শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী বনের বাতকুচি বিট কার্যালয়ে বন্য হাতির দল হানা দিয়ে ঘরের আসবাব তছনছ করেছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাহাড়ের টিলায় অবস্থিত কার্যালয়টিতে এ ঘটনা ঘটে।

বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে একটি হাতি বিট কার্যালয়ের সীমানায় চলে আসে। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন, গ্রামবাসী ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যরা হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠান। তবে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ২০ থেকে ২৫টি হাতির একটি দল হানা দেয় বিট কার্যালয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দলটির চার থেকে পাঁচটি হাতি ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে ফেলে। এ সময় কয়েকটি হাতির শাবক ঘরের ভেতরে ঢুকে রাখা চাল খেয়ে ফেলে এবং তিনটি কক্ষে থাকা সব আসবাব ভেঙে তছনছ করে। পরে হাতির দলটি দাওধারা কাটাবাড়ি জঙ্গলের দিকে চলে যায়।

রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী এবং বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

সমশ্চুড়া বিট কর্মকর্তা কাওসার হোসেন বলেন, সমশ্চুড়া ও কাটাবাড়ি এলাকার জঙ্গলে বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৫টি হাতির দুটি দল অবস্থান করছে। বিট কার্যালয় ভাঙচুরের পর রাতে কয়েকটি বসতঘরেও হামলা চালিয়েছে হাতির দল।

মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, বাতকুচি বিট অফিসটি টিলার ওপরে। বিকেলে একটি হাতি ঘোরাঘুরি করার পর রাতে দল বেঁধে এসে পুরো অফিস তছনছ করেছে। বিষয়টি রাতেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২৮ মে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী বিট কার্যালয়েও একটি হাতির দল হামলা চালিয়ে একটি ঘরের দরজা-জানালা ও আসবাব ভেঙে ফেলে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ র কর মকর ত হ ত র দল আসব ব

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসু: আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা আমান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন উপলক্ষে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. আমানউল্লাহ আমান।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাকে আড্ডা দিতে দেখা যায়।

আরো পড়ুন:

‘রাকসু নির্বাচনে গুজব প্রতিরোধে কাজ করছে সাইবার ইউনিট’

রাকসু নির্বাচন: একটি ভোটের জন্য ১৪ সেকেন্ড বরাদ্দ

সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে বসে রয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান। তার সঙ্গে রাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ফার্সি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী তাহের রহমানসহ শাখা ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে অবস্থান করতে দেখা যায়।

এদিকে, রাকসুর নির্বাচন উপলক্ষে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া কয়েকদিন ধরে হলগুলোতে যাতে কোনো বহিরাগত না থাকে, সেজন্য তল্লাশি কার্যক্রম চালায় নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, “আশ্চর্য! সে কীভাবে ভেতরে ঢুকল, তা আমাদের জানা নেই। প্রতিটি গেটে চেকপোস্ট রয়েছে, আমরা কঠোর নিরাপত্তা দিচ্ছি। তারপরও কীভাবে সে প্রবেশ করল, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”

রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, “উনি ঢুকলেন কীভাবে? উনার তো আসার কথা না এখানে। আচ্ছা, বিষয়টা আমি দেখছি।”

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতা আমানউল্লাহ আমানকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলে তিনি সাড়া দেননি। হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ