হজ এজেন্সির জন্য সৌদি সরকারের চার নির্দেশনা
Published: 24th, May 2025 GMT
পবিত্র হজ উপলক্ষে এজেন্সিগুলোর জন্য চারটি নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। শনিবার বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে নির্দেশনাগুলো বিভিন্ন হজ এজেন্সিকে জানিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ৫ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে গত ২৯ এপ্রিল, চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। এ সময়ে হজ এজেন্সিগুলোকে সৌদি সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
‘তথ্য সঠিকভাবে প্রদান ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক প্রথম নির্দেশনায় বলা হয়, হজযাত্রীদের তথ্য নুসুক মাসার ও ই-হজ সিস্টেমে যথাযথভাবে আপলোড করতে হবে। একই সঙ্গে পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিমানবন্দর থেকে হজযাত্রীদের গ্রহণ এবং নির্ধারিত আবাসনে পৌঁছে দেওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি হজযাত্রার আগেই করতে হবে।
‘নুসুক আইডি ব্যবহার’ শীর্ষক দ্বিতীয় নির্দেশনা হলো সৌদি আরবে অবস্থানকালীন প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য নুসুক আইডি কার্ড পরা বাধ্যতামূলক। এ কার্ড ছাড়া পবিত্র মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে প্রবেশ করা যাবে না।
‘অভিজ্ঞ গাইডের ব্যবস্থা’ নামে তৃতীয় নির্দেশনায় বলা হয়, হজযাত্রীদের সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি দলের সঙ্গে এমন গাইড রাখতে হবে, যারা মক্কা ও মদিনার পথঘাট সম্পর্কে অভিজ্ঞ। আর ‘জরুরি যোগাযোগ’ শীর্ষক চতুর্থ নির্দেশনা হলো হজ-সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্ন, অভিযোগ বা সমস্যা সমাধানে ২৪ ঘণ্টা চালু হেল্পলাইন নম্বর ১৯৬৬ এ যোগাযোগ করা যাবে।
সৌদি পৌঁছেছেন ৫৮ হাজারের বেশি হজযাত্রী
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিস থেকে আজ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১৫০টি হজ ফ্লাইটে ৫৮ হাজার ৪০ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৭ হাজার ১০০ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৮১ হাজার ৯০০ জন যাচ্ছেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
হজযাত্রী পরিবহন করছে তিনটি এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা করেছে ৭৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৫১টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২১টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
৯ হজযাত্রীর মৃত্যু
এদিকে হজব্রত পালনে গিয়ে শনিবার পর্যন্ত ৯ বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে হজ অফিস।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হজ হজয ত র র জন য ল ইন স সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসের পদত্যাগের সুযোগ নেই’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের সুযোগ নেই বলে মনে করছে খেলাফতে মজলিশ। দলটি বলছে, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করলে দেশের পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে। পতিত ফ্যাসিবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের দলটির আট দফা প্রস্তাবনায় এ কথা বলেন।
তাদের অন্যান্য প্রস্তাবনাগুলো হলো: ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দল ও স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সৃষ্ট মতানৈক্য দূর করতে অবিলম্বে সর্বদলীয় জাতীয় কনভেনশন আহ্বান করা; সংস্কারের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা অর্থাৎ প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা ও তা চূড়ান্তের মেয়াদ নির্ধারণ করা; অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা; পতিত ফ্যাসিবাদীদের বিচার দ্রুত সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে গতিশীল করা; অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয় এমন পদক্ষেপ ও কার্যক্রমের বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সতর্ক থাকা; রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা অব্যাহত রাখা; এবং নির্ধারিত সংস্কার, পতিত ফ্যাসিবাদীদের বিচার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতায় নতুন-পুরনো সব রাজনৈতিক দল, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল কাদের বলেন, সকল রাজনৈতিক দল, সামরিক বাহিনীসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে। সরকার সংস্কার, ফ্যাসিবাদীদের বিচার ও নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছিল। রাজনৈতিক দলসমূহও সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সম্প্রতি রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে মতবিরোধ, মতভেদ প্রকাশ্য রূপ নেয়। ইতোমধ্যে সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে মতপার্থক্যের খবর প্রকাশ পায়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে চাচ্ছেন বলে খবর ছড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশবাসী শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। অবিলম্বে সব ধরনের শঙ্কা দূর করা জরুরি।
আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে দেশের চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমন করা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তরণে বিভিন্ন দল ও পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক মতপার্থক্য-বিভেদ দূর করতে সংলাপ শুরু করা প্রয়োজন। এ জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে একটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন সম্ভব। সংস্কার, নির্বাচন, ফ্যাসিবাদের বিচার- যুগপৎভাবে করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল জলিল, জাহাঙ্গীর হোসাইন, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরুসহ প্রমুখ কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।