নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলের একটি গ্রামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। ধর্মীয় উত্তেজনায় টালমাটাল এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

প্লাটু প্রদেশের বারকিন জেলার মারিত গ্রামে সোমবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ডেভিড দাভু বলেন, ‘রাতে ঘুমাচ্ছিলাম, হঠাৎ গুলির শব্দে জেগে উঠি। আমরা জানি না কী অপরাধ করেছি। ওরা আমাদের শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না।’

ডেভিড দাভু জানান, হামলার সময় তিনি পরিবার নিয়ে জঙ্গলে পালিয়ে আশ্রয় নেন। পরদিন সকালে ফিরে এসে চারপাশে লাশ দেখতে পান।

কারা হামলার সঙ্গে জড়িত, প্রশাসন তা এখনো নিশ্চিত করেনি। তবে প্লাটু রাজ্য নাইজেরিয়ার মুসলিমপ্রধান উত্তর ও খ্রিষ্টানপ্রধান দক্ষিণের মধ্যবর্তী এলাকা হওয়ায় সেখানে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ ঘটে।

চলতি বছরের এপ্রিলেই রাজ্যটিতে দুই সপ্তাহের সহিংসতায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি খ্রিষ্টান গ্রামে হামলায় প্রায় ২০০ জন নিহত হয়েছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে বাবাকে ছুরি মেরে হত্যা করে ৯৯৯–এ ফোন দিলেন মেয়ে : পুলিশ

ঢাকার সাভারে মেয়ের বিরুদ্ধে বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ছুরি মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ভাড়া বাসা থেকে ওই তরুণীকে (২৩) আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করে বাবাকে হত্যার কথা জানান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরুণী বলেছেন, তিনি বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছিলেন। সেই মামলা তুলে নিতে চাপ ও বাগ্‌বিতণ্ডায় ক্ষুব্ধ হয়ে বাবাকে হত্যা করেছেন।

এ সম্পর্কে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার ও তরুণীকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

আটক তরুণীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির বয়স ৫৭ বছর। তরুণীর মা তাঁর তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন। পাঁচ বছর বয়সে তরুণীর মা মারা যান। ২০১৯ সাল থেকে বাবা তাঁকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন। ২০২৩ সালে তরুণী বাবার বিরুদ্ধে নাটোরে আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেন বাবা। একপর্যায়ে মেয়ের বিরুদ্ধে চুরির মামলাও করেন। পরে সাভারে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন ওই বাবা। চলতি বছরের শুরুর দিকে ওই বাসায় আসেন মেয়েটি। এর পর থেকে মেয়েকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন সময়ে চাপ দিতে থাকেন তিনি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। গতকাল বুধবার রাতে মেয়েটি খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাবাকে খাওয়ান। ভোররাত চারটার দিকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি মেরে বাবাকে হত্যা করেন তিনি।

পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির ফ্ল্যাটের তিনটি কক্ষের একটি সাবলেট দেওয়া। অন্য দুটি কক্ষে মেয়ে ও বাবা থাকেন। অনলাইনে কাপড় বিক্রি করতেন তিনি। হত্যার আগে সাবলেট দেওয়া কক্ষটির দরজার বাইরে থেকে তালা দিয়েছিলেন মেয়েটি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ