আর্কিওপ্টেরিক্স ডাইনোসরের জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে বিশেষ পালকের তথ্য জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এই পালকের মাধ্যমে আর্কিওপ্টেরিক্স ডাইনোসর উড়তে পারত। আর্কিওপ্টেরিক্স প্রজাতির ডাইনোসর ১৫ কোটি বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। আর্কিওপ্টেরিক্স প্রজাতির মধ্যে ডাইনোসর ও পাখি উভয়েরই বৈশিষ্ট্য ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন এই আবিষ্কার পাখির বিবর্তন বুঝতে সাহায্য করবে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, চুনাপাথরে সংরক্ষিত আর্কিওপ্টেরিক্স ডাইনোসরের জীবাশ্মটিতে পালক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফিল্ড মিউজিয়ামে থাকা জীবাশ্মটি প্রথম আর্কিওপ্টেরিক্সের নমুনা, যা বিশেষায়িত টারশিয়াল পালক প্রকাশ করেছে। ডাইনোসরের শরীরে পাখির মতো ডানার মসৃণ রূপান্তর দেখা গেছে জীবাশ্মটিতে। ওপরের বাহুর হাড়ে পাওয়া এই পালক অন্যান্য পালকযুক্ত ডাইনোসরে অনুপস্থিত ছিল। এই ডানার ওপরে ভর করেই ছোট্ট ডাইনোসর উড়তে পারত।
আর্কিওপ্টেরিক্স পালক বা ডানাযুক্ত প্রথম ডাইনোসর নয়। তবে জীবাশ্মের তথ্যমতে, এটি সম্ভবত সত্যিকার অর্থে উড়তে পারা প্রথম ডাইনোসর ছিল। স্বল্প দূরত্বের জন্য বা গাছ থেকে গাছে গ্লাইডিংয়ের জন্য এই ডানা ব্যবহার করত আর্কিওপ্টেরিক্সরা।
সিটি স্ক্যান ও ইউভি লাইট ইমেজিংয়ে কেবল পালকই নয়, ক্রেনিয়াল কাইনেসিসের মতো বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে জীবাশ্মটিতে। আধুনিক পাখিদের মধ্যে যে ওপরের নমনীয় ঠোঁট দেখা যায়, তেমনি অঙ্গ ছিল আর্কিওপ্টেরিক্সদের। জীবাশ্মটির পায়ের ওপর ছোট ছোট আঁশও রয়েছে। আর তাই ধারণা করা হচ্ছে, আর্কিওপ্টেরিক্স বেশির ভাগ সময় মাটিতে কাটাত। সম্ভবত তারা ভালো পর্বতারোহী ছিল।
আর্কিওপ্টেরিক্স ডাইনোসরের জীবাশ্মের বিষয়ে বিজ্ঞানী জিংমাই ও’কনর বলেন, এই প্রজাতির ডাইনোসর সম্ভবত উড়তে পারত । এই আবিষ্কারের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা মাটিতে বসবাসকারী ডাইনোসর থেকে পাখি কীভাবে বিবর্তিত হয়েছিল তার ধাঁধা সমাধানে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গর্ভকালীন আল্ট্রাসাউন্ডের ব্যবহার নিয়ে রাজধানীতে সেমিনার
রাজধানীতে ‘ইউজ অব আল্ট্রাসাউন্ড ইন প্রেগন্যান্সি অ্যান্ড সার্টিফিকেট এওয়ার্ডিং প্রোগ্রাম’ শীর্ষক সায়েন্টিফিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকাস্থ ক্যাম্পাসে চতুর্থবারের মতো এ আয়োজন করে ‘আল্ট্রাসাউন্ড একাডেমি অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (ইউরাইব)’। সেমিনারে ২০২৪ সেশনে ইউরাইব থেকে বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করা ১৬০ জন চিকিৎসককে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বারাক পিআরপি মেডিকেল সেন্টারের সহকারী সার্জন, মগবাজারের আদ-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের সাবেক মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়ারদে জান্নাত রোজি বলেন, আল্ট্রাসাউন্ড চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে নতুন দ্বার উম্মোচন করেছে, তার যথাযথ সুফল যাতে রোগীরা পায় সেজন্য গুণগত আল্ট্রাসাউন্ড শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। ইউরাইব হতে পাশ করা সনোলোজিস্টদের সঠিক স্ক্যানিং, নির্ভুল রিপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে ইউরাইব সবসময়ই ডাক্তারদের পাশে রয়েছে।
ইউরাবের কোর্স কো-অর্ডিনেটর ডা. রুবিনা সুলতানা বলেন, ইউরাইব যেভাবে ইন্টারন্যাশনাল প্রটোকল অনুযায়ী ছাত্রছাত্রীদের সত্যিকারের রোগীদের ওপরে আল্ট্রাসনোগ্রাম শেখায় তা সত্যিই প্রসংশনীয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এ.আর.ডি.এম.এস. লাইসেন্স এক্সাম প্রস্তুতির কোর্স ইউরাইব অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করে আসছে। এখন পর্যন্ত শতভাগ পাশের রেকর্ড ধরে রেখেছে। আন্তর্জাতিক মানের কোর্স কারিকুলাম অনুসরণে সঠিক প্রোটোকল মেনে আল্ট্রাসনোগ্রাম শেখানোর বিষযটিতে ইউরাইব আরও গুরুত্ব দিবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ইউরাইব আল্ট্রাসনোগ্রামের ১ বছর মেয়াদি কোর্স ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল আল্ট্রাসাউন্ড (ডি.এম. ইউ), অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল আল্ট্রাসাউন্ড (এ. ডি.এম. এস.) কোর্স, ৩ মাস মেয়াদি সার্টিফিকেট ইন মেডিকেল আল্ট্রাসাউন্ড (সি.এম. ইউ), অ্যানোমালি স্ক্যান, কালার ডপলার, গাইনী অ্যান্ড অবস, মাস্কুলোস্কেলিটাল আল্ট্রাসাউন্ড, টি. ভি. এস. থাইরয়েড অ্যান্ড ব্রেস্ট আল্ট্রাসাউন্ড এর মতো বিভিন্ন অ্যাডভান্স লেভেলের কোর্সসহ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এ.আর.ডি.এম.এস. লাইসেন্স এক্সাম প্রিপারেশন কোর্সও পরিচালনা করে আসছে। ২০২০ থেকে এখন পর্যন্ত ইউরাব থেকে প্রায় ১১০০ ডাক্তার এসব কোর্স সম্পন্ন করেছেন।