কাউকে ঠকিয়ে জেতা যায় না: প্রীতম হাসান
Published: 28th, April 2025 GMT
ছবি: খালেদ সরকার
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: শিশুসহ ৭ জন নিহতের দাবি পাকিস্তানের
ভারতের হামলায় পাকিস্তানে শিশুসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। হামলায় আহতের সংখ্যাও ১২ জন থেকে বেশি।
পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরীফ তাদের দেশের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে।
৭ মে পাকিস্তানের ভেতরে ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে এই হামলা চালায় ভারতের সামরিক বাহিনী। এক বিবৃতিতে ভারত বলছে, পহেলাগামে হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসী স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। কোনো বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়নি।
আরো পড়ুন:
ভারতের হামলা: বিস্ফোরণে ঘুম ভেঙে যায় মুজাফফরাবাদের বাসিন্দাদের
পাকিস্তানে ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বললেন, এটা দুঃখজনক
আহমেদ শরীফ অবশ্য সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে হামলার স্থানের সংখ্যা বলেননি। এর আগে তিনি পাঁচটি স্থানে ভারতের হামলার কথা নিশ্চিত করেছিলেন।
আইএসপিআর কর্মকর্তা শরীফ বলেছেন, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানা স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি মসজিদ রয়েছে।
তিনি বলেন, “এটি আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন।”
বিবিসি লিখেছে, ভারত সরকার বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে, যার লক্ষ্য পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অবস্থিত ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’, যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও হামলা পরিচালিত হচ্ছে।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৬ জন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক। এই হামলায় পাকিস্তানের দায় দেখছে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের মদদ দেয় ইসলামাবাদ। এর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে পাকিস্তান বরাবরই বলে আসছে, পহেলগাম হামলার সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্র নেই। উপরন্তু, ভারতের কাছে কোনো প্রমাণ থাকলে তা দেখানোর চ্যালেঞ্জ দিয়েছে তারা।
সেই থেকে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেই উত্তেজনার মধ্যেই ৭ মে গভীর রাতে পাকিস্তানের ৯টি স্থানে হামলা করল ভারত। এখন পাকিস্তান কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় বা জবাব দেয়, তারপর ওপর নির্ভর করছে বাকিটা।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার ঘটনাকে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করে শিগগির তা বন্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ভারত-পাকিস্তানের উভয়ের প্রতি সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকা/রাসেল