শেরপুরে বন বিভাগের কার্যালয়ে বন্য হাতির হানা, আসবাব তছনছ
Published: 27th, May 2025 GMT
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী বনের বাতকুচি বিট কার্যালয়ে বন্য হাতির দল হানা দিয়ে ঘরের আসবাব তছনছ করেছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাহাড়ের টিলায় অবস্থিত কার্যালয়টিতে এ ঘটনা ঘটে।
বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে একটি হাতি বিট কার্যালয়ের সীমানায় চলে আসে। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন, গ্রামবাসী ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যরা হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠান। তবে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ২০ থেকে ২৫টি হাতির একটি দল হানা দেয় বিট কার্যালয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দলটির চার থেকে পাঁচটি হাতি ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে ফেলে। এ সময় কয়েকটি হাতির শাবক ঘরের ভেতরে ঢুকে রাখা চাল খেয়ে ফেলে এবং তিনটি কক্ষে থাকা সব আসবাব ভেঙে তছনছ করে। পরে হাতির দলটি দাওধারা কাটাবাড়ি জঙ্গলের দিকে চলে যায়।
রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী এবং বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
সমশ্চুড়া বিট কর্মকর্তা কাওসার হোসেন বলেন, সমশ্চুড়া ও কাটাবাড়ি এলাকার জঙ্গলে বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৫টি হাতির দুটি দল অবস্থান করছে। বিট কার্যালয় ভাঙচুরের পর রাতে কয়েকটি বসতঘরেও হামলা চালিয়েছে হাতির দল।
মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, বাতকুচি বিট অফিসটি টিলার ওপরে। বিকেলে একটি হাতি ঘোরাঘুরি করার পর রাতে দল বেঁধে এসে পুরো অফিস তছনছ করেছে। বিষয়টি রাতেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৮ মে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী বিট কার্যালয়েও একটি হাতির দল হামলা চালিয়ে একটি ঘরের দরজা-জানালা ও আসবাব ভেঙে ফেলে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ র কর মকর ত হ ত র দল আসব ব
এছাড়াও পড়ুন:
ঘুমের মধ্যে পায়ের নড়াচড়া
অনেকেই আছেন, ঘুমাতে গেলেই পায়ে চুলকানি বা পিন ফোটানো বা পায়ে কোনো কিছু হাঁটছে বলে অনুভূত করেন। ফলে বারবার পা চুলকাতে, নাড়াচড়া করতে থাকেন। ঘুমে চোখ একটু বন্ধ হয়ে এলেই আবার শুরু হয় একই অনুভূতি। ঘুম থেকে জেগে আবার শুরু হয় পা ঝাড়ামোছা। এমন করতে করতেই কারও কারও রাত কেটে যায়। কারও আবার এসব লক্ষণ অল্প অনুভূত হয়।
সাধারণত রাতে ঘুমাতে গেলে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এটিকে বলে রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম। এটি এক ধরনের স্নায়ুরোগ। ঘুমের সমস্যাজনিত রোগও বলা যেতে পারে। সাধারণত মাঝবয়সীরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হন। এর মধ্যে নারীরা বেশি আক্রান্ত হন।
কী কারণে এ রোগ দেখা দেয়, তার কারণ জানা যায়নি। এ রোগে আক্রান্তের অর্ধেকেরই পরিবারে কেউ না কেউ একই সমস্যায় ভোগেন। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কারণে এ রোগের প্রকোপ বাড়ে বা এ রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন– আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা, ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, পারকিনসন ডিজিজ, পেরিফেরা নিউরোপ্যাথি রোগ ইত্যাদি। কিছু ওষুধ, যেমন– বমির ওষুধ, মানসিক অবসাদের ওষুধ, ঠান্ডা-কাশির ওষুধ সেবনেও এমন হতে পারে। ওষুধ বন্ধ করে দিলে এ সমস্যার সমাধান হয়। কারও কারও গর্ভধারণের শেষ তিন মাসে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে প্রসবের এক মাসের মধ্যে সাধারণত ভালো হয়ে যায়। মদপানেও হতে পারে রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম। যদি এমন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
শুরুতে ওষুধ সেবনে না গিয়ে জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন, যেমন– নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস, চা-কফি ও ধূমপান-মদপান পরিহার করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, পায়ের ম্যাসাজ করা, পায়ে গরম বা ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা যেতে পারে।
অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। তাদের স্ট্রেসমুক্ত জীবনে অভ্যস্ত হতে হবে। প্রয়োজনে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন। দেখা গেছে, মানসিক সমস্যা কেটে গেলে অনেকের এ ধরনের অসুবিধা কেটে যায়। এ রোগের বেশ কয়েক ধরনের চিকিৎসা রয়েছে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস)