একের পর এক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে নিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের শিল্পকারখানা ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। ফলে আমাদের প্রথম চাওয়া আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যবসাবান্ধব হোক। 

চলতি অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে সরকার হঠাৎ করে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করে। ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাকে ভ্যাট বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হলেও নন-ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাকে তা সাড়ে ৭ শতাংশ। এটি আমাদের ব্যবসায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ফলে আমাদের চাওয়া, সবার জন্য একক হারে ভ্যাট নির্ধারণ করা হোক। অন্যথায় সেটি বৈষম্যমূলক হবে। 

আমরা লা রিভের তৈরি পোশাক সিঙ্গাপুরে রপ্তানি করি। অনলাইনের মাধ্যমেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের পণ্য বিক্রি হয়ে থাকে। তবে আমরা রপ্তানি করলেও সরকারের কোনো প্রণোদনা পাই না। তার কারণ রপ্তানিতে প্রণোদনা পেতে হলে অনেক ধরনের সনদ থাকতে হয়। তবে আমাদের অনলাইনে রপ্তানির অনেক চালান হলেও সেগুলোর আর্থিক মূল্য কম হওয়ায় এত সনদ নেওয়া আমাদের জন্য ব্যয়বহুল। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইএক্সপি ফরমও পূরণ করা যায় না। আমাদের প্রত্যাশা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের জন্য রপ্তানি প্রণোদনা পাওয়া সহজ করা হবে। এতে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান পণ্য রপ্তানিতে উৎসাহিত হবে। 

ব্যবসা করতে ব্যাংকঋণ দরকার। বর্তমানে ১৪-১৫ শতাংশ সুদে ব্যবসা করে মুনাফা থাকছে না। তা ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে দোকান ও কারখানা ভাড়া, বিদ্যুতের দাম ও কর্মীদের বেতন-ভাতা বাবদ খরচ বেড়েছে। ফলে ব্যাংকঋণের সুদের হার ৯-১০ শতাংশে নিয়ে আসতে সরকারের উদ্যোগ দরকার। আমরা তৃণমূলের তাঁতি, হস্তশিল্পী ও মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করি। তাঁদের ব্যবসা মসৃণ করার জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাহলে তাঁদের সক্ষমতা বাড়বে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র র জন য ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ হাজার কোটি টাকা
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন