মেয়েকে ঢাবিতে পড়ানোর স্বপ্ন পাহাড়ি মায়ের
Published: 17th, May 2025 GMT
মিয়ইচিং মারমা, চল্লিশোর্ধ এক পাহাড়ি নারী। থাকেন রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের তাইতংপাড়ায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা হলেও থেমে নেই তার স্বপ্ন। শত প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে মেয়েকে পড়াতে চান দেশ সেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)।
শনিবার (১৭ মে) ঢাবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয়ে সোয়া ৪টা পর্যন্ত চলে।
মেয়েকে পরীক্ষার হলে পাঠিয়ে চবির বুদ্ধিজীবী চত্বরের একপাশে অপেক্ষা করছিলেন মা মিয়ইচিং মারমা। এ সময় রাইজিংবিডি ডটকমকে তার স্বপ্নের কথা জানান।
আরো পড়ুন:
জবিতে ৪ বছর পর নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি, ক্লাস শুরু ২২ জুন
গুচ্ছভূক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
মিয়ইচিং মারমার মেয়ের নাম ঞোসিনওয়াং মারমা। তিনি ঢাকার একটি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেছেন। এসএসসি দিয়েছিলেন নিজ উপজেলা থেকেই। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ইতোমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইউনিটে তার মেধাক্রম ৩২৫তম।
আর চবিতে মেধাক্রম দূরে হওয়ায় বিভাগ পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। সর্বশেষ ঢাবির ‘সি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। এ পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি পড়বেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে; এমন স্বপ্নই মা মিয়ইচিং মারমার।
দুই বোন আর মা-বাবা মিলে ঞোসিনওয়াংয়ের পরিবার। বাবা মংপ্রুচিং মারমা পাহাড়ে জুমচাষ করেন। এতে মোটামুটি চলছে তাদের পরিবার। তবে সমতলের মানুষদের চেয়ে তাদের অবস্থা অনেকটা ভিন্ন। সুবিধাবঞ্চিত পাহাড়ি জনপদে কঠোর পরিশ্রম করেই চলছে তাদের জীবনযাত্রা। তবে মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করানো আর উন্নত জীবনের স্বপ্ন বাবা-মার।
মিয়ইচিং মারমা বলেন, “মেয়েকে পরীক্ষার হলে পাঠিয়ে এখানে অপেক্ষা করছি। সকাল ৯টায় আমার ভাইসহ তিনজন চবিতে এসেছি। বিকেলে আবার বাড়িতে চলে যাব। মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে- এমনটা আমাদের চাওয়া। জানি না পরে কি হয়!”
পাহাড়ে থেকেও এমন স্বপ্নের পেছনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আসলে মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করা, ভালো মানুষ হওয়া এবং দেশের সেবা করার জন্য আমার এমন স্বপ্ন। আমার মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে- সেটা তো বড় আনন্দের বিষয়।”
তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে মেয়েকে বিসিএস ক্যাডার বানানোর স্বপ্ন। বিসিএস দিয়ে সরকারি কোনো কর্মকর্তা হয়ে দেশের সেবা করবে সে। জানি না, আমার ইচ্ছা পূরণ হবে কি-না; তবে এমনটাই প্রত্যাশা করি। আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স এস পর ক ষ র ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
সহজে পাওয়া যাবে স্মার্ট ডিভাইস
স্মার্টফোনকে সাশ্রয়ে ও সহজে সবার কাছে পৌঁছে দিতে প্রথমবার স্মার্টফোন অন ইনস্টলমেন্ট (সহজ কিস্তিতে স্মার্টফোন) অফার ঘোষণা করেছে ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। আগ্রহীরা ব্যাংক কার্ড ছাড়াই অপারেটর সেন্টার থেকে কিস্তিতে ফোরজি স্মার্টফোন কেনার সুযোগ পাবেন বলে জানায় উদ্যোক্তারা।
সারাদেশে এখনও ফোরজি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত গ্রাহকের স্মার্ট ডিভাইস চাহিদা পূরণে কিস্তিমূল্যের ১৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন আগ্রহীরা। সহজেই টুজি বা থ্রিজি থেকে ফোরজি স্মার্টফোনে আপগ্রেড হওয়া যাবে। ডিভাইসের দামের বাকি অংশ সর্বাধিক ৯ মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে।
বাংলালিংকের মার্কেটিং অপারেশনস ডিরেক্টর মেহেদী আল আমীন বলেন, আমরা স্মার্টফোন কেনার আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করতে কাজ করছি।
উল্লিখিত উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা ফোরজি স্মার্টফোন সবার সাধ্যের নাগালে আনার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে যাদের ক্রেডিট কার্ড নেই বা ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে আছে, এমন আগ্রহীর জন্য সাশ্রয়ে স্মার্টফোন কেনার সুযোগ করে দিতে চাই। ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে আরও বেশি আগ্রহীকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ডিজিটালভাবে আমরা অগ্রসর যুক্ত বাংলাদেশের দিকে প্রতিনিয়ত
এগিয়ে চলেছি। পামপে, জেনেক্স ও আই স্মার্ট ইউ এবং অপারেটরের কৌশলগত সহযোগিতার মাধ্যমে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়।
পামপে লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুন জেং বলেন, আমরা অর্থবহ উদ্যোগ বাস্তবায়নে অপারেটরকে অংশীজন করেছি। কিস্তিতে স্মার্টফোন কিনতে ক্রেডিট কার্ডের আর প্রয়োজন হবে না। ফলে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সেবা আরও সহজলভ্য হবে। অন্যদিকে, সমাজের সব স্তরের গ্রাহক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির আওতায় আসবে। ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে দৃশ্যমান ভূমিকা রাখবে।
আই স্মার্ট ইউ টেকনোলজি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক বলেন, আমরা স্মার্টফোন ক্রেতার সুবিধা নিয়ে কাজ করছি। গ্রাহকের জন্য আইটেল, টেকনো ও ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের স্মার্ট ডিভাইস কিনতে সুযোগ তৈরি করছি। আগ্রহীরা যেন সহজে ও সুলভে স্মার্টফোন কিনতে পারেন, সে জন্য ইএমআই সুবিধা নিয়ে কাজ করছি। অপারেটরের সঙ্গে অংশীজন হওয়ায় ডিভাইস ও পরিষেবায় সম্ভাবনা সূচিত হবে এবং ঈদে গ্রাহকের আনন্দকে পরিপূর্ণতা দেবে।