বলিউডের রুপালি দুনিয়া দাপিয়ে বেড়ানো অভিনেত্রী শ্রীদেবী। পর্দায় তার উপস্থিতি বিবর্ণ করে দিয়েছে বহু নায়ককে। ‍শিফন শাড়িতে মুগ্ধতা ছড়ানো এই অভিনেত্রীর রূপের দ্যুতি ভোলার নয়। তবে মৃত্যু তার গতিশীল জীবনকে থামিয়ে দিয়েছে।

 

আরো পড়ুন:

ভুল বোঝাবুঝি থেকে হৃতিক-সুজানের বিচ্ছেদ: রাকেশ রোশান

৬ দিনে অক্ষয়ের সিনেমার আয় কত?

ব্যক্তিগত জীবনে শ্রীদেবী বিয়ে করেছিলেন নির্মাতা-অভিনেতা বনি কাপুরকে। এ সংসারে তাদের দুই মেয়ে— জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুর। বেশ আগে বলিউডে পা রেখে সুনাম কুড়িয়েছেন শ্রীদেবীর বড় মেয়ে জাহ্নবী। বছর দুয়েক আগে ছোট কন্যা খুশি কাপুরেরও চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে। যদিও সিনেমাটি তাকে খ্যাতি এনে দিতে পারেনি।

 

খুশির নতুন সিনেমা ‘লাভিয়াপা’। আমির খানের ছেলে জুনায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। আাগামী মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। আপাতত সিনেমাটির প্রচারের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খুশি। অভিনয়ে খ্যাতি কুড়াতে না পারলেও সহঅভিনেতা বেদাং রায়নার সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জন অনেক দিন ধরেই উড়ছিল। সম্প্রতি সেই গুঞ্জনের পালে নতুন করে হাওয়া লেগেছে।

 

কয়েক দিন আগে কানেক্ট সিনেকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন খুশি। সেখানে র‍্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে অংশ নিতে দেখা যায়। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, রোমান্টিক মুহূর্ত ফোনে ধরে রাখেন কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “খুব একটা যে করি, তা নয়। আমার যদি ইচ্ছা হয়, তবে আমি আগে প্রস্তাব দিয়ে থাকি।”

 

নায়িকার মুখে এমন কথা শোনার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন সঞ্চালক। জানতে চান অতীতে কোনো প্রেমের প্রস্তাব তার ওপর প্রভাব ফেলেছিল কি না? সবাইকে অবাক করে দিয়ে খুশি বলেন, “আমাকে এখনো কেউ কোনো প্রেমের প্রস্তাব দেয়নি।” খুশির এই জবাব, চলতি হাওয়ায় ভেসে বেড়ানোর প্রেমের গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়েছে।

 

খুশি কাপুর সিদ্ধার্থ কানানকে আরেকটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এ আলাপচারিতায় বিয়ের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। ছোটবেলা থেকেই ধুমধাম করে বিয়ের স্বপ্ন দেখতেন। তার কথায়, “আমি মুম্বাইয়ে বড় হয়েছি। বিয়ের পরও বাবা যে বিল্ডিংয়ে থাকেন সেখানেই আমি থাকব। বাবার বাড়ির কাছাকাছি থাকব। আমার পরিবারে থাকবে স্বামী, দুই সন্তান আর অনেকগুলো পোষ্য (কুকুর)।”

 


 
খুশি কাপুর অভিনী ‘লাভিয়াপা’ সিনেমা পরিচালনা করেছেন ‘লাল সিং চাড্ডা’খ্যাত নির্মাতা অদ্বৈত চন্দন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

 

তা ছাড়াও খুশি কাপুরের হাতে আরেকটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এ বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেন, “আমার হাতে আরেকটি প্রজেক্টের কাজ রয়েছে। এ বছরই এটি মুক্তি পাবে। এটি নিয়ে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। তা ছাড়াও পাইপলাইনে আরেকটি কাজ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনই বলতে চাই না।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রেললাইনে ফাটল, স্ত্রীর লাল ওড়না উড়িয়ে ট্রেন থামালেন মজিবুর

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক বাসিন্দার তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তা এবং সাহসিকতার কারণে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বলাকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন। 

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে শ্রীপুর উপজেলার বালিয়াপাড়া এলাকায় রেললাইনে ফাটল দেখতে পেয়ে স্ত্রীর লাল ওড়না দিয়ে সংকেত দেখিয়ে ট্রেন থামান মজিবুর রহমান (৫০)। এতে বলাকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন ও ট্রেনের যাত্রীরা দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রীপুর-কাওরাইদ রেল স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে গোলাঘাট জিরাতি বাড়ি মোড় এলাকায় রেললাইনে ফাটল দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান মজিবুর রহমান। ট্রেনের আসার শব্দ শুনে তাৎক্ষণিকভাবে স্ত্রীর লাল ওড়না নিয়ে লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে চালককে সংকেত দিতে থাকেন তিনি। সংকেত পেয়ে চালক ট্রেনটি নিরাপদে থামিয়ে দেন।

সাহসী এই তাৎক্ষণিক উদ্যোগের জন্য মজিবুর রহমান স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন।

বলাকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছিল ঢাকা থেকে জাজিরাগামী, যা ওই সময় শ্রীপুর স্টেশন পার হয়ে কাওরাইদ স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশন থেকে রেলওয়ে কর্মী সোহেল রানা এসে ফাটল পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান করেন। এর পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মজিবুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, “স্থানীয়দের চিৎকার শুনে দৌড়ে যাই। দেখি রেললাইনে বড় ফাটল। ট্রেনের আওয়াজ শুনে বুঝি, সময় খুব কম। স্ত্রীর লাল ওড়না নিয়ে সংকেত দিই। চালক ধীরে ধীরে ট্রেন থামান। আল্লাহর রহমতে বড় বিপদ থেকে বাঁচা গেছে।”

শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, “৩৪০ এর ৪/৫ কিলোমিটার সেকশনে এই ফাটলটি দেখা দেয়। স্থানীয়দের সতর্কতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।”

রেলওয়ে সূত্র জানায়, মাঝে মাঝে রেললাইনে ফাটল দেখা দিতে পারে। সেগুলো সময়মতো না ধরতে পারলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। বালিয়াপাড়ার এই ফাটল ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বলেও স্বীকার করেন রেল কর্মকর্তারা।

ঢাকা/রফিক/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ