আগের পর্বআরও পড়ুনপ্রত্যেক দিন রাস্তা বন্ধ, এটা কোনো কথা?২২ ঘণ্টা আগে
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী ৪ বছরে দেড় ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে: জাতিসংঘ
বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২০২৯ সাল পর্যন্ত দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। জাতিসংঘের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) বার্ষিক জলবায়ু প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জাতিসংঘ গতকাল বুধবার সতর্ক করে বলেছে, গড় উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অতিক্রম করার ৭০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। খবর এএফপির।
ডব্লিউএমওর প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে রেকর্ড উষ্ণতম বছর পার করার পর পৃথিবী উষ্ণতার ঐতিহাসিক স্তরে থাকবে। ডব্লিউএমওর উপমহাসচিব কো ব্যারেট বলেন, ‘আমরা রেকর্ডে থাকা ১০টি উষ্ণতম বছর পার করেছি। দুর্ভাগ্যবশত ডব্লিউএমওর এই প্রতিবেদন আগামী বছরগুলোতে উষ্ণতা বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো বিরতির সংকেত দিচ্ছে না। ফলে আমাদের অর্থনীতি, দৈনন্দিন জীবন, বাস্তুতন্ত্র এবং গ্রহের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’ ডব্লিউএমওর সর্বশেষ এই প্রক্ষেপণ যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের (বিএমও) জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের সংকলিত তথ্য। সংস্থাটি একাধিক বৈশ্বিক পূর্বাভাস কেন্দ্রের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি।
এদিকে, সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৫ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে প্রতি বছর ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকবে।
মেনুথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইরিশ জলবায়ু বিশ্লেষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক পিটার থর্ন বলেন, ‘২০২৭ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি আমাদের ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’ ডব্লিউএমও বলছে, ২০২৯ সালের মধ্যে অন্তত একটি বছর উষ্ণতার আগের রেকর্ড (২০২৪) ভাঙার ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার এই প্রবণতাকে বিপজ্জনক বলে মনে করছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। গত সপ্তাহে চীনের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কিছু এলাকায় ছিল প্রায় ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাকিস্তানেও ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের জলবায়ুবিদ ফ্রিডেরিখ অটো বলেছেন, ‘আমরা এরই মধ্যে উষ্ণায়নের একটি বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছেছি। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, আলজেরিয়া, ভারত, চীন এবং ঘানায় ভয়াবহ বন্যা, কানাডায় দাবানল দেখা দিয়েছে। এ সময়ে তেল, গ্যাস এবং কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর করা সম্পূর্ণ পাগলামি।’