৯ দফা দাবিতে বিএডিসির শ্রমিকদের বিক্ষোভ
Published: 24th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) অনিয়মিত শ্রমিকদের নিয়মিত করাসহ নয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন অনিয়মিত শ্রমিকরা।
শনিবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে বিএডিসির কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভের একপর্যায়ে বিএডিসি চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন খানের বরাবর স্মারকলিপি দেন।
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মো.
আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কৃষি মন্ত্রণালয়ের জারি করা কৃষি নীতিমালা ২০১৭ এর বাস্তবায়ন, অনিয়মিত শ্রমিক থেকে নিয়মিতকরণ ও নিয়োগ দেওয়া, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া, কাজের নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়া এবং অতিরিক্ত সময় কাজের জন্য বাড়তি পারিশ্রমিক, বিনা কারণে চাকরিচ্যুতি বন্ধ করা, বৈষম্যবিহীন কর্মপরিবেশ-অধিকার সুরক্ষা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, নারী শ্রমিকদের বেতন-ভাতাসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি চার মাস নিশ্চিত করা, মৌসুমি শ্রমিক নামক ‘প্রহসন’ থেকে মুক্তিসহ অবৈধ শ্রমিক ম্যানুয়েল বাতিল করা।
শ্রমিক আলম হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিএডিসির বীজ উৎপাদনে কাজ করছেন তারা। দীর্ঘ ২৪ বছর যাবত কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে এ ধরনের শ্রমিকের সংখ্যা দেড় হাজারের অধিক। যারা নানাভাবে নিপীড়নের শিকার।
সিলেট থেকে আসা শ্রমিক রাজন আহম্মেদ বলেন, সরকারের ২০১৭ সালের জারি করা কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা অনুযায়ী অনিয়মিত শ্রমিকদের নিয়মিত করার বিধান রয়েছে। তবে দীর্ঘ ৮ বছরেও শ্রমিকদের নিয়মিত করা হয়নি। অথচ এ সময়ের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, বর্তমানে বিএডিসি সংস্থার বিভিন্ন দপ্তরে বেশির ভাগ কাজ মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে অফিস পর্যন্ত শ্রমিক দিয়ে পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু তারা মৌসুমি শ্রমিক বলে প্রহসনের শিকার হচ্ছেন। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে বেতন-মজুরি সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী না দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নিয়োজিত শ্রমিকদের ওপর জুলুম ও নির্যাতন করে আসছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিতালিকে ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়লেন মান্ধানা
দুই ঘণ্টার বৃষ্টিবিঘ্নের পর অবশেষে নাবি মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৫ এর প্রতীক্ষিত ফাইনাল। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ব্যাট হাতে মাঠে নামে ভারত।
শুরুটা দারুণ করে ‘উইমেন ইন ব্লু’। ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা গড়েন ১০৪ রানের জুটি। এই রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৫ রানে আউট হন মান্ধানা। আর তাতেই রচনা হয় নতুন ইতিহাস। মিতালি রাজকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপের এক আসরে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়ে যান মান্ধানা।
আরো পড়ুন:
গৌহাটি টেস্টে ‘লাঞ্চের আগে টি-ব্রেক’! জানুন কেন এই ব্যতিক্রম
রোহিতের সেঞ্চুরির ‘হাফ-সেঞ্চুরি’, ঢুকলেন এলিট ক্লাবে
চলতি বিশ্বকাপে ৯ ইনিংসে মান্ধানার মোট রান ৪৩৪, যা ২০১৭ সালের আসরে মিতালি রাজের করা ৪০৯ রানের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ভারতের হয়ে এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকা:
৪৩৪ – স্মৃতি মান্ধানা (২০২৫)
৪০৯ – মিতালি রাজ (২০১৭)
৩৮১ – পুনম রাউত (২০১৭)
৩৫৯ – হারমানপ্রীত কৌর (২০১৭)
৩২৭ – স্মৃতি মান্ধানা (২০২২)
এবারের আসরে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন মান্ধানা:
এখন পর্যন্ত দুইটি ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন স্মৃতি মান্ধানা। ২০১৭ সালের আসরেই প্রথম আলোচনায় আসেন তিনি। করেছিলেন ৩২৭ রান। আর এবার ২০২৫ বিশ্বকাপে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৪.২৫ গড়ে ৪৩৪ রান। যা তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স।
তবে শুরুটা কিন্তু খুব একটা উজ্জ্বল ছিল না। প্রথম তিন ম্যাচে তিনি করেছিলেন মাত্র ৪৬ রান। কিন্তু এরপরই যেন জেগে ওঠেন। টানা দুটি ফিফটির পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।
সেমিফাইনালে ভালো শুরু করেও বড় ইনিংসে রূপ দিতে পারেননি ২৯ বছর বয়সী এই ওপেনার। ফাইনালেও ভালো সূচনা করে ৫৮ বলে ৮টি চার মেরে ৪৫ রানে সাজঘরে ফেরেন।
ঢাকা/আমিনুল