মাদারীপুরে হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু, কয়েকটি বাড়িতে হামলা
Published: 27th, May 2025 GMT
মাদারীপুরের শিবচরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে আহত ইবনে সামাদ নামে এক যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে তিনি মারা যান। গত ২১ দিন তিনি ঢামেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নিহত ইবনে সামাদ জেলার শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়ন সর্দারকান্দি গ্রামের কালাম সর্দারের ছেলে।
আরো পড়ুন:
তিতুমীর কলেজে বৈষম্যবিরোধীসহ সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রদলের হামলা
টাঙ্গাইলে সন্ত্রাসীদের হামলায় ঠিকাদার আহত, ফাঁকা গুলি
এলাকাবাসী জানান, ইবনে সামাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়। এসময় বিক্ষুব্ধরা প্রতিপক্ষের কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতের লাশ মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত ৬ মে মঙ্গলবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে সর্দারকান্দি গ্রামের কালাম সরদারের বাড়িতে হামলা চালায় মাদবর বংশের লোকজন। এসময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে কালাম সরদার, তার ছেলে ইবনে সামাদ (১৮), জুয়েল সরদার (৩৫), তার স্ত্রী ইরানী বেগম (৫৫), রাসেল মাদবর (৩৭), মাহমুদা বেগমসহ (৩০) উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা ও শিবচর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকালে ইবনে সামাদের মৃত্যু হয়।
শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত শ বচর
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর সীমান্তে ভারতের বিএসএফের গুলিতে শহিদুল ইসলাম শহিদ (৩৮) নামে এক বাংলাদেশি ব্যক্তি মারা গেছেন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার গয়েশপুর সীমান্তের ৭০ নম্বর পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে মাটিআরি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
পেঁয়াজ নিয়ে চোখে শর্ষে ফুল ভারতীয় ব্যবসায়ীদের
দক্ষিণী সিনেমায় কেন অভিনয় করেন না সুনীল শেঠি?
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শহিদুল গয়েশপুর গ্রামের নষ্কর মালিতার ছেলে।
নিহত শহিদুলের স্ত্রী নাসরিন আক্তারের দাবি, শনিবার বিকেলে মাধবখালী সীমান্তের দোয়ালের মাঠে শহিদুল গরুর জন্য ঘাস কাটতে যান। এসময় বিএসএফ সদস্যরা শহিদুলকে ধরে খুব কাছ থেকে গুলি করে। শহিদুল ঘটনাস্থলে নিহত হন বলে ভারতে তার পরিচিতজনরা নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বিএসএফের ৩২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট সুজিত কুমারের বরাত দিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম জানান, শনিবার বিকেলে কয়েকজন ব্যক্তি ভারতের মাটিয়ারি এলাকা থেকে মাদক নিয়ে বাংলাদেশে ফিরছিলেন। এসময় মাটিয়ারি ৩২ বিএসএফের সদস্যরা তাদের আটকের জন্য ধাওয়া করে।
অন্য মাদক কারবারিরা পালালেও শহিদুল বিএসএফ সদস্যকে হাসুয়া দিয়ে আক্রমণ করতে যান। এ সময় বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন। তারা তাকে উদ্ধার করে মাটিয়ারি এলাকার হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৮টার দিকে শহিদুল মারা যান।
বিএসএফের বরাতে তিনি আরো জানান, শহিদুলের মরদেহ পুলিশের হেফাজতে রয়েছ। ৩০ নভেম্বর ময়নাতদন্তের পর কবে নাগাদ তার মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তর করবে তা জানাবে বিএসএফ।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ