ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন
Published: 20th, April 2025 GMT
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়েছে। স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড অ্যালামনাইয়ের উদ্যোগে ইউনিভার্সিটির কালচারাল ক্লাব ও ফটোগ্রাফি ক্লাব যৌথভাবে এই আয়োজন করে। রাজধানীর বনানীতে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে বর্ষবরণ আয়োজনে ছিল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নৃত্য, সংগীতানুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা। শিক্ষার্থীরা আবহমান বাংলার নানা পণ্য ও খাবারের পসরা সাজিয়েছিল এই মেলায়। অনুষ্ঠানে একক নৃত্য পরিবেশন করেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রীতিকা ও তাসনিম সারাহ।
বর্ষবরণ সংগীতানুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ফ্যাকাল্টি মেম্বার মাসিয়াত প্রাপ্তি, শিক্ষার্থী এড্রিয়েন হেনরি রডরিকেস এবং অনভব অগাস্টিন পালমা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অ্যাক্টিং ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া পিএইচডি, প্রভোস্ট চ্যান জো জিম, ডিন প্রফেসর গোলাম আহমেদ ফারুকী পিএইচডি। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি কালচারাল
ক্লাবের অ্যাডভাইজার ফাবিহা তানজিম, প্রেসিডেন্ট এরিক আলম খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়া সিরাজী,সেক্রেটারি লামহা মাসিয়াত ভুঁইয়া, পাবলিসিটি সেক্রেটারি আজরা সাদিয়া, অর্গানাইজিং সেক্রেটারিওয়ারিশা খান, ফটোগ্রাফি ক্লাবের এডভাইজার আকিব হক এবং প্রেসিডেন্ট নাবা আলী আয়শা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট
এছাড়াও পড়ুন:
হাবিপ্রবিতে বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
বর্ণাঢ্য আয়োজনে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে, সমাবর্তন উপলক্ষে আসা হাজারো গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক, অতিথি এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয় উৎসব ও উদ্দীপনার মিলনস্থলে।
আরো পড়ুন:
হাবিপ্রবিতে স্কলার সামিট অনুষ্ঠিত
এবারো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেবে হাবিপ্রবি
শনিবার (২২ নভেম্বর) এ উপলক্ষ্যে দুপুর দেড়টায় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সমাবর্তনস্থলে যায়।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো পাঠ শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা সমাবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এর সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা।
এরপর স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ডিনগণ গ্র্যাজুয়েটদের শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে ডিগ্রি প্রদানের সমার্পণ করেন। ডিগ্রি প্রদান শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা ‘আচার্য স্বর্ণপদক’ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন হাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান।
সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সিআর আবরার বলেন, “ফ্যাসিবাদী শক্তির দমননীতি অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা যে সাহস, মনোবল ও দেশপ্রেম প্রদর্শন করেছে, তা ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। দেশ আজ নতুন সূচনার পথে। দীর্ঘ দেড় দশকের দমন—পীড়নের অবসান ঘটিয়ে আমরা একটি মুক্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশে ফিরেছি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
তিনি বলেন, “দেশের সীমিত সম্পদের মধ্যেও গবেষণা উন্নয়নে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে।” তিনি শিক্ষকবৃন্দকে গবেষণা জোরদার করা, শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা এবং নতুন জ্ঞানের অনুসন্ধানে আরো অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, “১৮ কোটি মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের কাছে একটি পবিত্র আমানত। প্রশাসনিক, আর্থিক ও একাডেমিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।”
এবারের দ্বিতীয় সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি মিলিয়ে ৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করেন।
ঢাকা/সাকিব/মেহেদী