ফ্রিজের ব্যবহার আমাদের নিত্যদিনের অংশ হয়ে উঠেছে। ফ্রিজ নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত। ডিপ ফ্রিজের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি জরুরি। নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে ফ্রিজ ভালো থাকে অনেক দিন। ক’দিন পরেই কোরবানির ঈদ। অনেক দিনের জন্য ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ করতে হবে। মাছ-মাংসভর্তি ফ্রিজ পরিষ্কার করাটা বেশ ঝামেলার। তাই এখনই পরিষ্কার করে নিন।
পরিষ্কারের ক্ষেত্রে
পরিষ্কার করার আগে ফ্রিজের বিদ্যুৎ সংযোগকারী প্লাগ বন্ধ করে নিন। পরিষ্কার করার কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্রিজ বন্ধ করুন। ডিপ ফ্রিজে অনেক সময় রক্ত-চর্বি জমে যায়। সে ক্ষেত্রে লিকুইড সোপ
দিয়ে পরিষ্কার করে ভেতরটা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। এরপর আরও একবার ভালোমতো পরিষ্কার করে শুকনো কাপড় দিয়ে
মুছে ফেলুন।
খসখসে কোনো কাগজ বা তার দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করা উচিত নয়। এতে ফ্রিজের প্লাস্টিক কোটিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পরিষ্কার হয়ে গেলে টেম্পারেচার সুইচ অন করে দিতে ভুলবেন না। দুর্গন্ধ দূর করার জন্য গরম পানিতে বেকিং সোডা বা ভিনেগার মিশিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।
বাইরের যত্ন করুন
ফ্রিজের বাইরের আবরণ পরিষ্কারের জন্য লিকুইড ক্লিনজার (অ্যামোনিয়া ফ্রি) ব্যবহার করুন এবং নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন। ক্লোরিন বিচ ব্যবহার করলে শেলফের প্লাস্টিকের আবরণ উঠে যেতে পারে। অনেকেই ফ্রিজ থেকে কিছু বের করার সময় সঠিকভাবে দরজা বন্ধ করেন না। এর ফলে ফ্রিজের ক্ষতি হয়।
খাবার রাখুন তাজা
তরল খাবার, আচারের বোতল, ক্রিম, মাখন, মাছ, মাংস আলাদা প্যাকেটে রাখুন। ফ্রিজের ভেতর অতিরিক্ত খাবার রাখা এবং খাবার খোলা রাখা উচিত নয়। এতে খাবারে ব্যাকটেরিয়া জমার আশঙ্কা বেশি থাকে। ঘন ঘন রেফ্রিজারেটরের দরজা বেশিক্ষণ খোলা রাখা যাবে না। একই ধরনের খাবার একসঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে। দূষণ রোধে রেফ্রিজারেটরে রান্না করা খাবার ওপরে রাখতে হবে এবং কাঁচা খাবার নিচে রাখতে হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ষ ক র র ব যবহ র র কর র
এছাড়াও পড়ুন:
জিবের রং শরীরের যেসব লক্ষণ প্রকাশ করে
সুস্থ জিব হয় হালকা গোলাপি। দুই পাশে সমান থাকে। অনেক সময় হালকা সাদা আবরণ থাকতে পারে। এটি কেরাটিন নামক প্রোটিন, যা খাবার খাওয়ার সময় ঘর্ষণ থেকে জিবকে রক্ষা করে। জিবের ওপর ছোট ছোট দানা বা ফোঁটা থাকে, যাকে বলা হয় প্যাপিলা। এগুলো স্পর্শ ও তাপমাত্রা অনুভব ও খাবার গিলতে সাহায্য করে।
যেসব পরিবর্তন চিন্তার কারণবাদামি বা কালো জিব
হঠাৎ যদি দেখেন জিবের রং বাদামি বা কালো, সে ক্ষেত্রে কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। জিবে প্যাপিলা অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে ব্যাকটেরিয়া জমে এমন হয়।
অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন বা ধূমপান থেকেও এমন হতে পারে।
এ ছাড়া মুখ শুকিয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত চা–কফি পান, খারাপ ওরাল হাইজিনের কারণে অনেক সময় এ রকম হতে পারে।
ঘন সাদা আবরণ বা দাগ
অনেক সময় জিবে ঘন সাদা আবরণ বা দাগ পড়ে। এটি ছত্রাক সংক্রমণের কারণে হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হলে ছত্রাক হয়।
যেমন ডায়াবেটিস, এইচআইভি, অ্যান্টিবায়োটিক বা স্টেরয়েড–জাতীয় ওষুধ সেবন, ক্যানসার বা ক্যানসারের চিকিৎসা। স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহার করলেও হতে পারে।
এ ধরনের সাদা দাগ মুখগহ্বর ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে।
আরও পড়ুনপাকিস্তানের সাত্তার বক্স যেভাবে আইনি লড়াইয়ে বিশ্বখ্যাত স্টারবাকসকে টেক্কা দিল৪ ঘণ্টা আগেলাল বা হলুদ ব্যথাযুক্ত ঘা
জিবে লাল বা হলুদ ব্যথাযুক্ত ঘা সাধারণত ক্যাঙ্কার সোর, ওরাল থ্রাস বা সংক্রমণের কারণে হয়।
তবে দীর্ঘস্থায়ী হলে মুখের ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে।
উজ্জ্বল লাল জিব
অনেক সময় জিব উজ্জ্বল লাল দেখায়। ভিটামিন বি১২–এর ঘাটতির কারণে বা স্কারলেট ফিভারে এ রকম হতে পারে।
যদি জিবের লাল দাগগুলো ব্যথাহীন হয় এবং এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরে যায়, তাহলে এটিকে জিওগ্রাফিক টাঙ বলা হয়। এটি ক্ষতিকর নয়।
অনেক সময় আয়রন খনিজের ঘাটতির কারণে এ রকম হতে পারে।
জিব পরিষ্কার রাখার নিয়মজিব পরিষ্কার রাখা জরুরি। দাঁত ব্রাশের সময় জিবও ব্রাশ করতে হবে।
জিব বের করে পেছন থেকে সামনে—মাঝখান, বাঁ ও ডান দিকে—তিনবার টেনে ব্রাশ করতে হবে।
মিষ্টি, চিনি ইত্যাদি খাওয়ার পর কুলি করতে হবে।
ইনহেলার ব্যবহার করার পরও কুলি করা উচিত।
ধূমপান, পান, জর্দা, সাদাপাতা, গুল ইত্যাদি জিবের জন্য খুব ক্ষতিকর।
আরও পড়ুনদলিলে লেখা এসব শব্দের অর্থ জেনে রাখুন, নাহলে পড়তে পারেন আইনি জটিলতায়১২ ঘণ্টা আগেকখন চিকিৎসক দেখাবেনজিবে অস্বাভাবিক পরিবর্তন হলে চিকিৎসক দেখানো প্রয়োজন। যেমন জিবে অস্বাভাবিক রং, ঘা বা দাগ, জ্বর, গলাব্যথা বা দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা।
চিকিৎসক পরীক্ষা করে সঠিক কারণ শনাক্তের চেষ্টা করবেন।
সমস্যা পেলে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবেন।
প্রয়োজনে জিবের বায়োপসি করারও প্রয়োজন হতে পারে।
আরও পড়ুনআপনি কি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে আছেন? বোঝার উপায় জানালেন চিকিৎসক১ ঘণ্টা আগে