সাকিবের সঙ্গে বিসিবির সম্পর্ক ‘শেষ নয়’
Published: 26th, May 2025 GMT
প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরায় সাকিব আল হাসান আবার আলোচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেটে। বোলিং অ্যাকশন শুধরে পাকিস্তান সুপার লিগে তিন ম্যাচ খেলেছেন। সামনে তার আরও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের কি বাংলাদেশের জার্সিতে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে? বিসিবি কী ভাবছে?
টেস্ট ক্রিকেট ছেড়েছেন সাকিব। নিজের শেষ টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সাকিব ফিরতে পারেননি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা তার। কিন্তু দলে সুযোগ পাবেন কিনা সেটাই বিরাট প্রশ্ন। দলে তাকে ফিরতে হলে পারফরম্যান্স করেই ফিরতে হবে। সেটা দেখবেন নির্বাচকরা।
তবে বিসিবি সাকিবকে নিয়ে খোলা মনেই আছে। বিসিবির পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠু সোমবার বলেছেন, ‘‘ডেফিনিটলি নট (সম্পর্ক শেষ নয়)। আমাদের যে ম্যানেজমেন্ট আছে, টিম ম্যানেজমেন্ট, টিম সেটআপ… আর সাকিব তো প্রথম টুর্নামেন্ট খেলল শুধরানোর পর। সেটা সামনে দেখার ব্যাপার। তবে সে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। যে কোনো দলের জন্য সে একটা সম্পদ। আমাদের নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় সবসময় থাকে।”
আরো পড়ুন:
সাকিবের দারুণ বোলিং, জিতে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল লাহোর
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে গোল্ডেন ডাক ও উইকেটশূন্য সাকিব
সাকিব কেবল তিন ম্যাচ খেলেছেন। ব্যাটিংয়ে দুটিতেই ডাক। একটিতে নামার প্রয়োজন হয়নি। বোলিংয়ে পেয়েছেন কেবল এক উইকেট। সাকিবকে আরও বেশি ম্যাচ ও সময় দেওয়ার কথা বললেন মিঠু, ‘‘সাকিব শুধরে যে এলো, এরপর মাত্রই তো তিনটি ম্যাচ খেলল। আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে দিন, তখন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।”
গত ১ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টের শেষ দিনের পর বাংলাদেশের জার্সিতে আর দেখা যায়নি সাকিবকে। দেশের ক্রিকেটের বর্তমান যে অবস্থা, তাতে সীমিত পরিসরে সাকিব পারফর্ম করলেই খেলতে পারেন। ৩৮ বছর বয়সী ক্রিকেটার আবার ফিরতে পারবেন কিনা, তা সময়ের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।
বিসিবির এই পরিচালক জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ঘাটতিতে উদ্বিগ্ন। তবে একেবারেই আশাহত নন। ‘‘অ্যালার্মিং তো পরের কথা…। তবে অবশ্যই বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স একটা বড় ইস্যু জনপ্রিয়তার জন্য। আপনাদের বুঝতে হবে যে, এই মুহূর্তে আমাদের দলটা নতুন। চারজন সিনিয়র ক্রিকেটার (সাকিব, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ) চলে যাওয়ার পর একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়, প্রতিভা আছে। আগেও বলেছি, অ্যাপ্লিকেশনের অভাব। যত ম্যাচ খেলবে, তারা উন্নতি করবে। আমার মনে হয়, আমরা যে পর্যায়ে আছি, আমাদের কেবল উন্নতিই হবে।”
বাংলাদেশ দল এখন রয়েছে পাকিস্তানে। পাকিস্তানে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ২৮ ও ৩০ মে এবং পহেলা জুন।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ব আল হ স ন আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ আইপিএলের আগে নতুন হেড কোচ নিয়োগ দিল কেকেআর
আইপিএল ২০২৬ মৌসুমের আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) নতুন হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিল অভিষেক নায়ারকে। গত মৌসুমে তিনি ছিলেন চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের সহকারী কোচ। এবার সেই জায়গা থেকেই পদোন্নতি পেয়ে দলের দায়িত্বভার নিলেন তিনি। এর আগে এক বছরের বিরতিতে নায়ার কাজ করেছিলেন ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের সহকারী হিসেবে।
সম্প্রতি নারী প্রিমিয়ার লিগের দল ইউপি ওয়ারিয়র্সও তাকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।
আরো পড়ুন:
শেষটায় কী অপেক্ষা করছে?
ফাইনালে যেতে ভারতকে ৩৩৯ রানের টার্গেট দিলো অস্ট্রেলিয়া
কেকেআরের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর এক বিবৃতিতে বলেন, “২০১৮ সাল থেকে অভিষেক কেকেআর পরিবারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। মাঠের ভেতরে ও বাইরে- দুই জায়গাতেই তিনি আমাদের খেলোয়াড়দের গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। খেলার সূক্ষ্ম বিষয়গুলো বোঝার ক্ষমতা আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে গভীর সংযোগ; দুটোই তাকে আলাদা করে রেখেছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এখন তিনি প্রধান কোচ হিসেবে কেকেআরকে নতুন অধ্যায়ে নেতৃত্ব দেবেন।”
৪২ বছর বয়সী অভিষেক নায়ার একসময় ছিলেন মুম্বাইয়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ২০০৯ সালে ভারতের জার্সি গায়ে তিনটি ওয়ানডেও খেলেছেন তিনি। তবে খেলোয়াড়ি জীবনের চেয়ে কোচ হিসেবে তার সিভিটাই এখন অনেক সমৃদ্ধ।
২০১৮ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ দিকে নায়ার কেকেআর একাডেমির প্রধান কোচ নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে অবসরের পর মূল দলের সহকারী কোচ হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০২২ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করেন।
কেকেআরে থাকাকালীন গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তার গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। যখন গম্ভীর ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ হন, তখন নায়ারও তার সহকারী হিসেবে যোগ দেন। তবে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিসিআইয়ের পর্যালোচনার পর এক বছরেরও কম সময়ে তার চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। এরপর আইপিএল ২০২৫ মৌসুমের আগে তিনি ফের ফিরে আসেন কেকেআরে।
তিন মৌসুম পর কেকেআর ও চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের পথ আলাদা হয়ে যায়। সেই সময়ের মধ্যে দলটি দশ বছর পর ২০২৪ সালে আইপিএল শিরোপা জিতেছিল। তবে ২০২৫ মৌসুমে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে মাত্র পাঁচ জয়ে পয়েন্ট তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকাটা শেষ পর্যন্ত পান্ডিতের বিদায়ের কারণ হয়। এরপর তিনি ফিরে যান নিজ রাজ্য মধ্যপ্রদেশে এবং সেখানে ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব নেন।
কেকেআরের সহায়ক দলেও বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। বোলিং পরামর্শক ভরৎ অরুণ ও স্পিন-বোলিং বিশেষজ্ঞ কার্ল ক্রো দুজনই চলে গেছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসে। ফলে আগামী কয়েক মাসে তাদের বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু হবে।
অর্থাৎ, নতুন করে সাজানো কেকেআর এখন নতুন কোচ অভিষেক নায়ারের হাত ধরে এগোতে প্রস্তুত। আইপিএল ২০২৬-এ আবারও পুরনো জৌলুস ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায়।
ঢাকা/আমিনুল