আব্বাসের ৮ স্ত্রীর ভিন্ন গল্প, ভিন্ন আবেগ
Published: 23rd, May 2025 GMT
ট্রাক ড্রাইভার আব্বাস নানা জেলায় নানা পরিস্থিতিতে পড়ে ৭টি বিয়ে করে। প্রত্যেক স্ত্রীর কাছে আব্বাস অন্য রকম এক মানুষ। কোনো বউই একে অপরের ব্যাপারে জানে না। তবে আব্বাসের ট্রাকের হেল্পার সেলিম সব জানে। ঘটনাচক্রে ৮ নম্বর বিয়ে করার পর আব্বাসের জীবনে নেমে আসে দুর্যোগের ঘনঘটা। ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’র ট্রেইলারে এমন চিত্র দেখা যায়।
অমিতাভ রেজা চৌধুরী নির্মিত এই সিরিজে আব্বাস চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। তার স্ত্রীরা হলেন— তানজিকা আমিন, রুনা খান, মৌসুমী হামিদ, জুই করিম, ফারহানা হামিদ, অদিতি, বৃষ্টি, সাদিয়া আয়মান। সিরিজটিতে প্রত্যেক স্ত্রীর ভিন্ন গল্প, দৃষ্টিভঙ্গি ও আবেগ তুলে এনেছেন নির্মাতা।
‘আব্বাস’ চরিত্র প্রসঙ্গে অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, “যারা অভিনয় করেছে তারা সবাই আমার প্রাণের মানুষ। আব্বাস চরিত্রটি এমন একজন মানুষ যার ব্যক্তিত্বে এক চুম্বকীয় আকর্ষণ আছে। সে সহজেই নারীদের মন জয় করে ফেলে। কিন্তু নিজের জীবনধারা ও সিদ্ধান্ত নিয়ে সে সবসময় এক গভীর দ্বন্দ্বে ভোগে।”
আরো পড়ুন:
মোশাররফ করিমের ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’, সঙ্গী ৮ নায়িকা
পর্দার মায়েদের নিয়ে ফারিণের মুগ্ধতা
‘আব্বাস’ চরিত্রে মোশাররফ করিমকে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, “আমার একজন অভিনেতা প্রয়োজন ছিল যার অভিনয় ক্ষমতা এমন যে ক্ষণে ক্ষণে চরিত্রের রূপ পরিবর্তন করতে পারে। মেথড অভিনয়ে পারদর্শী, যা এই শহরে দুই একজনই আছেন, যার মাঝে মোশাররফ করিম একজন।”
নিজের চরিত্র নিয়ে মোশাররফ করিম বলেন, “দুর্দান্ত গল্প ও চরিত্রের কারণেই এই সিরিজে যুক্ত হয়েছি। তাছাড়া অমিতাভ রেজার সঙ্গে বড় পরিসরে এটাই আমার প্রথম কাজ।”
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ৫ জুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে ওয়েব সিরিজটি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে চক্রান্ত করা হচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারকে নানাভাবে ব্যর্থ করে দিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদের দোসররা চক্রান্ত চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জুলাই ঐক্য নামের একটি প্ল্যাটফর্মের সংগঠকেরা। একই সঙ্গে সচিবালয় থেকে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের অপসারণ, ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালানো উপদেষ্টাদের অপসারণ এবং কালবিলম্ব না করে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদানের দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জুলাই ঐক্য আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে নানাভাবে ব্যর্থ করে দিতে চক্রান্ত চালাচ্ছে ভারতীয় আধিপত্যবাদের দোসররা। তারা এই সরকারকে ব্যর্থ করে দিয়ে জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে এই দেশকে আবারও ভারতীয় কর্তৃত্ববাদীদের হাতে তুলে দিতে চায়।
জুলাই ঐক্যের একজন কর্মী বা একজন জুলাই যোদ্ধা বেঁচে থাকতে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না মন্তব্য করে মুসাদ্দিক আলী বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ড. ইউনূস সাহেব (প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে থাকবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ড. ইউনূস সাহেবের প্রতি আস্থা রাখতে চাই। আমরা আশা রাখি, তিনি ছাত্র–জনতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে উপদেষ্টা পরিষদকে সংস্কার করবেন।’
জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মুসাদ্দিক আলী আরও বলেন, ‘কালবিলম্ব না করে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদান করতে হবে এবং এটাকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কোনো ধরনের টালবাহানা সারা দেশের ছাত্র–জনতা মেনে নেবে না।’
জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, ‘আজকে জুলাই বিপ্লবের এতগুলো মাস পার হয়ে যাওয়ার পরেও আমাদেরকে রাজপথে কেন নামতে হচ্ছে, সেটা সবার কাছে পরিষ্কার। জুলাই যোদ্ধাদের যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা ছিল, সেগুলোর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে, আমরা দেখতে পাচ্ছি তাঁরা ক্ষমতার কামড়াকামড়িতে লিপ্ত হয়েছেন।’
আবদুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলব, জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা শুধু নির্বাচন নির্বাচন করেন, আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতের ব্যাপারে আপনাদের মুখে কোনো কথা আমরা শুনছি না। আপনাদের এই নির্বাচনের স্বপ্ন, আমরা জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বাস্তবায়ন হতে দেব না।’