বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে মুক্তি না দিলে নীলফামারী অচলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। মঙ্গলবার দুপুরে কারাবন্দি তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে আয়োজিত সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।
বিক্ষোভ মিছিলে জেলার ছয় উপজেলার বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। 
দলীয় কার্যালয়ে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে ডিসির মোড়ে সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে তুহিনের মুক্তির দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ সোয়েম, পৌর বিএনপির সভাপতি মাহবুব-উর-রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আল মাসুদ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আয়কর ফাঁকির মামলায় ১৭ বছর আগে শাহরিনের জেল-জরিমানা হয়। সম্প্রতি তিনি দেশে ফেরেন। ওই মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিনের আবেদন জানান। আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করেন। তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ইয়েমেনে বোমাবর্ষণ বন্ধের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প

ইয়েমেনে বোমা হামলা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে তারা আর লড়াই করতে চায় না। আমরা তাদের এ প্রতিশ্রুতিকে সম্মান জানাব এবং বোমাবর্ষণ বন্ধ করব। হুতিরা আত্মসম্পর্ণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের প্রতিশ্রুতি বিবেচনায় নেব। হুথিরা জানিয়েছে, তারা আর জাহাজ ধ্বংস করবে না। আর আমরা এটির জন্যই বোমাবর্ষণ করছিলাম। আমি মনে করি এটি একটি ইতিবাচক বিষয়। তারা সমুদ্রে চলা অনেক জাহাজ উড়িয়ে দিচ্ছিল। যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের ওপর এ মুহূর্ত থেকে বোমা হামলা বন্ধ করে দেবে। খবর আলজাজিরার

গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে রাজধানী সানাসহ বিভিন্ন জায়গায় বোমাবর্ষণ শুরু করে মার্কিন সেনারা। হুতিরা ফিলিস্তিনিদের পক্ষ হয়ে লোহিত সাগর ও বাব আল-মান্দাব প্রণালীসহ বিভিন্ন জায়গায় দখলদার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছিল। তবে তারা যেন এসব হামলা না চালাতে পারে সেজন্য হুতিদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যাপক পাল্টা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তীতে ওমান জানায়, তাদের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র ও হুতিদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। 

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের এ আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ কারও ওপর এবং লোহিত সাগর ও বাব-আল মান্দাব প্রণালীতে মার্কিন জাহাজের ওপর হামলা চালাবে না। এরমাধ্যমে জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক শিপিং সুন্দরভাবে হওয়া নিশ্চিত হয়েছে। তবে হুতিরা এখনও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ