বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) অনিয়মিত শ্রমিকদের নিয়মিত করাসহ নয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন অনিয়মিত শ্রমিকরা।

শনিবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে বিএডিসির কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভের একপর্যায়ে বিএডিসি চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন খানের বরাবর স্মারকলিপি দেন।

আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মো.

জুনায়েদ বলেন, দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সমাধান দেননি। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা বলবেন। যতক্ষণ এ বিষয় সুরাহা না হবে ততক্ষণ আমাদের কর্মসূচি চলবে। সঙ্গে শ্রমিকদের কর্মবিরতি থাকবে।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কৃষি মন্ত্রণালয়ের জারি করা কৃষি নীতিমালা ২০১৭ এর বাস্তবায়ন, অনিয়মিত শ্রমিক থেকে নিয়মিতকরণ ও নিয়োগ দেওয়া, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া, কাজের নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়া এবং অতিরিক্ত সময় কাজের জন্য বাড়তি পারিশ্রমিক, বিনা কারণে চাকরিচ্যুতি বন্ধ করা, বৈষম্যবিহীন কর্মপরিবেশ-অধিকার সুরক্ষা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, নারী শ্রমিকদের বেতন-ভাতাসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি চার মাস নিশ্চিত করা, মৌসুমি শ্রমিক নামক ‘প্রহসন’ থেকে মুক্তিসহ অবৈধ শ্রমিক ম্যানুয়েল বাতিল করা।

শ্রমিক আলম হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিএডিসির বীজ উৎপাদনে কাজ করছেন তারা। দীর্ঘ ২৪ বছর যাবত কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে এ ধরনের শ্রমিকের সংখ্যা দেড় হাজারের অধিক। যারা নানাভাবে নিপীড়নের শিকার।

সিলেট থেকে আসা শ্রমিক রাজন আহম্মেদ বলেন, সরকারের ২০১৭ সালের জারি করা কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা অনুযায়ী অনিয়মিত শ্রমিকদের নিয়মিত করার বিধান রয়েছে। তবে দীর্ঘ ৮ বছরেও শ্রমিকদের নিয়মিত করা হয়নি। অথচ এ সময়ের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, বর্তমানে বিএডিসি সংস্থার বিভিন্ন দপ্তরে বেশির ভাগ কাজ মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে অফিস পর্যন্ত শ্রমিক দিয়ে পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু তারা মৌসুমি শ্রমিক বলে প্রহসনের শিকার হচ্ছেন। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে বেতন-মজুরি সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী না দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নিয়োজিত শ্রমিকদের ওপর জুলুম ও নির্যাতন করে আসছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এড স ব এড স

এছাড়াও পড়ুন:

সিল্কের নাম কেন রাজশাহী সিল্ক, জানেন কী

দিনাজপুরের খেয়া দেবনাথ আর ঢাকার শর্মিষ্ঠা দেবনাথ দুই বোন। রাজশাহীতে এসে তাঁরা দুই হাতে সিল্কের শাড়ি কিনছিলেন। নিজেদের মধ্যে কথায় বলছিলেন, এই সিল্কের নাম রাজশাহী সিল্ক কেন? তখন মনে জাগে, আসলেই তো, এর নাম রাজশাহী সিল্ক কেন?

এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, আজ থেকে ৩০০ বছর আগে ‘রাজশাহী সিল্ক’ স্বনামে বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। তখন রাজশাহী জেলার আয়তন ছিল প্রায় ১৩ হাজার বর্গমাইল। গল্পের মতো এই ঐতিহ্যের কারণেই সিল্ক দিয়ে রাজশাহী জেলার ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে। রাজশাহীকে বলা হয় ‘সিল্ক হেভেন’। ২০১৭ সালে রাজশাহী সিল্ক ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।

২০১৭ সালে রাজশাহী সিল্ক জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিল্কের নাম কেন রাজশাহী সিল্ক, জানেন কী