ইন্টারনেট ট্রান্সমিশনে মূল্য হ্রাস-সংক্রান্ত বাহন লিমিটেডের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার
Published: 29th, April 2025 GMT
‘ইন্টারনেট ট্রান্সমিশনে মূল্য হ্রাসের ঘোষণা বাহন লিমিটেডের’ শীর্ষক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন সোমবার (২৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “রবিবার (২৭ এপ্রিল) বাহন লিমিটেডের ইন্টারনেট ট্রান্সমিশনে মূল্য হ্রাসের ঘোষণার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন মিডিয়ায় আমার স্বাক্ষরে প্রেরণ করা হয়। মূলত, এটি ছিল আমাদের ইন্টারনাল গ্রুপের মেসেজ, যা ভুলবশত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হিসেবে প্রচারের জন্য মিডিয়া হাউসে প্রেরণ করেছি। স্বাভাবিকভাবেই সংবাদমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে।
যেহেতু, বিষয়টি আমাদের ইন্টারনাল গ্রুপের মেসেজ ছিল, তাই আমি গতকাল মিডিয়ায় প্রেরিত ‘ইন্টারনেট ট্রান্সমিশনে মূল্য হ্রাসের ঘোষনা বাহন লিমিটেডের‘ শীর্ষক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। পাশাপাশি এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।”
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব হন ল ম ট ড র
এছাড়াও পড়ুন:
খালে লাশ পাওয়ার পর দাফন, এক সপ্তাহ পর জানা গেল তিনি জীবিত
গত শনিবার চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাই খাল থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার উবায়দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি এসে নিজের ছেলে আব্দুর রহিম পরিচয় দিয়ে লাশ নিয়ে যান ভোলায়। সেখানে দাফনও করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার জানা যায়, আব্দুর রহিম পরিচয়ে যাকে ছয়দিন আগে দাফন করা হয়েছে তিনি জীবিত। পাওনা টাকা দিতে না পেরে মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। ছেলে নিখোঁজ হওয়ায় তার বাবা মনে করেছিলেন ছেলে খুন হয়েছেন। তাই নিজের ছেলে মনে করে নিয়ে গিয়ে দাফন করেছেন।
উবায়দুল্লাহ জানান, তার ছেলে চট্টগ্রামে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। পহেলা মে সকালে একটি ফোন পেয়ে বের হয়ে কর্মস্থল থেকে নিখোঁজ হন। তার দাবি ছিল তার ছেলে অনলাইন জুয়াড়ির খপ্পরে পড়েছিলেন। তাদের হাতে তিনি খুন হতে পারেন। কোতোয়ালী থানা পুলিশও তাকে লাশ বুঝিয়ে দেন। তিনি লাশ ভোলায় নিয়ে যান। সেখানে দাফন করেন।
বৃহস্পতিবার নির্মাণ শ্রমিক আব্দুর রহিমের নাম্বারটি সচল পেয়ে যাচাই করতে গিয়ে তাকে জীবিত দেখতে পান পিবিআই। তারা তাকে হেফাজতে নেন। তিনি পিবিআই কর্মকর্তাদের জানান, পাওনা টাকা দিতে না পেরে তিনি মোবাইল বন্ধ রেখে লুকিয়ে ছিলেন। পরে তার বাবাকে ডেকে আনা হয়। দুইজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আব্দুর রহিমের বাবা উবায়দুল্লাহ পিবিআই কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, খোঁজাখুজি করেও ছেলের হদিস না পাওয়ায় লাশটি তার ছেলের মনে করেছিলেন। লাশটি বিকৃত থাকায় ছেলের লাশ বলে ভুল করে ছিলেন। তার অন্যকোন উদ্দেশ্য ছিল না। পিবিআইয়ের তদন্তেও তা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, খাল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের পর ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই। আব্দুর রহিমের মোবাইল চালু হলে যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে জানা যায় তিনি জীবিত। পরে বাবা-ছেলেকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ছেলে জানিয়েছে পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতে মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে ছিলেন। বাবা জানিয়েছেন তিনি ছেলেকে চিনতে ভুল করেছেন।
তিনি জানান, যার লাশ দাফন করা হয়েছে তার ডিএনএ সংগ্রহ করা আছে। লাশটির দাবিদার পাওয়া গেলে ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে।