Samakal:
2025-07-13@02:58:30 GMT

এ সময়ে হাত-পায়ের যত্ন

Published: 20th, May 2025 GMT

এ সময়ে হাত-পায়ের যত্ন

গ্রীষ্মকাল মানেই উত্তপ্ত রোদ, তাপপ্রবাহ আর ঘামঝরা দিন। এ সময় প্রকৃতির রুক্ষতা যতটা তীব্র হয়, ত্বকের ওপর তার প্রভাব ততটাই প্রকট হয়ে ধরা দেয়। মুখের যত্ন নিয়ে সবাই যতটা সচেতন, হাত-পায়ের ব্যাপারে ততটা উদাসীন। অথচ রোদের তীব্রতায় মুখের পাশাপাশি হাত-পাও হয়ে পড়ে রুক্ষ, কালচে ও অমসৃণ। এ কারণে গরমের সময়ও দরকার কিছু টিপস; যাতে হাত-পা ফিরে পায় ঔজ্জ্বল্য আর কোমলতা।  
প্রতিদিনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা 
গরমকালে হাত-পায়ে ঘাম ও ধুলোবালি জমে সহজে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। এ জন্য প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে হালকা গরম পানি দিয়ে হাত-পা ধুয়ে ফেলুন। চাইলে পানিতে অল্প লবণ ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশাতে পারেন। এটি ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি জীবাণু প্রতিরোধেও কার্যকর।
 এক্সফোলিয়েশন
গরমে নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন অত্যন্ত জরুরি। রোদ ও ঘামের প্রভাবে ত্বকের ওপর জমে থাকা মৃত কোষ ত্বককে করে তোলে নিস্তেজ ও কালচে। সপ্তাহে অন্তত দু’বার স্ক্রাব করুন হাত-পা। ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক স্ক্রাব যেমন– চিনি, মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ কিংবা চালের গুঁড়া, দুধ ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এ মিশ্রণগুলো ত্বকের ময়লা তুলে ফেলে এবং প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে।
হাইড্রেটিং ও পুষ্টিকর মাস্ক: কোমলতার উৎস
প্রচণ্ড গরমে ত্বক ভেতর থেকে শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই সপ্তাহে একবার একটি হাইড্রেটিং মাস্ক ব্যবহার করুন। পাকা কলা, মধু এবং এক চামচ দুধ দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে হাতে ও পায়ে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকে ময়েশ্চার জোগায়, টানটান করে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। চাইলে অ্যালোভেরা জেল ও শসার রস মিশিয়ে আরও একটি ঠান্ডা প্যাক বানাতে পারেন, যা রোদে পোড়া ত্বকের জন্য আরামদায়ক।
সানস্ক্রিন ব্যবহার
অনেকে মনে করেন সানস্ক্রিন শুধু মুখে লাগানোর জন্য। বাস্তবে হাত-পা রোদে অনেক বেশি উন্মুক্ত থাকে। এ সময় প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার আগে হাতে-পায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। রোদের নিচে দীর্ঘ সময় থাকলে প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন লাগানো উচিত।
রাতে বিশেষ যত্ন
দিনের শেষে হাত-পা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে একটু আরাম দেয়, ক্লান্তি কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। গরম পানিতে লবণ ও কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল দিয়ে ১৫ মিনিট হাত-পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার (যেমন– শিয়া বাটার, নারকেল তেল বা ভ্যাসলিন) ভালোভাবে মালিশ করে মোজা বা গ্লাভস পরে ঘুমাতে যান। এতে রাতভর ত্বক গভীরভাবে পুষ্ট হয় এবং পরদিন সকালে হাত-পা হয় নরম ও মসৃণ।
ডিটক্স পেডিকিউর ও ম্যানিকিউর
বাড়িতে মাসে অন্তত একবার ডিটক্স পেডিকিউর ও ম্যানিকিউর করুন। পানিতে বেকিং সোডা, লেবুর রস ও টি ট্রি অয়েল দিয়ে হাত-পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর নখ পরিষ্কার করুন, কিউটিকল ট্রিম করুন এবং স্ক্রাব করে মাস্ক লাগান। এই পুরো প্রক্রিয়া ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে, দাগ কমায় এবং একটি সতেজ অনুভূতি দেয়। 
গরমে হাত-পায়ের যত্ন নিয়ে রূপবিশেষজ্ঞ শোভন সাহা জানান, ‘গরমে হাত-পায়ের যত্নের জন্য পেডিকিউর-মেনিকিউর নিয়মিত করতে হবে। পায়ের স্বস্তির জন্য ঠান্ডা পানিতে পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এই পানিতে যদি ম্যাগনেশিয়াম পাউডার ব্যবহার করা যায় তাহলে এটি আরও ভালো ফল দেবে। হাতের জন্য অবশ্যই ভালোভাবে স্ক্রাব করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাত-পায়ের যে অংশটুকু উন্মুক্ত থাকে সেটুকু রোদে যাতে না পোড়ে সে জন্য সানব্লক যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।’v
মডেল: অন্তরা; ছবি: কাব্য
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর পর ষ ক র র যত ন র কর ন র জন য ত বক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতার চড় খেয়ে লিখিত অভিযোগ নারীর

বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে মনমতো চিকিৎসা পাননি বিএনপির এক নেতা। এ জন্য নাজেহাল করেন চিকিৎসককে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন এক নারী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে চড়থাপ্পড়ও মারেন ওই নেতা। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান মিন্টুর বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গৃহবধূ বীথি আক্তার।

শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে যান বদিউজ্জামান মিন্টু। তিনি মেডিকেল অফিসার প্লাবন হালদারকে বলেন, তিন দিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পা কেটে গেছে। এ সময় চিকিৎসক প্লাবন তাঁকে টিটেনাস ইনজেকশন নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরামর্শ পছন্দ না হওয়ায় মিন্টু ব্যবস্থাপত্রটি ছিঁড়ে চিকিৎসকের টেবিলে ছুড়ে বের হচ্ছিলেন। এ সময় প্লাবন হালদার স্বগতোক্তির স্বরে বলেন, ‘এসব লোক কোথা থেকে আসে!’ এ কথা শুনে মিন্টু তাঁর দিকে তেড়ে আসেন। প্লাবন সরে গেলে তাঁকে গালাগাল করেন মিন্টু। এ সময় সামনে থাকা বীথি আক্তার প্রতিবাদ করলে তাঁকে কয়েকটি থাপ্পড় দেন এই বিএনপি নেতা।

বীথি আক্তারের বাড়ি হাসপাতালের কাছেই। তিনি বলেন, “বড় বোন ও মায়ের চিকিৎসার বিষয়ে পরামর্শ নিতে জরুরি বিভাগে গিয়েছিলাম। বিএনপি নেতা মিন্টুকে চিনতাম না। তাঁর অশ্লীল গালাগাল ও আচরণ দেখে আমি শুধু বলেছি, ‘একজন ডাক্তারের সঙ্গে এমন আচরণ করা ঠিক না, ভাইয়া।’ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমার ওপর হামলা চালান।”

এ ঘটনার বিচার চেয়ে শুক্রবার রাতে গৌরনদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বীথি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া। তিনি তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। 

এদিকে চিকিৎসককে হেনস্তার ঘটনায় গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ