ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় নানাবাড়িতে বেড়াতে এসে লাবিব (২) নামে এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। সে রামপুর ইউনিয়নের উত্তর চেঁচরী গ্রামের প্রবাসী জুয়েল জমাদ্দারের ছেলে।
আজ শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ চেঁচরী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের দাদা সাবেক সেনা সদস্য ফজলুল হক জমাদ্দার জানান, মায়ের সঙ্গে নানাবাড়িতে বেড়াতে যায় লাবিব। শুক্রবার দুপুরে গোসল করিয়ে লাবিবকে ঘরে রেখে গোসল করতে যায় লাবিবের মা কেয়া আক্তার। ঘরে ফিরে লাবিবকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকেলে বাড়ির সামনের খালে তার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (আমুয়া) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঝ লক ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি
‘সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং দীর্ঘজীবী হোন’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শনিবার (১৭ মে) পালিত হলো বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক মে মাসব্যাপী ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে গণমুখী সেমিনার, বৈজ্ঞানিক সেমিনার, দেশব্যাপী বিনামূল্যে রক্তচাপ পরিমাপ, গণমাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠানমালা, সচেতনতামূলক পোষ্টার ও লিফলেট প্রকাশসহ নানা কর্মসূচি চলছে।
দিবসটি উপলক্ষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, মিরপুর এর অডিটোরিয়ামে এক গণমুখী সেমিনার হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মো. সাইদুর রহমান, সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
আরো পড়ুন:
কিটো ডায়েট সম্পর্কে চিকিৎসকের সতর্কবার্তা
গবি ক্যান্টিনে ফের দুরবস্থা, স্থায়ী সমাধান দাবি
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী), স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক।
এছাড়া গণমুখী সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী।
হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক ডা. ইউনুছুর রহমান ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে সেমিনারটি সমাপ্ত হয়। প্রায় তিন শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, উচ্চ রক্তচাপ একটি ‘নিরব ঘাতক’। আমাদের দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। কিন্তু আশঙ্কাজনক বিষয় হলো-এদের প্রায় ৫০ শতাংশই জানেন না যে তারা এই সমস্যায় আক্রান্ত।
উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি বিকলসহ বিভিন্ন জটিল ও প্রাণঘাতী অসুস্থতার অন্যতম প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ কারণ। তাই এই নীরব অথচ মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসার জন্য জনসাধারণ, চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি।
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত। পাশাপাশি, এই রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উচ্চ রক্তচাপ শনাক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের ৪৪টি জেলার ৩১০টি উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে অসংক্রামক রোগ কর্মসূচি নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৮২টি উপজেলার ১০ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীদের উচ্চ রক্তচাপ পরিমাপ ও এ সংক্রান্ত ওষুধ নির্দেশনা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মাঠপর্যায়ে রক্তচাপ মাপা, জীবনধারা পরিবর্তনের পরামর্শ, চিকিৎসকের কাছে রেফার করা ও সচেতনতা তৈরি-এই কাজগুলো নিয়মিতভাবে করে যাচ্ছে প্রশিক্ষিত কর্মীরা।
বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রেজিস্টার্ড ৮ লাখের বেশি মানুষ এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ মানুষের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর থেকে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে একটি র্যালি শুরু হয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকশ মানুষ অংশ নেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ