পাকিস্তানে রিশাদ হোসেনের হোম ভেন্যু যেন লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম! গত এক মাসে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সে খেলার সুবাদে এ স্টেডিয়ামের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তাঁর। এই ভেন্যুতে অনুশীলন, ম্যাচ খেলা দুই অভিজ্ঞতাই আছে রিশাদের। পিএসএলে সদ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের সদস্য তিনি। পাকিস্তানের এ টি২০ লিগে ভালো ক্রিকেট খেলেছেন বাংলাদেশি লেগ স্পিনার রিশাদ। সাত ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছেন। পিএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোর কাটতে না কাটতে লাহোরেই আন্তর্জাতিক সিরিজের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে রিশাদদের। লিটন কুমার দাসদের সঙ্গে গতকাল জাতীয় দলের অনুশীলনে ছিলেন তিনি।
বিশ্বের অন্যতম ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ফাইনাল খেলা এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভিজ্ঞতা রিশাদকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলার কথা। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট অন্তত তাই মনে করে। পাকিস্তানের মাটিতে রিশাদের ধারাবাহিক ভালো খেলা লিটন কুমার দাসদের অনুপ্রাণিত করবে। পিএসএলের ফাইনাল ম্যাচ চলাকালে বাংলাদেশ দলের কয়েকজন ক্রিকেটার লাহোরে থাকলেও স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে যেতে পারেননি নিরাপত্তা প্রোটোকল থাকায়। মাঠে যেতে না পারলেও লিটনরা জাতীয় দল সতীর্থের বোলিং দেখেছেন টিভিতে।
পিএসএল ছিল রিশাদের প্রথম বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। অভিষেকেই বাজিমাত করেন তিনি। বোলিং ইকোনমি এবং উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা তাঁকে টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার জায়গায় নিয়ে গেছে। সে কারণে ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে সাকিবকে রিজার্ভে রেখে রিশাদকে খেলায় কালান্দার্স। হাইভোল্টেজ ম্যাচে একটু খরুচে হলেও চার ওভারের কোটা পূরণ করেন তিনি। ৪২ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। রিশাদরা কাল গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গেছেন জাতীয় দলের ডিউটি পালন করতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তারই প্রথম অনুশীলন ছিল গতকাল।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজ শেষ করে পাকিস্তানে কালান্দার্সে যোগ দেন রিশাদ। সেখানে দেশের তিন সতীর্থের দারুণ সময় কেটেছে। ২৪ মে জাতীয় দলের অগ্রবর্তী গ্রুপ লাহোরে পৌঁছালে সাকিবকে নিয়ে আড্ডায় মেতে ওঠেন সবাই। এক বেলা বিশ্রাম নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ফ্ল্যাডলাইটের আলোয় অনুশীলন করেন তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল টন দ স জ ত য় দল প এসএল
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের জন্য জাতীয় দলের দরজা সবসময় খোলা: বিসিবি
আবারও আলোচনার কেন্দ্রে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা নাম সাকিব আল হাসান। গ্লোবাল সুপার লিগে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের পর জাতীয় দলে তার ফেরা নিয়ে জোর গুঞ্জন চলছে।
গত বছর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন সাকিব। তবে এরপর ভারতের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে টেস্ট সিরিজে খেলেছিলেন তিনি। এরপর আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি তাকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য দেশে ফেরার কথা থাকলেও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগে শেষ মুহূর্তে দুবাই থেকে ফিরে যান সাকিব। পাশাপাশি বোলিং অ্যাকশন নিয়ে নিষেধাজ্ঞার কারণে কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে। পরে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দিয়ে মাঠে ফেরেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
বর্তমানে গ্লোবাল সুপার লিগে (জিএসএল) দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন সাকিব। উদ্বোধনী ম্যাচে ৩৭ বলে ৫৮ রান ও ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিজের সামর্থ্যের ঝলক দেখান ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা। এমন পারফরম্যান্সের পর তাকে নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে জাতীয় দলে ফেরানো উচিত কি না।
শনিবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেন, ‘সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। তার জন্য জাতীয় দলের দরজা সবসময় খোলা। এখন বিষয়টা নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে বিসিবি কীভাবে পরিচালিত হয়েছে আমি জানি না। তবে বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল পুরো দায়িত্ব দিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশনস, নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টকে। তারা বিষয়টি দেখছেন এবং বিবেচনায় রাখবেন।’
তবে জিএসএলের পরের ম্যাচে হোবার্ট হারিকেনসের বিপক্ষে সাকিবের পারফরম্যান্স ছিল ফিকে। ব্যাট হাতে করেন মাত্র ৭ রান, আর বল হাতে উইকেটশূন্য থেকে ৪ ওভারে দেন ৩৪ রান।