাহিত্যের প্রতি সাহিত্যানুরাগীদের সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া এখন সময়ের দাবি। ভারতীয় মুসলিম নারীর কণ্ঠস্বর হিসেবে অত্যন্ত জোরালো অবস্থানে আছেন বানু মুশতাক। প্রান্তিক অবস্থানে থাকা নারীর জীবনের সংগ্রাম আর বঞ্চনার আখ্যান এমন সাহসী আর সরেস ভঙ্গিতে লেখা হচ্ছে ভারতের একটি অবহেলিত ভাষায়, বানু মুশতাক এই পুরস্কারটি না পেলে আমাদের জানা হতো না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ক র ম শত ক র অবস থ ন উপন য স গ রন থ র জন য বছর ব স কলন
এছাড়াও পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
বান্দরবানের থানচি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটে এই হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পুরো হাসপাতাল চালাচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। গত পাঁচবছরে চিকিৎসাধীন ও রেফার্ড করা ২৪ জন রোগী মারা গেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে ৩১ শয্যার থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাত্রা শুরু করে। পরে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন। তাদের মধ্যে একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন। এ কারণে রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ১৮ জন নার্স পদে রয়েছেন মাত্র চারজন। চারজন মিডওয়াইফ থাকার কথা, নেই একজনও।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে আহত ২০
বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন কাদের সিদ্দিকী
প্রাথমিক থেকে শুরু করে জরুরি চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে ছুটে যান পাহাড়ি ও বাঙালিরা। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা যোগ হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।
দুর্গম এলাকার রোগীরা অনেক সময় নদীপথ কিংবা পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে এলেও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা পান না। বরং তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অনেক সময় বান্দরবানে যাওয়ার পথে রোগীরা মারা যান। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তারা।
হাসপাতালের পরিসংখ্যানবীদ পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখানে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ১৯৮ জন রোগী। এর মধ্যে ৪৫৬ জনকে রেফার্ড করা হয় বান্দরবান সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭ জন রোগী।
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মংক্যসিং মারমা বলেন, “২০১৯ সালে চাকরিতে যোগদান করার পর থেকে অন্তত সাতজন রেফার্ড করা রোগী মাঝপথে আমার গাড়িতেই মারা গেছেন।”
শৈসাই মং মারমা তিন বছর আগে বিনা চিকিৎসায় তার মাকে মারা যেতে দেখেছেন। তিনি জানান, তার মা শৈমেপ্রু মারমা (৩৪) অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। রেমাক্রী বাজার থেকে নদীপথে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ভাড়া গাড়িতে জেলা হাসপাতালে যাওয়ার সময় চিম্বুক বারো মাইল এলাকায় তার মা মারা যান।
লেংরু ম্রো নামে চার সন্তানের মা হারিয়েছেন স্বামীকে। তিনি জানান, তার স্বামী রেং য়ুং ম্রো (৪৫) কিডনি জটিলতা নিয়ে থানচি হাসপাতালে যান। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। থানচি থেকে বান্দরবান যাওয়ার মাঝপথে মারা যান তার স্বামী।
স্থানীয় বাসিন্দা মংমে মারমা বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ ও যন্ত্রপাতির সংকট দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বদলি হলেও অনেকেই থানচিতে যোগ দেন না, ডিপুটেশনে থেকে যান সদর হাসপাতালে। ফলে এ অঞ্চলের পাহাড়ি ও বাঙালি প্রায় ৩০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”
রিয়েং ম্রো নামে অপর বাসিন্দা বলেন, “পাহাড়ে বসবাসকারীদের অধিকাংশ গরিব। জেলা সদর হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া ব্যয়বহুল ও কষ্টকর। রেমাক্রি, বড় মোদক, তিন্দু থেকে থানচি সদরে রোগী আনতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর আবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে সাধারণ মানুষ কীভাবে চিকিৎসা করাবে?”
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “বর্তমানে হাসপাতালে আমিসহ দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন। একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন। তিন রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ফলে পুরো হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব আমাকে একাই সামলাতে হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “জনবল ও সরঞ্জাম সংকটের কারণে গুরুতর রোগীদের রেফার্ড করা ছাড়া উপায় থাকে না। দীর্ঘ পথের কারণে অনেকেই জীবিত অবস্থায় সদর হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন না।”
বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, “শুধু বান্দরবান নয়, পুরো তিন পার্বত্য জেলাতেই চিকিৎসক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। নতুন করে ৪৮তম বিসিএসের ডাক্তার পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই সংকট পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের আট-দশজন চিকিৎসককে বান্দরবানে বদলি করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
ঢাকা/মাসুদ