Samakal:
2025-05-08@06:27:37 GMT

সমালোচনায় কখনো কান দিই না: দিঘী

Published: 12th, February 2025 GMT

সমালোচনায় কখনো কান দিই না: দিঘী

শিশুশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বেশ কিছু সিনেমা ও ওটিটি কন্টেন্টে কাজের সুবাদে দর্শর্কে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এসবের মাঝে কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মাঝে মধ্যে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তবে সমালোচনায় কখনো কান দেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন সমালোচনা নিয়ে মাথা ঘামানোও উচিত নয়।

দিঘী বলেন, ‘সমালোচনায় কখনো কান দিই না। তবে যদি সামনে পড়ে যায়, তাহলে শোনা উচিত। মাথা ঘামানো উচিত নয়। যখন নতুন ছিলাম, তখন সমালোচনা আমাকে অনেক বেশি হিট করত। এখন কারও সমালোচনা করা ট্রেন্ডি হয়ে গেছে। কাউকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বললে মনে করেন, তিনি অনেক বোঝেন। অনেক জানেন। অনেকে আরেকজনকে ছোট করে নিজেকে বড় মনে করেন। তাঁরা শোধরানোর জন্য সমালোচনা করেন না।’

কে ভালো চান আর কে খারাপ চান- তা এখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারেন দিঘী। কাজের ক্ষেত্রে নিজের বাবাকে বড় সমালোচক মনে মনে অভিনেত্রী।

দিঘীর ভাষ্য, ‘আমি এটা বুঝতে পারি, কে আমার ভালো কিংবা খারাপ চান। যদি ভুল শোধরানোর কিছু থাকে, তাহলে বাসায় বাবা আছেন, যিনি আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক, কখন কোনটা করা উচিত, তিনিই আমাকে বলে দিতে পারবেন। বাদ বাকিগুলো না কানে শুনি, না গায়ে লাগাই।’

বর্তমানে ভ্যালেন্টাইন, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কাজ করছেন। ঈদে তার অভিনীত সিনেমা ‘জংলি’ মুক্তি পাবে। এখানে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক সিয়াম। এছাড়া নতুন কয়েকটি সিনেমা নিয়েও কথা চলছে বলেও জানান তিনি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রেললাইনে ফাটল, স্ত্রীর লাল ওড়না উড়িয়ে ট্রেন থামালেন মজিবুর

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক বাসিন্দার তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তা এবং সাহসিকতার কারণে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বলাকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন। 

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে শ্রীপুর উপজেলার বালিয়াপাড়া এলাকায় রেললাইনে ফাটল দেখতে পেয়ে স্ত্রীর লাল ওড়না দিয়ে সংকেত দেখিয়ে ট্রেন থামান মজিবুর রহমান (৫০)। এতে বলাকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন ও ট্রেনের যাত্রীরা দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রীপুর-কাওরাইদ রেল স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে গোলাঘাট জিরাতি বাড়ি মোড় এলাকায় রেললাইনে ফাটল দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান মজিবুর রহমান। ট্রেনের আসার শব্দ শুনে তাৎক্ষণিকভাবে স্ত্রীর লাল ওড়না নিয়ে লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে চালককে সংকেত দিতে থাকেন তিনি। সংকেত পেয়ে চালক ট্রেনটি নিরাপদে থামিয়ে দেন।

সাহসী এই তাৎক্ষণিক উদ্যোগের জন্য মজিবুর রহমান স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন।

বলাকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছিল ঢাকা থেকে জাজিরাগামী, যা ওই সময় শ্রীপুর স্টেশন পার হয়ে কাওরাইদ স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশন থেকে রেলওয়ে কর্মী সোহেল রানা এসে ফাটল পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান করেন। এর পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মজিবুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, “স্থানীয়দের চিৎকার শুনে দৌড়ে যাই। দেখি রেললাইনে বড় ফাটল। ট্রেনের আওয়াজ শুনে বুঝি, সময় খুব কম। স্ত্রীর লাল ওড়না নিয়ে সংকেত দিই। চালক ধীরে ধীরে ট্রেন থামান। আল্লাহর রহমতে বড় বিপদ থেকে বাঁচা গেছে।”

শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, “৩৪০ এর ৪/৫ কিলোমিটার সেকশনে এই ফাটলটি দেখা দেয়। স্থানীয়দের সতর্কতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।”

রেলওয়ে সূত্র জানায়, মাঝে মাঝে রেললাইনে ফাটল দেখা দিতে পারে। সেগুলো সময়মতো না ধরতে পারলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। বালিয়াপাড়ার এই ফাটল ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বলেও স্বীকার করেন রেল কর্মকর্তারা।

ঢাকা/রফিক/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ