গান, আবৃত্তি ও স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে ছায়ানটে স্মরণ করা হলো প্রয়াত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সংগীতজ্ঞ সন্জীদা খাতুনকে। জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, ঢাকা মহানগর শাখার আয়োজনে গতকাল শনিবার ছায়ানটের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় সন্জীদা খাতুন স্মরণে ‘বিশ্ব হতে হারিয়ে গেছে স্বপ্নলোকের ছায়া’ শীর্ষক এ বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয় সন্জীদা খাতুনের অনন্য জীবনের বিভিন্ন দিক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশিত হয় গান– ‘তোমার সুরের ধারা’। সভাপতির বক্তব্যে লোপা আহমেদ স্মরণ করেন সন্জীদা খাতুনের সাংস্কৃতিক নানা অবদানের কথা। পরে গান পরিবেশন করেন শিল্পী সুমা রারী রায় ‘পথে চলতে চলতে’। শিল্পী মহুয়া মঞ্জরী সুনন্দা শোনান ‘যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা’। শিল্পী দীপা নিশিত শোনান ‘জানি জানি গো দিন যাবে’। 
স্মৃতিচারণ অংশে ওসমান কায়সার চৌধুরী স্মরণ করেন তাঁর সঙ্গে সন্জীদা খাতুনের কাটানো দীর্ঘ কর্মযাত্রা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নানা মুহূর্ত। এরপর পরিবেশিত হয় সেঁজুতি মজুমদারের কণ্ঠে ‘জীবন যখন শুকায়ে যায়’। শিবেশ কীর্তনিয়া শোনান ‘যিনি সকল কাজের কাজী’ ও স্বাতী সরকারের পরিবেশনায় ‘প্রেম এসেছিল নিঃশব্দ চরণে’ গানগুলো। প্রতিটি গানে যেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল সন্‌জীদা খাতুনের আত্মার মাধুর্য।
সন্জীদা খাতুন সম্পর্কে এরপর স্মৃতিচারণ করেন ভীষ্মদেব চৌধুরী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন জহিরুল হক খান। আজিজুর রহমান তুহিন পরিবেশন করেন গান– ‘তুমি তো সেই যারে চিরকাল খুঁজি’ ও সাদিয়া হোসেন পাপড়ি গেয়ে শোনান– ‘তুমি তো সেই যারে হেঁটে চলে’।
রত্না তাবাসসুম নবীন স্মৃতিকথায় তুলে ধরেন সন্জীদা খাতুনের বর্ণাঢ্য জীবনের বিভিন্ন দিক। এরপর বুলবুল ইসলাম ও লাইসা আহমেদ লিসা পরিবেশন করেন ‘চিরসাথী হে ছেড়ো না’। সবশেষে সম্মেলক কণ্ঠে শিল্পীরা গেয়ে 
শোনান– ‘আসা যাওয়ার পথের ধারে’ ও ‘এবার দুঃখ আমার’। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ পর ব শ স মরণ

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার