বলিউডের তারকা অভিনয়শিল্পী শাহরুখ খান ও রানী মুখার্জি। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমায় তাদের অভিনয় দারুণ প্রশংসা কুড়ায়। করন জোহর পরিচালিত এ সিনেমা ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায়। তারপর কেটে গেছে ২৪ বছর। কিন্তু এখনো এ জুটির রসায়ন দর্শক মনে অমলিন।
এছাড়াও বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাহরুখ-রানী মুখার্জি। তবে শাহরুখ অভিনীত কিছু সিনেমায় অতিথি চরিত্রেও দেখা গেছে রানীকে। যেমন— ‘কাল হো না হো’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘জিরো’ প্রভৃতি। অনেকটা বিরতির পর শাহরুখের নতুন সিনেমা ‘কিং’-এ অভিনয় করতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। পিঙ্কভিলা এ খবর প্রকাশ করেছে।
সিনেমা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’-এর মতো সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান ও রানী মুখার্জি। ফের তারা একসঙ্গে অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত। সিনেমাটিতে সুহানা খানের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন রানী মুখার্জি। এটি এমন একটি চরিত্র, যা সিনেমাটির সম্পূর্ণ অ্যাকশন-থ্রিলারের জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।”
আরো পড়ুন:
কাঙ্ক্ষিত লুকে দেখা দিলেন শাহরুখ
মেট গালার লাল গালিচায় হাঁটবেন শাহরুখ, উড়ে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রে
‘কিং’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য রানীকে প্রস্তাব দেওয়ার পর সময় নেননি তিনি। এ তথ্য উল্লেখ করে সূত্রটি বলেন, “কোনোরকম চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই শাহরুখ-আনন্দের ‘কিং’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য রাজি হয়েছেন রানী মুখার্জি। তিনি তার চরিত্রটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান। তার চরিত্র সিনেমাটির গভীর আবেগময় অংশ।”
‘কিং’ সিনেমায় রানীর চরিত্রটি ক্যামিও, তবে দীর্ঘ। তার অংশের শুটিং করতে পাঁচ দিন সময় লাগবে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।
সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের জন্য অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত করেছেন পরিচালক সিদ্ধান্ত আনন্দ। কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করবেন শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন। তাছাড়াও অভিনয় করবেন— অভিষেক বচ্চন, অনীল কাপুর, জ্যাকি শ্রফ, আরশাদ ওয়ার্সি, অভয় ভার্মা প্রমুখ।
আগামী ২০ মে মুম্বাইয়ে সিনেমাটির শুটিং শুরু করবেন পরিচালক। এরপর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দৃশ্যধারণের কাজ হবে। ২০২৬ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা। এটি প্রযোজনা করছে শাহরুখের রেড চিলিজ এবং মারফ্লিক্স।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র চর ত র কর ছ ন র জন য করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা