রূপগঞ্জের তারুণ্যর উৎসব ২০২৫ উদযাপন
Published: 14th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তারুণ্যর উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে তারুণ্যর ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ "শীর্ষক" কর্মশালা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলা অডিটোরামে এ কর্মশালা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলার ১২টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৬টি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিতর্ক, চিত্রাংকন ও দেয়ালিকা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন, শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও দ্বিতীয় স্থান ও তৃতীয় স্থান পর্যায়ক্রমে বিজয়ী হয় রুপসী নিউ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, হাজির নুর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, সহিতুন্নেসা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও অনির্বাণ স্পেশাল চাইল্ড কেয়ার এন্ড রিহেভিলেশন সেন্টারের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে উপজেলা ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা সোহেল রানার সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওবায়দুর রহমান সাহেল, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইসমাইল হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল হক, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ফারজানা ফিরোজ, পল্লী সরকারি ব্যাংক ব্যবস্থাপক শিখা আহমেদ, আইসিটি অফিসার সানজিদা রাফিন প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
টি–টোয়েন্টিতেও হার দিয়েই শুরু বাংলাদেশের
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫। শ্রীলঙ্কা: ১৯ ওভারে ১৫৯/৩। ফল: শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে জয়ী।ক্যারিবীয় ক্রিকেটের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের এক দারুণ মিল—টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে তারা রীতিমতো উৎসব বানিয়ে ফেলে। দুই দেশই পেয়েছে টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা হওয়ার স্বাদ। সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিপিএল আর শ্রীলঙ্কার এলপিএলেরও অবদান আছে বিশ্বের দুই প্রান্তের এই দুই দেশে টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তা বাড়াতে।
এসালা পূর্ণিমা পোয়া দিবসের সাধারণ ছুটি আজ সেই উৎসবে মেতে ওঠার সুযোগ আরও বাড়িয়ে দিল ক্যান্ডির দর্শকদের। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সকাল সকালই ঘোষণা দিয়েছে, প্রথম টি-টোয়েন্টির আর কোনো টিকিট নেই, সব বিক্রি হয়ে গেছে। তারপরও সন্ধ্যার ম্যাচটি দেখতে দুপুর থেকে পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামের আশপাশে টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড়। এর আগে গত দুই দিন ক্যান্ডির হোটেল-রেস্তোরাঁর কর্মচারী আর টুকটুক-উবার ড্রাইভারদের অসংখ্য অনুরোধ শুনতে হয়েছে টিকিট চেয়ে।
আজ সন্ধ্যায় যখন খেলা শুরু হলো, পাল্লেকেলের ভরা গ্যালারিতে উৎসব থামতেই চাচ্ছিল না। বলা বাহুল্য, তাতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ‘অবদান’ও কম নয়। ছুটির দিনের সন্ধ্যাটা আনন্দ-ফুর্তিতে কাটানোর মেজাজেই ঢোল-বাদ্য-পতাকা নিয়ে মাঠে এসেছিলেন দর্শক। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেন তাতে ‘সংগত’ দিতেই একে একে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসতে লাগলেন।
অবশ্য ১৫৪ রানে ইনিংস শেষ করা বাংলাদেশকে হারাতে শেষ দিকে শ্রীলঙ্কাকেও একটু সময় নিতে হয়েছে। পাতুম নিশাঙ্কা আর কুশল মেন্ডিসের ঝোড়ো ব্যাটিং ৪.৪ ওভারে ওপেনিং জুটিতেই শ্রীলঙ্কাকে এনে দেয় ৭৮ রান।
সেখান থেকে জয় পেতে শ্রীলঙ্কাকে ১৯তম ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে। কারণ, তিন ছক্কা আর পাঁচ বাউন্ডারিতে মাত্র ১৬ বলে ৪২ করা নিশাঙ্কার বিদায়ের পর আক্রমণের ধারও কিছুটা কমে আসে শ্রীলঙ্কার। ১৪৮ রানের মধ্যে পড়ে ৩ উইকেট, যার তৃতীয়টি আসে শর্ট এক্সট্রা কাভারে শামীম হোসেনের শূন্যে ভেসে নেওয়া দুর্দান্ত ক্যাচে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে কুশলের ৫১ বলে ৭৩ রানের ইনিংস শেষ হয় ওখানেই।
শ্রীলঙ্কার জয়ের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার পাতুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস।