স্ত্রীর করা নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় জেলে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক ওয়াহিদুল ইসলাম। এ ঘটনা আড়াল করতে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছেন তিনি। গত ১৩ মে ওই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছুদিন থেকে ওয়াহিদুল ইসলামের সঙ্গে স্ত্রী শ্যামলী খাতুনের দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন শ্যামলী খাতুন। গত ১৩ মে সেই মামলায় তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। ওয়াহিদুল ইসলাম ওইদিন থেকে অফিসে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিন দিনের ছুটি দেখান বলে অফিস রেকর্ডে উল্লেখ্য রয়েছে। পরে ১৮ মে একই কারণে আরও একটি ছুটির আবেদন দাখিল করে ২১ মে পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করেন। ওয়াহিদুল ইসলামের জেলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তাঁর স্ত্রী শ্যামলী খাতুন ও তাঁর পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক।

অফিস কর্তৃপক্ষের দাবি, ওয়াহিদুল ইসলামের জেলে যাওয়ার বিষয়টি অবগত না হয়ে তাঁর ছুটির আবেদন গ্রহণ করে অনুমোদন করা হয়। পরে ২২ মে শ্যামলী খাতুন ওয়াহিদুল ইসলামের জেলে যাওয়ার বিষয়টি অফিসকে জানান। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের একাধিক কর্মচারী জানান, গত ১৩ মে থেকে ওয়াহিদুল ইসলাম অফিসে অনুপস্থিত। কিন্তু অফিস রেকর্ডে ওইদিন থেকে তাঁর দাখিল করা দুটি ছুটির আবেদনে ২১ মে পর্যন্ত ছুটি দেখানো হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুজ্জামান আসিফ বলেন, ‘ওয়াহিদুল ইসলামের জেলে যাওয়ার বিষয়টি ২২ মে জেনেছি। এখন পর্যন্ত আদালতের পক্ষ থেকে নোটিশ পাইনি। নোটিশ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। 

মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।

পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। 

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।

ঢাকা/আজিজ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার