জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। রুটিন অনুযায়ী ৮ জুলাই শুরু হবে পরীক্ষা। শেষ হবে ৩ আগস্ট। প্রথম দিনে বিএ, বিএসএস, বিবিএ, বিএসসিতে ভিন্ন ভিন্ন ৩১টি কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শেষ হবে ৩ আগস্টে। পরীক্ষা প্রতিদিন বেলা দুইটায় পরীক্ষা শুরু হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী শেষ হবে পরীক্ষা। আজ মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনজাপানের মেক্সট বৃত্তি, মাসে ১ লাখ ১৭ হাজার ইয়েন, একাদশ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরও সুযোগ০৫ মে ২০২৫

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে যেকোনো সময়ই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবেন। সময়সূচি অনুযায়ী সব তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্রের ট্রাংক উত্তোলন বা গ্রহণ করা যাবে না।

তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি যথাসময়ে জানানো হবে। পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ কলেজে যোগাযোগ করে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় জেনে নিতে হবে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের সিমন্স ডিসটিংগুইশড স্কলার অ্যাওয়ার্ড, জিপিএ ৩.

৩ হলে আবেদন৮ ঘণ্টা আগে

পরীক্ষাসংক্রান্ত সব তথ্য ও নির্দেশনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট –এ পাওয়া যাবে। পরীক্ষাসংক্রান্ত জরুরি তথ্যের জন্য পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লিখিত ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য বলা হয়েছে।

* অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার রুটিন দেখুন এখানে

আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বর্ষের ফরম পূরণের সময় আবার বাড়ল০৫ মে ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নাগরিক পার্টির গঠনতন্ত্র অনুমোদন

প্রতিষ্ঠার চার মাসের মাথায় গঠনতন্ত্র তৈরি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।  শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ষষ্ঠ সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরে এর বিভিন্ন দিক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

আখতার হোসেন বলেন, কিছু সংশোধনীসহ সভায় এনসিপির ‘খসড়া গঠনতন্ত্র’ অনুমোদিত হয়েছে। আগামী কাউন্সিলের আগে প্রয়োজন সাপেক্ষে বর্তমান প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমিটি এতে সংশোধনী আনতে পারবে।

গঠনতন্ত্রের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আখতার বলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সারা দেশের কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। একজন সদস্য জীবনে সর্বোচ্চ দুইবার সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ দুইবার সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলের রাজনৈতিক পরিষদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।

এনসিপির রাজনৈতিক পরিষদ ন্যাশনাল কাউন্সিলের (জাতীয় পরিষদ) সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবে। ‘রাজনৈতিক পরিষদ’ সর্বনিম্ন ১১ জন থেকে সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্যের হবে। ১১ জন সদস্য ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। তার মধ্যে ন্যূনতম তিনজন নারী সদস্য থাকতে হবে। পদাধিকারবলে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রাজনৈতিক পরিষদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। এই পরিষদের বাকি দুজন সদস্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বারা মনোনীত হবেন।

এনসিপির একটি ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল’ থাকবে। এই ফোরাম ‘রাজনৈতিক পরিষদ’ নির্বাচন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন এবং জরুরি সময়ে কিছু কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার দায়িত্ব পালন করবে। কেন্দ্রীয় কমিটি, অঙ্গসংগঠনের নির্বাহী কমিটি, জেলা পদমর্যাদার কমিটি থেকে পাঁচজন এবং উপজেলা পদমর্যাদার কমিটি থেকে দুজন সদস্যের সমন্বয়ে ন্যাশনাল কাউন্সিল গঠিত হবে।

এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি দলের সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলী, অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাধারণ সদস্য এবং ক্ষেত্রবিশেষে জেলা সভাপতিদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর। মেয়াদের শেষ ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

এনসিপির এই গঠনতন্ত্র দলীয় ফোরামে অনুমোদিত হলো নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদন সময়সীমা শেষ হওয়া সামনে রেখে। আগামী রোববার এই সময়সীমা শেষ হচ্ছে।

এনসিপির নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন দাখিলের বিষয়ে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সামগ্রিক যোগাযোগের জন্য মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় নাগরিক পার্টির গঠনতন্ত্র অনুমোদন
  • কম সংস্কার বেশি সংস্কারের ধোঁয়াশা কি কাটল?