বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিসিবির পরিচালক মাহবুব আনাম। বৃহস্পতিবার বিসিবির পরিচালকদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে বিসিবির এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মাহবুব ভাইকে বিসিবি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত মৌসুমে বিপিএল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন ফারুক আহমেদ। তিনি বিসিবির সভাপতির দায়িত্বেও  ছিলেন। তার জায়াগায় মাহমুব আনামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বিসিবির গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ছিলেন। তাকে ওই দায়িত্বে বহাল রাখা হয়েছে। পরিচালক ফাহিম সিনহা বিপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আগামী মৌসুম থেকে বিপিএলের নতুন চক্র শুরু হবে। গত বছর বিপিএলে অংশ নেওয়া বেশ কটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ঠিক মতো ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি। যে কারণে বিপিএলে নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনা হয়েছে। নতুন মৌসুমে বিপিএলের সুনাম ফিরিয়ে আনা চ্যালেঞ্জ হবে বলে জানিয়েছেন ওই বিসিবি কর্মকর্তা।

আগামী মৌসুমের বিপিএলও ডিসেম্বরে আয়োজনের পরিকল্পনা বোর্ডের। তবে আয়োজন করা সহজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ওই কর্মকর্তা, ‘বিপিএলের জন্য মূলত বরাদ্দকৃত সময় ডিসেম্বর। কোন মডেলে বিপিএলে হবে এটা নিয়ে একেবারেই  প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। বিপিএলের সুনাম ফেরাতে হবে, যেটা আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এটা নিয়ে পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলবো।’

তিনি জানিয়েছেন, বিপিএল নিয়ে কাজ শুরু হলেই কেবল রূপরেখা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া সম্ভব। তবে এও জানিয়েছেন, ছোট পরিসরে হলেও তারা বিপিএল আয়োজন করতে চান। সাত দল নিয়ে বিপিএল করা না গেলে পাঁচ দল নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চান। আগামী বছরের সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনের কারণে বিপিএল নিয়ে অনিশ্চয়তা কথা বললেও ভালো মডেল দাঁড় করাতে পারলে তেমন প্রভাব পড়বে না বলেও মনে করেন ওই কর্মকর্তা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল কর মকর ত ব প এল র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজউক সার্ভারে ঢুকে নকশা অনুমোদন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ইসিপিএস সার্ভার হ্যাক করে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে জালিয়াতি করে নকশা অনুমোদনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৯ মে নকশা অনুমোদন-সক্রান্ত ইসিপিএস সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে মাত্র ১৭ মিনিটে একটি ভবনের অনুমোদন পাশের ঘটনাটি নজরে আসে রাজউক কর্তৃপক্ষের। 
জলাভূমি ও হাইট রেস্ট্রিকশন থাকা ভূমিতে ১৫ তলাবিশিষ্ট ১৮৫ ইউনিটের এই সুউচ্চ ভবনটির নকশা সব বিধিকে পাশ কাটিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পাস করিয়ে নেয় অনুপ্রবেশকারীরা। পরে রাজউক কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানতে পেরে প্রাথমিক তদন্তে একই উপায়ে আরও তিনটি ভবনের নকশা অনুমোদন শেষ পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় পায়। তৎক্ষণাৎ সার্ভারটি বন্ধ করে মতিঝিল থানায় সেদিনই একটি জিডি করা হয়।

পাস করা নকশার সূত্র ধরে রাবেয়া বারী নামক এক প্রকৌশলীর সন্ধান পায় রাজউক, যার স্বাক্ষর নকশাগুলোতে পাওয়া যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে মতিঝিলের নীলনকশা নামের একটি কম্পিউটারের দোকান ও সেখানকার এক কর্মচারী স্বপনের নাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে গত ২২ মে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় মতিঝিলের নীলনকশা নামক দোকানটিতে। দোকানটির সঙ্গে অননুমোদিত নকশা অনুমোদনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। একই সঙ্গে দোকানটির মালিক এনামুলের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে রাজউকের নির্ধারিত ফি পরিশোধের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ ছাড়াও দোকানের কয়েকটি কম্পিউটারে ওই অবৈধ ভবনগুলোর নকশা পাওয়া যায়। এতে দোকানের মালিক এনামুল ও কর্মচারী স্বপনের সম্পৃক্ততা প্রতীয়মান হয়। মোবাইল কোর্ট চলাকালে তাদের কাউকেই না পাওয়া যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মচারীদের পুলিশের আওতায় নেওয়া হয়।

রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, এমন সংবেদনশীল বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন এবং তাঁর নির্দেশনায় ৬ জুন রাজউক বাদী হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ধারাসহ দণ্ডবিধির ধারায় উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন। 

তিনি বলেন, মামলার এজাহারনামীয় ২১ নম্বর আসামি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ‘নীলাভ নকশাঘর’ এর মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ এজাহারনামীয় ২২ ও ২৩ নম্বর আসামি সজীব ও মুকুলকে পুলিশ মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ