‘লাপাতা লেডিস’ অভিনেত্রী, আরও যাঁরা ছিলেন কানের লালগালিচায়
Published: 17th, May 2025 GMT
২ / ৬‘ডালোওয়ে’ সিনেমার প্রিমিয়ারে স্কটিশ অভিনেত্রী ফ্রেয়া মেভার। এএফপি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির তোপের মুখে শিক্ষার্থীরা
ফরিদপুর শহর পরিষ্কারে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করায় বিএনপির নেতাকর্মীর তোপের মুখে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বিএনপির দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের ছবিসংলগ্ন বিএনপির প্রচার-প্রচারণার ব্যানার-ফেস্টুন খুলে ফেলা হয়েছে।
জানা যায়, শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সড়ক বিভাজকে লাগানো গাছগুলো সংরক্ষণের জন্য গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করেন ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ, মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন, সহ-মুখপাত্র উম্মে হাবিবাসহ অন্য সদস্যরা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদ (তাবরিজ)। তিনি লেখেন, ‘শহর পরিষ্কার করার নামে বিএনপির ব্যানার ফেস্টুনে হাত দেওয়া সহ্য করা হবে না। ... ফলাফল ভালো হবে না।’ এ স্ট্যাটাসের পর পরই বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন বলেন, মূলত সৌন্দর্য বজায় রাখতে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ব্যানার-ফেস্টুন খোলা হয়েছিল। কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে নয়। এ ঘটনার পর থেকে তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ব্যানার-ফেস্টুন খোলার প্রতিবাদে জেলা যুবদলের আয়োজনে গতকাল শনিবার দুপুরে শহরে বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে সংগঠনটি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় তারা। এ সময় সংগঠনটির সভাপতি রাজীব হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিএনপির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানা। তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক বা পরিকল্পিত কিছু না। তারা চান, শহর পরিষ্কার থাকুক। এর পরও এটিকে রাজনৈতিকভাবে নেওয়া হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি সবার কাছে ক্ষমা চান।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা বলেন, ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা পৌরসভার কাজ। শিক্ষার্থীরা কেন করছে?